পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । (t মোরে কৃষ্ণ দেহ এই বর। সুস্থ হৈয়া ঘরে মোরে রহু বিশ্বম্ভর । লক্ষীরে আনিয়া পুত্র সমীপে বসায়। দৃষ্টপাত করিয়াও প্রভু মাহি চায়। নিরবৰি শ্লোক পড়ি করয়ে রোদন। কোথা কৃষ্ণ কোথা কৃষ্ণ বলে অনুক্ষণ ॥ কখন২ যেবা হুঙ্কার ক রয়। ডরে পলায়েন লক্ষী শচী পায় ভয় ॥ নিদ্রা নাহিক প্রভুর কৃষ্ণানন্দ রসে । ৰি রহে ন পায় স্বাস্থ্য উঠে পড়ে বৈসে ॥ ভিন্ন লোক দেখিলে করেন সম্বরণ । উ ষঃকালে গঙ্গাস্নানে করয়ে গমন ॥ আইলেন মাত্র প্রভু করি গঙ্গাস্নান। পড়ুয়৷ বর্গের আসি হৈল উপস্থান ৷ কৃষ্ণবিনা ঠাকুরের না আইসে বদনে। পড়ুয়া স কল ইহা কিছুই না জানে। অনুরোধে প্রভু বসিলেন পড়াইতে । পড়ুয়া সভার স্থানে প্রকাশ করিতে। হরি বলি পুথি মেলিলেন শিষ্যগণে শুনিয়া আনন্দ হ ইলা শচীর নন্দনে। বাহ নাহি প্রভুর শুনিয়া হরিদ্বনি। শুভদৃষ্টি সভারে করিল। দ্বিজমণি ॥ আবিষ্ট হইয়া প্রভু করয়ে ব্যাখ্যান। সুত্রবৃত্তি টীকায়ে সকলে হরি নাম ॥ প্রভু বলে সৰ্ব্বকাল সত্য কৃষ্ণনাম । সর্বশাস্ত্রে কৃষ্ণবহি না বলয়ে আন ॥ হৰ্ত্ত কৰ্ত্ত পালয়িতা কৃষ্ণ সে ঈশ্বর । অজভব আদি যত কৃষ্ণের কিঙ্কর ৷ কৃষ্ণের চর ণ ছাড়ি যে আর বাখানে । বৃথা জন্ম যায় তার অসত্য কথনে ॥ আগম বেদান্ত অ৷ দি যত দরশন। সর্বশাস্ত্রে কহে কৃষ্ণপদ ভক্তিধন । মুগ্ধ সব অধ্যাপক কৃষ্ণের মায়ায়। ছাড়িয়া কৃষ্ণের ভক্তি অন্য পথে ধায় ॥ করুণ সাগর কৃষ্ণ জগত জীৰ ন। সেবক বৎসল নন্দগোপের নন্দন ॥ হেন কৃষ্ণ নামে যার নাহি রতি মতি প ড়িয়াও সৰ্ব্বশাস্ত্র তাহার দুৰ্গতি ॥ দরিদ্র অধমে যদি লয় কৃষ্ণ নাম। সৰ্ব্ব দোষ থাকিলেও যায় কৃষ্ণধাম ॥ এইমত সকল শাস্ত্রের অভিপ্রায় । ইহাতে সন্দেহ যার সেই দুঃখ পায়। ক্লষ্ণের ভজন চাড়িযে শাস্ত্র বাখানে । সে অধমে কভু শা স্ত্র মৰ্ম্ম নাহি জানে ॥ শাস্ত্রের না জানে মৰ্ম্ম অধ্যাপন করে। গর্দভের প্রায় ম৷ ত্র শাস্ত্র বহি মরে ৷ পড়িয়া শুনিয়া লোক গেল ছারে খারে । কৃষ্ণ মহা মহোৎস ব বঞ্চিত তহিরে ৷ পুতনারে যে প্রভু করিলা মুক্তি দান । হেন প্রভু ছাডি লে। ক করে অন্য ধ্যান ॥ অঘাসুর হেন পাপী যে কৈল মোচন। কোন সুখে ছাড়ে লোক র্তাহার কীৰ্ত্তন ॥ ষে কৃষ্ণের নামে হয় জগত পবিত্র । না বোলে দুঃখিত জীব তাহার মহত্ব ॥ যে কৃষ্ণের মহোৎসবে ব্রহ্মাদি বিহ্বল। তাঁহা ছাড়ি নৃত্য গীত করে অমঙ্গল ৷ অজামিল নিস্তারিল যে কৃষ্ণের নামে। ধন কুল বিদ্যামদে ত হা নাহি জানে ॥ শুন ভাই সব সত্য আমার বচন । ভজহ অমূল্য কৃষ্ণ পাদপদ্ম ধন ॥ যে চরণ সেবিতে লক্ষীর অভিলাষ । ষে চরণ ভজিয়া শঙ্কর শুদ্ধ দাস ॥ যে চরণ হইতে জাঁকুৰী পরকাশ। হেন পাদপদ্মে ভাই সবে কর আশ ॥ দেখি কার শক্তি আছে এই নবদ্বীপে। খণ্ডক আমার ব্যাখ্যা আমার সমীপে। পরংব্ৰহ্ম বিশ্বম্ভর শব্দ মূৰ্ত্তিময়। যে শব্দেতে যে বাখানে সেই সত্য হয় । মোহিত পড়ুয়া