পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্য ভাগবত । 2@ শ্বর বিপ্র সেই নবদ্বীপে । রছিলেন গুপ্ত ভাবে ঈশ্বর সমীপে ॥ ভিক্ষা করি বিপ্র বর প্রতি স্থানে স্থানে। ঈশ্বরেরে আসিয়া দেখেন প্রতি দিনে ॥ বেদগোপ্য এ সকল মহা চিত্র কথা । ইহার শ্রবণে কৃষ্ণ মিলয়ে সৰ্ব্বথা ॥ আদিখণ্ড কথা যেন অমৃত শ্রবণ। জহি শিশুৰূপে ক্রীড়া করে নারায়ণ সৰ্ব্বলোক চুঢ়ামান বৈকুণ্ঠ ঈশ্বর। লক্ষীকান্ত সীতাকান্ত শ্ৰীগৌর মুন্দর ৷ ত্রেতাযুগে হইয়া যে শ্রীরাম লক্ষণ। নানা মত লীলা করি বধিলা রাবণ ৷ হইয়া দ্বাপর যুগে কৃষ্ণ সঙ্কর্ষণ । নানা মত করিলেন ভূভার খণ্ডন। অনন্ত মুকুন্দ যারে সর্ববেদে কয়। শ্রীচৈতন্য নিত্যা নন্দ সেই সুনিশ্চয় ॥ ঐচৈতন্য নিত্যানন্দ চান্দ পহুজান। বৃন্দাবন দাস তছু পদ যুগে গান। ইতি শ্ৰীআদিখণ্ডে চতুখোহধ্যায়ঃ ৪ হেন মতে ক্রীড়া করে গৌরাঙ্গ গোপাল । হাথে খড়ি দিবার হইল আসি কাল ॥ শুভ দিনে শুভ ক্ষণে মিশ্র পুরন্দর। হাথে খড়ি পুত্রের দিলেন বিপ্রবর। কিছু শেষে মিলিয়া সক ল বন্ধু জন। কর্ণবেদ করাইলা শ্ৰীচুড়াকরণ ॥ দৃষ্টিমাত্র সকলঅক্ষর লিখিযায়। পর ম বিস্মিত হৈয়া সৰ্ব্বগণে চায় ॥ দিন দুই তিনে শিখিলেন বার ফলা। নিরন্তর লি খেন কৃষ্ণের নামমালা। রাম কৃষ্ণ মুকুন্দ মুরারি বনমালী। অহনিশি লিখেন পড়েন কুতূহলী ৷ শিশুগণ সঙ্গে পড়ে বৈকুণ্ঠের রায়। পরম মুকুতি সভে দেখে নদীয়ায়। কি মাধুরি করি প্রভু ক খ গ ঘ বোলে। তাহ শুনিতেই জীব মাত্র সব ভোলে। অদ্ভুত করেন ক্রীড়া শ্ৰীগের সুন্দর। যখন যে চাহে সেই পরম দুস্কর ৷ আকাশে উড়িয়া যায় পক্ষি তাহ চায়। না পাইলে কান্দিয়া ভূতলে গ ড়িযায় ॥ ক্ষণে চাহে আকাশের চন্দ্র তারাগণ ॥ হস্ত পদ আছাড়িয়া করয়ে ক্র নন ॥ সভেই শান্তন করে করি নিজ কোলে । স্থির নহে বিশ্বম্ভর দেহ দেহ বোলে ॥ সবে মাত্র অীছে এক মহা প্রতিকার । হরি নাম শুনিলে না কানো প্রভু আর হাতে তালি দিয়া সতে বোলে হরি২ । তখন সুস্থির হয় চাঞ্চল্য প। সরি। বালকের প্রতি সভে বোলে হরিনাম । জগন্নাথ গৃহ হৈল শ্রীবৈকুণ্ঠধাম ॥ এক দিন সভে হরি বোলে অনুক্ষণ। তথাপিও প্রভু পুন করয়ে রোদন ॥ সভে ই বলেন শুন বাপরে নিমঞি ভাল করি নাচ এই হরি নাম গাই ॥ না শুনে বচন কার করয়ে ক্রনদন। সভেই বলেন বাপ কান্দ কি কারণ ॥ সভে বলে কহ বাপ কি ইচ্ছা তোমার। সেই দ্রব্য আনি দিব না কান্দহ আর ॥ প্রভু বোলে যদি মোর প্রাণ রক্ষা চাহ। তবে বাট দুই ব্রাহ্মণের ঘর যাহ। জগদীশ পণ্ডিত হিরণ্য ভাগবত। এই দুই স্থানে মোর আছে অভিমত । একাদশী উপবাস আজি সে দোহার । বিষ্ণু লাগি করিয়াছে যত উপহার। সে সব নৈবেদ্য যদি খাই বারে পঙি । তবে মুঞি সুস্থ হই হাটিয়া বেড়াঙ ॥ অসম্ভব্য শুনিয়া জননা করে খেদ । হেন কথা কহে যেই নহে লোকবেদ ॥ সভেই হাসেন শুনে শিশুর বচন । সভে বলে দিব বাপ সম্বর ক্ৰন্দন ॥ পরম বৈষ্ণব সেই বিপ্র দুই জন ।