পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড-তৃতীয় অধ্যায় এইমত কতদিন নিত্যানন্দ রায়। جد হাড়াই পণ্ডিতের ঘরে আছেন লীলায় ৷ ৬৮ ৷৷ গৃহ ছাড়িবারে প্রভু করিলেন মন । बन रू८फ़् जग्मनौ-ऊऊ-छृ८थद्म कद्म ॥ ७s ॥ তিলমাত্র নিত্যানন্দে না দেখিলে মাতা । যুগপ্রায় হেন বাসে’, ততোহধিক পিতা ৷৷ ৭০ ৷৷ তিলমাত্র নিত্যানন্দ-পুত্রেীরে ছাড়িয়া। cकांथ७ इफुडेरे ७१॥ ना यांद्म प्रुजिब्रा ॥ १७ ॥ কিবা কৃষিকৰ্ম্মে, কিবা যজমান-ঘরে। কিবা হাটে, কিবা বাটে যত কৰ্ম্ম করে ৷ ৭২ ৷৷ পাছে যদি নিত্যানন্দচন্দ্ৰ চলি’ যায়। তিলার্কে শতেকবার উলটিয়া চায়৷ ৭৩ ৷৷ ধরিয়া ধরিয়া পুন আলিঙ্গন করে। ননীর পুতলী যেন মিলায় শরীরে ॥ ৭৪ ৷৷ এইমত পুত্রসঙ্গে বুলে সর্ব ঠাঞি। প্ৰাণ হৈলা নিত্যানন্দ, শরীর হাড়াই৷ ৭৫ ৷৷ ব্যতীত আর সকলেই যোগদান করিয়াছিলেন দেখিয়া মহাপ্ৰভু নিত্যানন্দ-বিরহে বিশেষ দুঃখিত হইয়াছিলেন ৷৷ ৫৮ ৷৷ বিশ্বম্ভর নিত্যানন্দের অভাবে তেঁাহাকে সৰ্ব্বক্ষণ চিন্তা করিতে করিতে তাহার স্বরূপ অবগত হইলেন। মহাপ্ৰভু নিত্যানন্দ প্ৰভুকে অনস্তবাসুদেব ঈশ্বর-তব বলিয়া জানিR I ta ভগবান নিত্যানন্দ গঙ্গার পশ্চিমাংশ রাঢ়দেশে একচক্রানামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তাহাবই অনতিদূরে মৌড়েশ্বর (মতান্তরে ময়ূরেশ্বর ) নামক একটা শিবলিঙ্গ বিরাজমান। প্ৰভু নিত্যানন্দ কোন সময়ে তাহার পূজা করিয়াছিলেন ৷৷ ৬২ ৷৷ সেই একচক্র গ্রামে হাড়াই পণ্ডিত-নামে একজন উদারচরিত্র, বিষয়-বিরক্ত ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। তঁহার পতিব্ৰতা পত্নী জগন্মাতা পদ্মাবতী দেবী। তিনি বিষ্ণুর প্রবল শক্তিধারিণী ছিলেন। ইহাদের কতিপয় পুত্রের মধ্যে প্ৰভু নিত্যানন্দ সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ ছিলেন ॥ ৬৩-৬৬ ॥ @डू निऊJानन् नांक्षांद्रन कम्युंकणांडिगांौ भांब्रांयक्षজীবের স্থায় মাতাপিতার স্নেহে আবদ্ধ না থাকায় জীবগণের 8 অন্তৰ্য্যামী নিত্যানন্দ ইহা সব জানে। পূিহুমুখ-ধৰ্ম্ম পালি” আছে পিতা-সনে ৷৷ ৭৬ ৷৷ সন্ন্যাসীব অদ্ভুত ভিক্ষা দৈবে একদিন এক সন্ন্যাসী সুন্দর। আইলেন নিত্যানন্দ-জনকের ঘর ॥ ৭৭ ৷৷ নিত্যানন্দ-পিতা তানে ভিক্ষা করাইয়া। রাখিলেন পরম-আনন্দযুক্ত হঞো৷৷ ৭৮ ৷৷ সর্ব রাত্ৰি নিত্যানন্দ-পিতা উঠার সঙ্গে । আছিলেন কৃষ্ণকথা-কথন-প্রসঙ্গে ৷৷ ৭৯ ৷৷ গন্তকাম সন্ন্যাসী হইল। উষাকালে। নিত্যানন্দ-পিতা-প্ৰতি হ্যাসিবর বলে ॥ ৮০ ৷৷ দ্যাসী বলে, “এক ভিক্ষা আছয়ে আমার” । নিভ্যানন্দ-পিতা বলে, “যে ইচ্ছা তোমার” ॥ ৮১ ৷৷ স্থ্যাসী বলে, “করিবােঙ তীর্থ পৰ্য্যটন। সংহতি আমার ভাল নাহিক ব্ৰাহ্মণ ৷৷ ৮২ ৷৷ মঙ্গলের জন্য গৃহ পরিত্যাগ কবিতে মানস করিলেও পরম বৎসল মাতাপিতা তাহাকে এক মুহুর্তের জন্য ও ছাড়িয়া দেন না। এজন্য নিত্যানন্দ প্ৰভু বিষম হইলেন। মাতাপিত অল্প সময়ের জন্যও তীহাকে চক্ষুর অন্তরালে অবস্থিত হইতে অভিলাষ না করায় সৰ্ব্বদাই উভয়ে তা হঠার নিকট থাকিতেন। তঁহাদের গৃহ-কৰ্ম্মে, কৃষি কাৰ্য্যে ও পৌরহিত্যকাৰ্য্যে, ভ্ৰমণকালে, দ্রব্যাদি আহরণ-কালে সৰ্ব্বদাই ‘পুত্র গৃহত্যাগ করিবেন।”—আশঙ্কায় সৰ্ব্বক্ষণ পশ্চাদভাগে অনুসরণকারী পুত্রের প্রতি পুনঃ পুনঃ দৃষ্টিপাত করিতেন। ৬৯-৭৩ ৷৷ পিতা সৰ্ব্বত্র পুত্রকে সঙ্গে লইয়া যাতায়াত করেন এবং পুত্ৰ-বাৎসল্যে সৰ্ব্বক্ষণ র্তাহাকে ক্রোড়ীভূত করিয়া রাখেন। যেরূপ শরীর ও প্ৰাণ একত্র সমাবিষ্ট থাকিয়া একেরই পরিচয় দিয়া থাকে, তদ্রুপ নিত্যানন্দের পিতা হাড়াই পণ্ডিত শরীর সদৃশ ও তাহার পুত্র শরীরের সহিত সংবদ্ধ প্ৰাণের ন্যায় অবস্থিত হইলেন ॥ ৭৪-৭৫ ৷৷ নিত্যানন্দ প্ৰভূসাক্ষাৎ পরমাত্মা বিষ্ণু বলিয়া তাহার এইঃসকল সম্যক উপলব্ধির বিষয় ছিল। পিতার সহিত পিতৃসুখ সম্বৰ্দ্ধনার্থ সেইরূপভাবে পিতৃ সেবায় নিযুক্ত ছিলেন ॥৭৬