পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে ধোয় হাৰ্থ । মুরারি তুলিয়া হস্ত দিলেক মাথাত ॥ প্ৰভু বোলে আরে বেট জাতি গেল তোর। তোর অঙ্গে উচ্চিষ্ট লাগিল সব মোর। বলিতে প্ৰভু হৈল ঈশ্বর আবেশ । দন্ত কড়মড় করে বলয়ে বিশেষ ॥ সন্ন্যাসী প্রকাশানন্দ বসয়ে কাশীতে। মোরে খণ্ড খণ্ড বেটা করে ভালমতে৷ পড়ায় বেদান্ত মোর বিগ্রহ নামানে কুষ্ঠ করাইল অঙ্গে তর্ভু নাহি জানে। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড মোর যে অঙ্গেতে বসে তাহা মিথ্যা বলে বেট কেমন সাহসে ৷ সত্য কহে মুরারি আমার তুমি দাস যে না মানে মোর অঙ্গ সে যায় বিনাশ ॥ আজ ভবানন্দ মাঝে বিগ্রহে সে সেবে যে বিগ্রহ প্রাণ করি পূজে সৰ্ব্বদেবে ॥ পুণ্য পবিত্রতা পায় যে অঙ্গ পরশে তাহা মিথ্যা বলে বেটা কেমন সাহসে ৷ সত্য২ করে তোরে এই পর কণশ সত্য মুঞি সত্য মোর দাস তার দাস ৷ সত্য মোর লীলাকৰ্ম্ম সত্য মোর স্থান ইহা মিথ্যা বলে মোরে করে খান খান ॥ যে যশ শ্রবণে অাদি অবিদ্যা বিনাশ পাপি অধ্যাপকে বলে মিথ্যা সে বিলাস ॥ যে যশ শ্রবণে রসে শিব দিগম্বর যাহা গায় অনন্ত আপনে মহীধর । যে যশ শ্রবণে শুক নারদাদি মত্ত। চরিবেদে বাখানে যে যশের মহত্ব ॥ হেন পুণ্য কীৰ্ত্তি প্রতি অনাদর যার। সে কন্তু না জানে গুপ্ত মোর অবতার। গুপ্তলক্ষে সভারে শিখায় ভগবান। সত্য মোর বিগ্রহ সেৰক লীলাস্থান। আপনার তত্ত্ব প্রভু আপনে শিখায়। ইহা যে ন মানে সে আপনে নাশ যায় । ক্ষণেকে হইল বাহ দৃষ্টি বিশ্বশুর। পুন সে হইল প্ৰভু অকিঞ্চন বর। ভাই বলি মুরারিরে কৈল আলিঙ্গন। বড় স্নেহ করি বলে সদয় বচন ॥ সত্য তুমি মুরারি আমার শুদ্ধ দাস । তুমি সে জানিল। নিত্যানন্দের প্রকাশ ॥ নিত্যানন্দে যাহার তিলেক দ্বেষ রহে । দাস হইলেও সে মোহর প্রিয় নহে। ঘরে যাও গুপ্ত তুমি আমারে কিনিলা। নিত্যানন্দ তত্ত্ব গুপ্ত তুমিসে জানিলা । হেনমতে মুরারি প্রভুর রূপ পাত্র। এরুপার পাত্ৰ সবে হন মান মাত্র। আনন্দে মুরারি গুপ্ত ঘরেরে চলিল। নিত্যনিন্দ সঙ্গে প্রভু হৃদয়ে রছিল।. অন্তরে বিহবল গুপ্ত চলে নিজ বাসে । এক বোলে তার করে খলখলী হাসে ॥ পরম হরিষে বোলে করিব ভোজন । পতিব্ৰতা অন্ন আনি কৈল উপসন্ন বিহবল মুরারি গুপ্ত চৈতনের রসে। খাও২ করি অন্ন ফেলে গ্রাসে২। ঘ ত মাখি অন্নসব পৃথিবীতে ফেলে। খাও২ খাও কৃষ্ণ এই বোল বলে । হাসে পতিব্ৰত৷ দেখি গুপ্তের ব্যভার । পুনঃ পুন অন্ন আনি দেয় বারে বার। মহাভাগবত গুপ্ত পতিব্ৰতা জানো কৃষ্ণ বলি গুপ্তেরে করায় সাবধানে। মুরারি দিলে সে প্ৰভু করয়ে ভোজন। কভু না লঙ্ঘয়ে প্রভু গুপ্তের বচন । ষত্ব অন্ন দেয় গুপ্ত তাই প্রভু খায়। বিহারে আসিয়৷ প্ৰভু গুপ্তেরে জানায়। বসিয়া আছেন গুগুরুষঃ নামানন্দে। হেন কালে প্রচু আইলা দেখি শুপ্ত বন্দে পরম জানন্দে গুপ্ত