পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যমখণ্ড ه ←❍ ☾ নিত্যানন্দ সংক্রম পাইয়া । দিলেন নয়নে জল নিৰ্ঘাত করিয়৷ ৷ অদ্বৈত পাইয়৷ দুঃখ বোলে মাতালিয়া। সন্ন্যাসী না হয় কভু এব্রহ্মবধিয়া । পশ্চিমার ঘরে ঘরে খাইয়াছে ভাত । কুল জন্ম জাতি কেহ নাজানে কোথাত ॥ পিতা মাত গুরু নাহি নাজানি কিৰূপ ৷ খায় পরে সকল বোলয়ে অবধূত। নিত্যানন্দ প্রতি স্তব করে ব্যপদেশে । শুনি নিত্যানন্দ প্রভু মনে মনে হাসে ॥ সংহারিমো সক ল মোহর দোষ নাই। এতবলি জলে ঝাপে আচার্য গোসাঞি আচার্য্যের ক্ৰোধে হাসে ভাগবতগণ। ক্রোধে তত্ব কহে যেন শুনি কুবচন ॥ হেন রস কলহে র মৰ্ম্ম ন বুঝয় । ভিন্ন জ্ঞানে নিন্দে বন্দে সে মরে পুড়িয়া ৷ নিশ্চয় ঐগৌরচন্দ্র ঘারে কৃপা করে। সেই সে বৈষ্ণৰ বাক্য বুঝিবারে পারে। সেই কতক্ষণে দুই মহাকুতুহলী । নিত্যানন্দ অদ্বৈতে হইল কোলাকোলী। মহামত্ত দুই প্ৰভু গেীর চন্দ্র রসে । সকল গঙ্গার মাঝে নিত্যানন্দ ভাসে। হেন মতে জল কেলী কীৰ্ত্তনের শেষে। প্রতি রাত্রি সভা লঞা প্রভু করে রসে I এলীলা দেখিতে মনুষ্যের শক্তি নাই । সবে দেখে দেবগণ সঙ্গোপে তথাই ৷ সৰ্ব্বগণে গৌরচন্দ্র গঙ্গাস্নান করি । কুলে উঠি সৰ্ব্বগণে বলে হরি হরি । সভারে দিলেন মালা প্রসাদ চন্দন। বিদায় হইল সভে করিতে ভোজন ॥ জগাই মাধ্যই সমৰ্পিল সভাস্থানে। আপন গলার মাল; দিল দুইজনে ॥ এসব লীলার কভে অবধি না হয় । আবির্ভাব তিরোভাব মাত্র বেদে কয় ॥ গৃহে আসি প্রভু ধুইলেন শ্ৰীচরণ । তুলসীর করিলেন চরণ বন্দন ॥ ভোজন করিতে বসিলেন বিশ্বম্ভর । নৈবেদ্যান্ন আনি মায়ে করিলা গোচ র। সৰ্ব্ব ভাগবতেরে করিয়া নিবেদন । অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড নাথ করেন ভোজন ॥ প। রম সন্তোষে মহা প্রসাদ পাইয়। মুখ শুদ্ধি করি দ্বারে বসিলা আসিয় ॥ বধু সঙ্গে দেখে আই নয়ন ভরিয়৷ ৷ মহানন্দ সাগরেতে রহিল ডুবিয়া ॥ ভাইর ভ। গ্যের সীমা কেবলিতে পারে। সহস্ৰবদন প্রভু যদি শক্তি ধরে। প্রাকৃত শব্দেও যেই বলিবেক আই । আই শব্দ প্রভাবেও তার দুঃখ নাই । পুত্রের ক্রমুখ দেখি আই জগন্মাতা । নিজদেহ আই নাহি জানে আছে কোথা ॥ বিশ্বম্ভর চলিলেন করিতে শয়ন। তখনে বিদায় করে গুপ্ত দেবগণ ॥ চতুর্মুখ শঞ্চমুখ আদি দেবগণ । fনতি আসি চৈতন্যের করয়ে সেবন ॥ দেখিতে না পায় ইহা কেহ আজ্ঞাবিনে। সেই প্রভু অনুগ্রহে বোলে কারো স্থানে ॥ কোনদিন বসিয়া থাকয়ে বিশ্বম্ভর । সমুখে আইল মাত্র কোন অনুচর। ওইখানে থাক প্রভু বোলয়ে আপনে। চারি পাঁচ মুখগুল লোটায়ে অঙ্গনে ॥ পড়িয়া আছয়ে যত নাহি লেখাযোখা । তোমরা ভের কি এগুলা পায় দেখা ॥ কর যোড করি বোলে সব ভক্তগণ ত্রিভুবনে করে প্রভু তোমার সেবন । আমরা সভের কোন শক্তি দেখিবারে। বিৰুে প্ৰভু তুমি দিলে দৃষ্টি অধিকারে । এসব অদ্ভুত চৈতন্যের গুপ্ত কথা। সৰ্ব্ব সিদ্ধি হয়