পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্যভাগবত । い○今 ক্ষণে মাত্র বাচস্পতি একেশ্বর। ডাকি আনিলেন প্ৰভু গৌরাঙ্গসুন্দর। দেখি মাত্র প্রভু বিশারদের নন্দন। দণ্ডবৎ হইয়া পড়িল৷ সেইক্ষণ ॥ চৈতন্যের অবতার বর্ণিয়া বর্ণিয় । শ্লোক পড়ে পুনঃপুন প্ৰণতি হইয়া ॥ সংসার উদ্ধার লাগি যে চৈতন্য ৰূপে। তারিলেন যতেক পতিত ভব কুপে । সে গৌরসুন্দর রুপসমু দ্রের প্রায়। জন্ম জন্ম চিত্তে মোর বসুক সদয় ॥ সংসার সমুদ্রময় জগত দেখি য়। নিরবধি বর্ষে প্রেম কৃপাযুক্ত হঞা । হেন যে অতুল কৃপাময় গেীরধাম ক্ষুরুক আমার হৃদয়েতে অবিরাম। এইমতে শ্লোক পড়ি করে বিপ্র স্তুতি । পুনঃ পুন দণ্ডবৎ হয় মহামতি ॥ বিশারদ চরণে আমার নমস্কার। সার্বভৌম বাচ স্পতি নন্দন যাহার। বাচস্পতি দেখি প্রভু শ্ৰীগৌরসুন্দর । কৃপাদৃষ্টে বসিবারে বলিল। উত্তর ॥ দাণ্ডাইয়া কর জুড়ি বলে বাচস্পতি । মোর এক নিবেদন শুন মহামতি ॥ স্বচ্ছন্দ পরমানন্দ তুমি মহাশয় । সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম তোমার আপন ইচ্ছ। ময় ॥ আপন ইচ্ছায় থাক চলহ আপনে । আপনে জানাও তেঞি লোকে তোমা জানে। এতেকে তোমার কৰ্ম্ম তুমি সে প্রমাণ। বিধিবা নিষেধ কে তোমারে দিব আন । সভে তোমা সৰ্ব্ব লোকতুম্ব না জনিয়া। দোষেন অন্তরে মোরেক্রর যেবলিয়া । তোমারে আপন ঘরে মুঞি লুকাইয়া। থুইয়াছে লোকে বলে তত্ব ন জানিয়া । তুমি প্রভু তিলদ্ধেক বাহির হইলে । তবে মোরে ব্রাহ্মণ করিয়া লোক বলে। হাসিতে লাগিল প্রভু ব্রাহ্মণ বচনে। তান ইচ্ছ। পালিয়া চলিলা সেইক্ষণে । যেই মাত্র মহাপ্রভু বাহির হইলা । দেখি সভে আনন্দ সাগরে মগ্ন হৈল । চতুর্দিগে লোক দণ্ডবৎহই পড়ে। যার যেন মতস্ফুরে সেই স্তুতি পড়ে অনন্ত অ ৰ্ব দলো ক হরিদ্বনি করে। ভ পিল সকললোক আনন্দসাগরে ৷ সহস্র২ কীৰ্ত্তন নীয়া সম্প্রদায় স্থানে২ সভেই পরমানন্দে গায়। অহন্নিশ-পরানন্দে কৃষ্ণ নাম দ্বনি সকল ভুবন পূর্ণ কৈলা ন্যাসীমণি ॥ ব্রহ্মলোক শিবলোক আদি যত লোক। যে সুখের করুণ লেশে সভেই অশোক ॥ যোগীন্দ্র মুনীন্দ্র মত্ত যে মুখের লেশে । পৃথি বীতে কুঞ্চ প্রকাশিলা ন্যাসী বেশে ॥ হেন সৰ্ব্ব শক্তি সমন্বিত ভগবান । যে পাপীষ্ঠ মায় বশে বলে অপ্রমাণ ॥ তার জন্ম কৰ্ম্ম বিদ্যা ব্রহ্মণ্য আচার । সবমিথ্যা সেই পাপী শোচ্য সভাকার ॥ ভজ ভজ আরে ভাই চৈতন্য চরণে । অবিদ্যা বন্ধন খণ্ডে যাহার শ্রবণে ॥ যাহার শ্রবণে সৰ্ব্ব তাপ বিমোচন । ভজ ভজ হেন ন্যাসী মণির চরণ ৷ এইমত চতুর্দিগে দেখি সংকীৰ্ত্তন। আনন্দে ভাসেন প্রভু লই ভক্তগণ ॥ আনন্দ ধারায় পূর্ণ শ্ৰীগৌরসুন্দর। যেন চতুর্দিগে বহে জাহ্লবীর জল বাস্থানাহি পরানন্দ সুখে আপনার । সংকীৰ্ত্তন আনন্দ বিহবল অবতার ॥ যেই সংস্প দায় প্ৰভু দেখেন সমুখে। তাহাতেই মৃত্য করে পরানন্দে মুখে । তাহার কৃতাৰ্থ হেন মানে আপনারে । হেনমত রঙ্গ করে শ্রীগেীরসুন্দরে । বিহবলের