পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিখণ্ড-দশম অধ্যায় কাহারও বা নিমাই-লক্ষ্মীকে হরগৌরীরূপে ধারণা“কতকাল এ বা ভাগ্যবর্তী হর-গৌরী। নিষ্কপটে সেবিলেন কত ভক্তি করি’ ৷৷ ১১২ ৷ অল্প-ভাগ্যে কন্যার কি হেন স্বামী মিলে ? এই হার-গৌরী হেন বুঝি”—কেহ বোলে ॥১১৩৷৷ নানা নারীর নানা-ধারণা-বশে নানা উক্তিকেহ বোলে,-“ইন্দ্ৰ-শচী, রতি বা মদন।” কোন নারী বোলে-“এই লক্ষী-নারায়ণ ৷”১১৪ কোন নারীগণ বোলে—“যেন সীতা রাম । দোলে।াপরি শোভিয়াছে অতি-অনুপম ৷” ১১৫ ৷৷ কলের হর্ষভরে গৌর-নারায়ণ ও লক্ষ্মী-নারায়ণীকে দর্শন— এইমত নানারূপে বোলে নারীগণে । শুভদৃষ্ট্যে সবে দেখে লক্ষনী-নারায়ণে ৷৷ ১১৬ ৷৷ বাস্থ্যধ্বনির মধ্যে স্বগৃহে নিমাষ্টর আগমনহেনমতে নৃত্য-গীত-বান্ত-কোলাহলে। নিজগৃহে প্ৰভু আইলেন সন্ধ্যাকালে ৷৷ ১১৭ ৷৷ অন্যান্য নারী-সহ শচীর স্বীয বধু লক্ষ্মীকে গৃহে বরণ— তবে শচীদেবী বিপ্ৰপত্নীগণ লৈয়া । পুত্ৰবধু ঘরে আনিলেন হৰ্ষ হৈয়া ৷৷ ১১৮ ৷৷ ও শরতে,-যখন সুৰ্য্য অস্তগমন করিৰাব পর অদৃশ্য হইয়া ( A sy. H কুল-ব্যবহার-স্ত্রী-আচার প্রভূতি ॥ ১০৭ ৷৷ ব্যবহারিক-জগতে বর-কন্যার সম্মিলন-নামক বিবাহকথা-শ্রবণে বিশেষ উল্লাস দৃষ্ট হয়। তাহাতে উৎসাহিত হইয়া বদ্ধজীবীগণ সংসার-বন্ধনে ক্লেশ পাইতে যত্ন করে। কিন্তু মায়াধীশ শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভুর উদ্বাহাভিযানের কথা সেরূপ নহে। সংসারের নিরর্থকতা-প্ৰদৰ্শনের জন্যই প্রভুর এই লীলা । জড়সম্ভোগবাদী জীব প্ৰাকৃত-বরকন্যার মিলনকে যেরূপ স্বস্ব-ইন্দ্ৰিয়-তৰ্পণের আদর্শ বলিয়া জ্ঞান করেন, শ্ৰীভগবানের বিবাহোৎসবরূপ চিলীলা-বিলাসকেও তাদৃশ আপাতমধুর অথচ পরিণামে বিষময় জীবভোগ্য-কৰ্ম্মের সহিত সম বা সদৃশ মনে করিলে, সে নিশ্চয়ই ঘোর সংসারবন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু সকল-সম্ভোগের একমাত্র বিষয় শ্ৰীভগবান এবং তঁাহার আশ্ৰয় যাবতীয় সেবক-সেবিকা ও সেবোপকরণ-নিচয়ারূপ 04A পুত্ৰ-বিবাহে উপস্থিত সকলকেই শচীর সন্তোষণ— দ্বিজ-অ্যাদি যত জাতি নট বাজনিয়া । সবারে তুষিলা ধন, বস্ত্ৰ, বাক্য দিয়া ॥১১৯ ৷৷ নিত্যসেবা ঈশ্বরদম্পতির অপ্ৰাকৃত চিদবিবাহ-বিলাস-শ্ৰবণে তদাশ্রিত বশ্যজীবের ইন্দিয়তপণেচ্ছা-নাশ ও স্ব-স্বভাবে গৌরদান্তোপলব্ধি— যে শুনয়ে প্রভুর বিবাহ-পুণ্য-কথা । তাহার সংসার-বন্ধ না হয় সৰ্ব্বথা ॥ ১২০ ৷৷ নারায়ণ ও মহালক্ষ্মীবা ধাম মহাবৈকুণ্ঠাভিন্ন শচৗগৃহপ্রভুপাশ্বে লক্ষীর হইল অবস্থান। শচী গৃহ হইল পরাম-জ্যোতিধাম ॥১২১ ৷৷ প্ৰত্যহ স্বীয় গৃহে শচীর অলৌকিক দুৰ্লক্ষ্য জ্যোতির্দিৰ্শননিরবধি দেখে। শচী কি ঘরে বাহিরে। পরম অদ্ভুত জ্যোতি লখিতে না পারে ॥১২২৷৷ শচীর নানাবিধ রূপ-দর্শন ও গন্ধান্ত্রাণকখন পুত্রের পাশে দেখে অগ্নিশিখ। উলটিয়া চাহিতে, না পায় আর দেখা ৷৷ ১২৩ ৷৷ কমলপুষ্পের গন্ধ ক্ষণে-ক্ষণে পায়। পরম-বিস্মিত আই চিন্তেন সদায় ৷৷ ১২৪ ৷৷ বিচিত্র অধিষ্ঠানসমূহ তাদৃশ অমঙ্গল প্রসব করিতে পারে না । যেস্থানে ভগবৎসুখ্যাপ্তি বৰ্ত্তমান, তথায় জীবের ইন্দ্ৰিয়-তৰ্পণ নাই। এ তৎপ্রসঙ্গে শ্ৰীমদ্ভাগবত-কথিত “ভক্তি: পােরশানুভবো বিবক্তিারন্যত্র চৈষ। ত্রিক এক কালঃ” এবং “ঈহ যস্য হয়ের্দিান্তে কৰ্ম্মণা মনসা গিরি। নিখিলা স্বপ্যবস্থাসু জীবন্মুক্তঃ স উচ্যতে ॥” ইত্যাদি শুভ অমৃতপ্ৰদ বাক্যসমূহ আলোচ্য। ভগবান শ্ৰীবিষ্ণু-মায়াধীশ অপ্ৰাকৃত বস্তু ; সুতরাং তঁহাকে প্রাকৃত বা জীপ বুদ্ধি—মহাপরাধের কারণ । ভগবদ বিষ্ণুবস্তুতে অপ্রাকৃত সেবা-বুদ্ধি উদিত চাইলেই সেধোমুখ জীবমুক্ত ভক্ত সংসারবন্ধনে আর আবদ্ধ হন না। অর্থাৎ ভগবৎসুখতাৎপৰ্য্যময় হইলেই জীৰ্ণ ভগবাদি তাঁর সংসার-বন্ধন চাইতে মুক্ত DB DD BuDDSDBBSDDkD KDDB BD BDBDuDu DD L ভগবানের স্বরূপ-শক্তির অন্যতম সাক্ষাৎ ‘শ্ৰীশক্তিস্বরূপিণী শ্ৰীলক্ষ্মীপ্ৰিয়া-দেবীর সমাগমে শ্ৰীশচীী-গৃহ যথার্থটি চিজ্যোতিৰ্ম্ময় ভগবদ্ধাম বৈকুণ্ঠরূপে লক্ষিত হইল ॥ ১২২ ৷৷