পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N) মধ্যমখ গু সব শুনে একমনে। প্রভুও বিহ্বল হৈয়া আপনা বাখানে ॥ সহজেই শব্দ মাত্র ক্লষ্ণ সত্য কহে। ঈশ্বরে যে বাখানিব কিছু চিত্র নহে । ক্ষণেক হইলা ৰাহ দৃষ্ট বিশ্বস্তর। সলজ্জিত হৈয়া কিছু কহয়ে উত্তর ৷ আজি আমি কোনৰূপে সুত্র বাখানিল । পড়ুয়া সকল বলে কিছু না বুঝিল । যত কিছু শব্দে বখানহ কৃষ্ণমা ত্র বুঝিতে তোমার ব্যাখ্যা কেব{ আছে পাত্ৰ ॥ হাসি বলে বিশ্বস্তর শুন সব ভাই। পুথি বান্ধ আজি চল গঙ্গাস্নানে যাই। বান্ধিলা পুস্তক সবে প্রভুর বচ নে। গঙ্গাস্নানে চলিলেন বিশ্বস্তুর সনে । গঙ্গাজলে কেলি করে প্রভু বিশ্বস্তর। সমুদ্রের মাঝে যেন পূর্ণ শশোধর । গঙ্গাজলে কেলি করে বিশ্বস্তুর রায়। পরম সুকৃতি সব দেখে নদীয়ায়। ব্ৰহ্মাদির অভিলাষ যেৰূপ দেখিতে। হেন প্রভু বিপ্ৰ ৰূপে খেলে পৃথিবীতে। গঙ্গা ঘাটে স্নান করে ষে সকল জন। সভাই চাহেন গে। র চন্দ্রের বদন ॥ অন্যোন্যে সৰ্ব্বজন কহেন কথন । ধন্য পীতা মাত যার এহেন নন্দন। গঙ্গার বাড়িল প্রভু পরশে উল্লাষ । আনন্দে করেন দেবী তরঙ্গ প্রকাশ তরঙ্গের ছলে জল পরশে জাহ্লবী । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড যার পদযুগে সেবি ॥ চতুদিগে বেড়িয়া প্রভুরে জহ্নস্থত। তরঙ্গের ছলে জল দেন অলক্ষিতা । দেবে মাত্র এসব द्वनी লীর মৰ্ম্ম জানে। কিছু শেষে ব্যক্ত হইবে সকল পুরাণে ॥ স্নান করি গৃহে আইলেন বিশ্বম্ভর । চলিলা পড়ুয়া বর্গ যার যথাঘর বস্ত্র পরিবর্ত করি ধুইল চরণ। তুলসীরে জল দিয়া করিলা সেচন ॥ যথা বিধি করি প্রভু গোবিন্দ পূজন। আসিয়া বসিলা গৃহে করিতে ভোজন ॥ তুলসীর মুঞ্জরী সহিত দিব্য অন্ন। মায়ে তানি সম্মুখে করিল। উপসন্ন । বিশ্বকৃ সেনের প্রভু করি নিবেদন। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড নাথ করয়ে ভোজন সম্মুখে বসিলা শচী জগতের মতি।। ঘরের ভিতরে দেখে লক্ষী পতিব্ৰতা । মা য়ে বলে বাপ আজি কি পুঁথি পড়িলা। কাহার সহিত কিবা কন্দল করিলা। প্ৰ ভু বোলে আজি পড়িলাম কৃষ্ণ নাম। সত্য কৃষ্ণ চরণ কমল গুণধাম । সত্য কৃষ্ণনাম গুণ শ্রবণ কীৰ্ত্তন। সত্য২ কৃষ্ণের সেবক যেই জন । সেইশাস্ত্র সত্য কৃষ্ণ ভক্তি কহে যায়। অন্যথা হইলে শাস্ত্ৰ পাষণ্ডত্ব পায় ॥ ধ্রু । তথাছি । জয়মুনি ভারতে ॥ যস্মিন শাস্ত্রে পুরাণেব হরিভক্তির্ণদৃশ্বতে । নশ্রোতব্যং ন বক্তব্যং যদি ব্ৰহ্মাস্বয়ং বদেৎ । * Iচগুলি চণ্ডাল নহে যদি কৃষ্ণবলে। বিপ্র নহে বিপ্র যদি অসৎ পথে চলে। কপিলের ভাবে প্ৰভু জননীর স্থানে। যে কহিল তাহি প্রভু কহয়ে এখানে ॥ শুনহ মাত কৃষ্ণভক্তির প্রভাব । সৰ্ব্বভাবে কর মাত কৃষ্ণে অনুরাগ ॥ কৃষ্ণসেবকের মাতা নাহি কভু নাশ। কালচক্র ডরায়েন দেখি কৃষ্ণদাস। গর্ভবা সে যত ছঃখ জন্মব মরণে। কৃষ্ণের সেবক মাত কিছুই নাজানে। জগতের পিতা কৃষ্ণ যে না ভজে বাপ। পিতৃদ্রোহি পাতকির জন্মজন্ম তাপ। চিত্ত দিয়া শুন মাতা জীবের যে গতি। না ভজিলে কৃষ্ণ পায় যতেক দুৰ্গতি। মরিয়া২ পুনঃ পায়