পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○協* মধ্যমখণ্ড কীৰ্ত্তন প্রকাশিল । এতেকে তোমার নাম শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য । সৰ্ব্ব লোক তোমা হৈতে যাতে হইল ধন্য । এই যদি ন্যাসীবরে বলিলা বচন। জয়ধনি পুষ্প বৃষ্টি হইল। তখন। চতুর্দিগে মহাহরিদ্বনি কোলাহল । করিয়া আনন্দে ভাষে বৈষ্ণব সকল । ভারতীরে সর্ব ভক্ত করেন প্রণাম। প্রভুও হইল তুষ্ট লইয়া স্বনাম ঐকৃষ্ণ চৈতন্য নাম হইল প্রকাশ। দণ্ডবৎ হইয়া পডিলা সব দাস ॥ হেনমতে সন্ন্যাস করিয়া প্ৰভু ধন্য। প্রকাশিলা আত্মনাম শ্ৰীকৃষ্ণ চৈতন্য । এসকল কথার অবধি নাহি হয় । অাবিৰ্ভাব তিরোভাব মাত্র বেদে কয়। সৰ্ব্বকাল চৈতন্য সকল লীলা করে । কুপায়ে যখন যে দেখায়েন যাহারে । আর কত লীলারস হইল সে স্থানে। নিত্যানন্দ স্বৰূপে সে সব তত্ব জানে ॥ তাহান আজ্ঞায় আমি রুপ। অনুৰূপে । কিছু মাত্র স্বত্র লিখিলাম এ পুস্তকে ৷ সৰ্ব্ব বৈষ্ণবের পায়ে মোর নমস্কার। ইথে অপরাধ কিছু নহুক আমার । বেদে ইহা কোটি কোটি মুনি বেদ ব্যাসে। বর্ণিবেন নামামত অশেষ বিশেষে। এইমত মধ্যখণ্ডে প্রভুর সন্যাস । যে কথা শুনিলে হয় চৈতন্যের দাস ॥ মধ্যখণ্ডে ঈশ্বরের সন্যাস করণ । ইহার শ্রবণে মিলে কৃষ্ণ প্রেম ধন ৷ শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ এই দুই প্রভু। এই বাঞ্ছা ইহা যেন না পাসরিকভু ! হেন দিনহইব চৈতন্য নিত্যানন্দ । দেখিব বেষ্টিত চতুর্দিগে ভক্তবৃন্দ আমার প্রভুর প্রভু গৌরাঙ্গ সুন্দর। এবড় ভরসা চিত্তে ধরিয়ে অন্তর। মুখেও যে জন বলে নিত্যানন্দদাস । সে অবশ্য দেখিবেক চৈতন্যপ্রকাশ ॥ চৈতন্যের প্রিয়তম নিত্যানন্দরায়। প্ৰভু ভৃত্য সঙ্গে যেন না ছাড়ে আমায় । জগতের প্রেমদাতা হেন নিত্যানন্দ । তান হৈয়া যেন ভজে প্ৰভু গৌরচন্দ্র । সংসারের পার হঞা ভক্তির সাগরে। যে ডুবিবে সে ভজুক নিতাই চান্দেরে । কাষ্ঠের পুতলী যেন কুহকে নাচায়। এইমত গৌরচন্দ্র মোরে যে বোলায়ে ॥ পক্ষ যেন আকাশের অন্ত নাহি পায়। যত শক্তি থাকে ততদুর উড়ি যায়। এইমত চৈতন্য কথার অন্ত নাই যার যত শক্তি সবে তত তত গাই ॥ ঐচৈতন্য নিত্যানন্দ চান্দ্ৰ পহুজান। বৃন্দা বন দাস তছু পদযুগে গান। * । ইতি মধ্যখণ্ড সংপূর্ণ। * ॥