পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

なお অস্তখণ্ড চিত্ত ৷ পূৰ্ব্ব ভগীরথ করি গঙ্গা আরাধন । গঙ্গা আনিলেন বংশ উদ্ধার কারণ গঙ্গার বিরহে শিব সেই ছত্রভোগে । বিহ্বল হইলা অতি গঙ্গা অনুরাগে গঙ্গা দেখি মাত্র শিব গঙ্গায় পড়িলা । জলৰূপে শিব জাহ্লবীতে মিশাইলা । জগ স্বাগত জাহ্লবীও দেখিয়া শঙ্কর। পূজা করিলেন ভক্তি করিয়া বিস্তর। শিব সে জানেন গঙ্গাভক্তির মহিম। গঙ্গাও জানেন শিব ভক্তির যে সীমা । গঙ্গাজল স্পর্শি শিব হৈল জলময়। গঙ্গাও পাইয়া শিব করিলা বিনয় । জলৰূপে শিৰ রছিলেন সেই স্থানে। অস্থ লিঙ্গ ঘাট করি ঘোষে সৰ্ব্বজনে। গঙ্গা শিব প্রভাবে সে ছত্রভোগ গ্রাম হইল পরম ধন্য মহাতীৰ্থ নাম ॥ তথিমধ্যে বিশেষ মহিম। হৈল আর পাইয়া সে চৈতন্যের চরণবিহার ॥ ছত্রভোগ গেলা প্ৰভু অমুলিঙ্গঘাটে শতমুখে গঙ্গা প্ৰভু দেখিলা নিকটে। দেখিয়া হইলা প্রভু আনন্দে বিহবল । হরি বলি হুঙ্কার করেন কোলাহল । অাছাড় খায়েন নিত্যানন্দ কোলেকরি । সৰ্ব্বগণে জয়দিয়া বলে হরিং । আনন্দ আবেশে প্রভু সৰ্ব্বগণ লৈয়া। সেই ঘাটে স্নান করিলেন মুখী হঞা। অনেক কৌতুকে প্রভু করিলেন স্নান। বেদব্যাস তাহ। সৰ্ব্ব লিখিব পুরাণ। স্নান করি মহাপ্রভু উঠিলেন কুলে। যেই বস্ত্র পরে সেই তিতে প্ৰেমজলে । পৃথিবীতে বহে এক শতমুখী ধার। প্রভুর নয়নে বহে শতমুখি আর ৷ অপূর্ব দেখিয়া সতে হাসে ভক্তগণ হেন মহাপ্ৰভু গৌরচন্দ্রের ক্ৰন্দন সেই গ্রাম অধিকারী রামচন্দ্র খান। যদ্যপি বিষয়ী তত্ত্ব মহাভাগ্যবান। অন্যথ প্রভুর সঙ্গে দেখা তান কেনে। দৈবগতি আসিয়া মিলিলা সেইস্থানে ॥ দেখি য়া প্রভুর তেজ ভ্ৰমহৈল মনে। দোলা হৈতে সত্বরে নাম্বিল সেইক্ষণে ॥ দণ্ডবৎ হইয়া পড়িল ভূমিতলে । প্রভুর নাহিক বাস্থ প্রেমানন্দ জলে ॥ হাহা জগন্নাথ প্রভু বলে ঘনেঘন। পৃথিবীতে পড়ি ক্ষণে করয়ে ক্ৰন্দন। দেখিয়া প্রভুর আৰ্ত্তি রামচন্দ্র খান । অন্তরে বিদীর্ণ হৈল সজ্জনের প্রাণ ॥ কোন মতে এ আৰ্ত্তির হয় সম্বরণ। কান্দে আর এইমত চিন্তে মনে মন ॥ ত্রিভুবনে হেন আছে দেখি সে ক্ৰন্দন। বিদীর্ণ না হয় কাষ্ঠ পাষণের মন । কিছু স্থির হই বৈকুণ্ঠের চুড়ামণি জিজ্ঞাসিল রামচন্দ্র খানের কেতুমি ৷ সন্ত্রমে করিয়া দণ্ডবৎ করজোড়। বলে প্রভু দাস অনুদাস মুঞি তোর ৷ তবে শেষে সৰ্ব্বলোক লাগিলা কহিতে। এই অধিকারী প্রভু দক্ষিণ রাজ্যেতে ॥ প্রভু বলে তুমি অধিকারী বড় ভাল। নীল। চলে আমি যাই কেমতে সকাল ॥ বহয়ে আনন্দ ধারা কহিতে কহিতে । নীল চলচন্দ্র বলি পড়িল ভুমিতে । রামচন্দ্র খান বলে শুন মহাশয় । যে আজ্ঞা তো মার সেই কৰ্ত্তব্য নিশ্চয় সবে প্রভু হই আছে বিষম সময়। সে দেশে এদে শে কেইপথ নাহি বয়। রাজারা ত্রিশূল পতিয়াছে স্থানে২। পথিক পাইলে জামু বলি লয় প্রাণে । কোন দিগ দিয়া বা পাঠাঙ লুকাইয়া । তাহাতে ডরাণ্ড প্ৰভু