পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(so) অন্ত খণ্ডের কথাসার মহাপ্ৰভু স্বয়” আসিয়া উপস্থিত হইলেও আনন্দে এবং অদ্বৈতের বলে সকলেই নিৰ্ভয়ে থাকিলেন। মহাপ্ৰভু গিয়া নিজ ঘরে শুইয়া রহি লেন। কীৰ্ত্তনাস্তে সকলে মহাপ্ৰভূব সহিত সাক্ষাৎ করি: ত গেলে মহাপ্ৰভু এই অভিনব KBDSDBDD BB Di BBS DB BBSD S SBBBBBBD BBDB BODO DB DBD KS SDDD S BDBBBO TOKBBBDBB BDBDBD জানাইয়া হস্ত দ্বারা সূর্য। ঢাকি বার চেষ্টা প্রদর্শনপূর্বক ইহার উত্তাব দিলেন । এমন সময় ভিন্ন ভিন্ন দেশবাসী সহস্ৰ সহস্ৰ লোক আসিয়া গৃহদ্বারে শ্ৰীচৈতন্য-অবতােব বর্ণনপূর্বক কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলেন। মহাপ্ৰভু শ্ৰীবাসেৰ্বই শক্তির প্রভাবের নিকট হার মানিলেন । এই সময়ে সাকর মল্লিক ও শ্ৰীৰূপ, দুই ভাই মথুরা হইতে আসিয়া মিলিত হইলেন। তঁহারা নিজেদের দৈন্যজ্ঞাপন করি। মহাপ্রভুর নিকট কৃষ্ণভক্তি যান্ধা করিলে মহাপ্ৰভু প্রেম-ভাণ্ডারী অদ্বৈতের চরণাশ্রয় করিতে উপদেশ করিলেন । সকরের তৃতীয় সংস্কাররূপ ‘সনাতন’ নাম হইল। কিছুকাল নীলাচলে থাকিয়া মথুরায় গিয়া পশ্চিমাদেশে ‘ভক্তিরাস প্রচারের জন্য দুই ভাই আদিষ্ট হইলেন। একদিন মহাপ্রভুর প্রশ্নের উত্তরে শ্ৰীবাস অদ্বৈতপ্রভুকে শুক-প্ৰহলাদ-সম বলিযা প্ৰকাশ করিলে মহা প্ৰভু শ্ৰীবাসকে ক্ৰোধে এক চড় মারিলেন, এবং শ্ৰীবাসকে শ্ৰীঅদ্বৈত-তত্ত্ব শিক্ষা দিলেন। গ্রন্থকার এইস্থলে ভৃগুর উপাখ্যাৰ কীৰ্ত্তন করিয়া কৃষ্ণের পরাৎপরত্ব, বৈষ্ণবতত্বের ও বিষ্ণুতত্ত্বের সমকক্ষতা এবং অচিন্ত্যত্ব প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। দশমে-একদিন অদ্বৈতপ্ৰভু জগন্নাথ৷ মন্দির হইতে আসিয়া জগন্নাথের মুখ দর্শন এবং প্ৰদক্ষিণ করিবার কথা জানাইলে মহাপ্ৰভু অদ্বৈতকে বলিলেন—“তুমি হারিয়াছ। প্ৰদক্ষিণ সময়ে জগন্নাথের পশ্চাদভাগে থাকা-কালে শ্ৰীমুখ দর্শন হয় না। সে কারণ আমি জগন্নাথের শ্ৰীমুখ ভিন্ন আর কিছুই দর্শন কবি না।” অদ্বৈতাচাৰ্য্য নিজ হার স্বীকার করিলেন। একদিন মহাপ্ৰভু আবিষ্ট श्रेब এক কূপের মধ্যে পড়িয়া বালকের ন্যায় ভাসিতে লাগিলেন। সকলে তঁহাকে উঠাইয়া দেখিলেন। তঁহার দেহ সম্পূর্ণ অক্ষত। মহাপ্ৰভু গদাধরের মুখে সৰ্ব্বদা শ্ৰীমদ্ভাগবত বিশেষতঃ ধ্রুব ও প্ৰহলাদ চরিত্র শতাবৃত্তি করিয়া শ্রবণ করিতেন । গদাধর দীক্ষামন্ত্রবিস্মৃতির অভিনয় করিয়া মহাপ্রভূর নিকট সেই মন্ত্ৰ শুনিতে ইচ্ছা করিলে মহাপ্ৰভু গদাধরের -দীক্ষাগুর পুওৱীক বিদ্যানিধির আশু-আগমন-সম্ভাবনা জানাইয়া গদাধরকে আশ্বস্ত করিলেন। ‘ওড়ন-ষষ্ঠ’ যাত্রায় জগন্নাথ, দর্শনান্তর স্বরূপ ও বিদ্যানিধি একসঙ্গে পথে আসিতে বিদ্যানিধি। উক্ত যাত্রায় জগন্নাথের সমণ্ড বস্ত্র পরিধানের অশাস্ত্রীয়ত এবং জগন্নাথের সেবকগণের ও সমণ্ড অপবিত্র বস্ত্ৰম্পর্শের অসমীচীনতা প্ৰকাশ করিলেন। সেই রাত্রে জগন্নাথ বলভদ্র বিস্তানিধির নিকট স্বপ্নযোগে উপস্থিত হইয়া ঈশ্বরের বিধান ও আচরণে এবং তদীয় সেবকগণেরও দোষ । দর্শনের অপরাধের আদর্শ হেতু ভীষণ চপেটাঘাত করিয়া বিস্তানিধির দুইগণ্ড অঙ্গুলি-চিহ্নিত করিয়া ফুলাইয়া দিলেন এই লীলার দ্বারা কৰ্ম্মজড়ম্মার্তগণ কর্তৃক হারিসেবকগণের আচার-নিন্দার দুৰ্ব্ববুদ্ধি নিরস্ত হইল।