পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । እ» ጓ ষোড়শ অধ্যায় । جl�kومت۔ হেন মতে নবদ্বীপে বিশ্বম্ভর রায় । ভক্ত সঙ্গে সংকীৰ্ত্তন করয়ে সদায় দ্বার দিয়া নিশাভাগে করেন কীৰ্ত্তন। প্রবেশিতে নারে কোহে ভিন্ন লোক জন ॥ এক দিন নাচে প্রভু ঐবাসের বাড়ী। ঘরে ছিল লুকাইয়া ঐবাস শাশুড়ী ॥ ঠাকুর পণ্ডিত আদি কেহ নাহি জানে। ডোল মুডি দিয়া আছে ঘরের এক কোণে ॥ লুকাইলে কি হয় অন্তরে ভাগ্য নাঞি অম্প ভাগ্যে সেই মৃত্য দেখিতে ন৷ পাই । নাচিতেই প্ৰভু বোলে ঘনেঘনে। উল্লাস আমার আজি নহে কি কারণে ॥ সৰ্ব্ব ভূত অন্তর্যামী জানেন সকল। জানিয়াও না কহে করয়ে কুতূহল । পুনঃ পুন নাচি বোলে সুখ নাহি পাই। কেহ বাকি লুকাইয়া আছে কোনঠাঞি। সৰ্ব্ব বাডি বিচার করিলা জনে জনে । শ্ৰীবাস চাহিল ঘর সকল আপনে ॥ ভিন্ন কেহ নাহি বলি করয়ে কীৰ্ত্তন। উল্লাসে নাচয়ে প্রভু শ্রীশচী নন্দন ॥ আর বার রহি বোলে সুখ নাহি পাই। আজি বা আমারে রুষ্ণ অনুগ্রহ নাই ৷ মহা ত্ৰাসে চিন্তে সব ভাগবতগণ । আম সভা বিনা অার নাহি কোন জন ॥ আমরাই কে ন বা করিল অপরাধ। অতএব প্রভু চিত্তে না পায় প্রসাদ ॥ আরবার ঠাকুর পণ্ডিত ঘরগিয়া । দেখে নিজ শাশুড়ী আছয়ে লুকাইয়। ক্লঞ্চাবেশে মহামন্ত ঠাকুর পণ্ডিত। যার বাহ্য নাহি তার কিসের গৰ্ব্বিত । বিশেষে প্রভুর বাদে ; কম্পিত শরীর । অজ্ঞ দিয়া চুলে ধরি করিল ব্যক্তির ॥ কেহ নাহি জানে ইচ আপনে সে জানে। উল্লাসিত বিশ্বম্ভর নাচে ততক্ষণে ॥. প্ৰভু বোলে এবে চিম্ভে বাসি যে উল্লাস । হাসিয়া কীৰ্ত্তন ফরে পণ্ডিত শ্ৰীবাস ॥ মহানন্দে হইল কীৰ্ত্তন কোলাহল । হাসিয়া পড়য়ে সব বৈষ্ণবমণ্ডল । নৃত্য করে গৌর সিংহ মহাকুতুহলা । ধরিয়া বুলেন নিত্যানন্দ মহাবলী ॥ চৈতন্যের লীলা কেবা দেখিবারে পারে। সেই দেখে যারে প্রভু দেন অধিকারে ৷ এইমত প্রতিদিন হরি সংকীৰ্ত্তন । গৌরচন্দ্র করে নাহি দেখে সৰ্ব্বজন ॥ আর এক দিন প্রভু নাচিতে নাচিতে । ন পায় উল্ল। স প্রভু চাহে চারিভীতে। প্রভু বোলে আজি কেনে সুখ নাহি পাই । কিবা ভাপ রাধ হইয়াছে কার ঠাই ॥ স্বভাব চৈতন্য ভক্ত আচাৰ্য্য গোসাঞি । চৈতন্যের দাস্ত বহি মনে আর নাঞি যখনে খটায় উঠে প্রভু বিশ্বম্ভর। চরণ অৰ্পয় সৰ্ব্ব শিরের উপর । যখনে ঠাকুর নিজ ঐশ্বৰ্য্য প্রকাশে। তখন অদ্বৈত সুখ সিন্ধু মাঝে ভাসে। প্ৰভু বোলে আরে নাডা তুই মোর দাস । তখন অদ্বৈত পায় অনন্ত উল্লাস ॥ অনন্ত গৌরাঙ্গ তত্ব বুঝনে না যায়। সেইক্ষণে ধরে সর্ব লৈঞ্চবের