পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অর্ধ্যায় নবম অধ্যায়ের কথাসার এই অধ্যাযে শ্ৰীগৌবসুন্দবেব ‘সাতপ্ৰহাবিয়া” মহাপ্ৰকাশ ও বিষ্ণুখট্টোপরি উপবেশন, ভক্তগণ-কর্তৃক তঁহার অভিষেক, স্তুতি এবং দশাক্ষব গোপালমন্ত্রের বিধিমতে ষোড়শোপচারে মহাপ্ৰভুব পূজা ও মহাপ্ৰভুব ভক্তপ্রদত্ত দ্রব্য ভোজন, মহাপ্ৰভু-কর্তৃক শ্ৰীবাসাদি ভক্তের পূর্ব-বৃত্তান্ত কথন, ভক্তগণেব সান্ধ্যাবাত্রিক, ভক্তবব শ্ৰীধবেবী আখ্যান এবং বৈষ্ণবচবিত্ৰেীব মাহাত্ম্য প্রভৃতি বিষয় বর্ণিত হইয়াছে। একদিন মহাপ্ৰভু নিত্যানন্দ-সঙ্গে শ্ৰীবাস-গৃহে আগমন কবিলেন। চতুর্দিক হইতে সমাগত ভক্তবৃন্দ প্ৰভুব ইঙ্গিত বুঝিতে পারিয়া কীৰ্ত্তন আবিস্তু কবিলেন । লোকশিক্ষক শ্ৰীগৌবসুন্দব প্রত্যহ ভক্ত-ভাবে নৃত্য-কীৰ্ত্তনাদি কবিতেন, এবং কখনও নিজ ভাবাবেশে যেন অজ্ঞাতসাবে বিষ্ণুখট্টায় আবে।াহণ কবিতেন । কিন্তু অদ্য পবিতত্ত্ব শ্ৰীগৌবসুন্দৰ নিজেব ভক্তভােব সংগোপন ও আবেশভাব ভক্তগণ সকলে স্ব স্ব অভিলাষানুসাবে সংগৃহীত নানা উপকবণ দ্বারা শ্ৰীগৌলপাদপদ্ম পূজা কবিলেন। মহাপ্ৰভুও ভক্তোব সেবা গ্ৰহণ কবিবােব অভিপ্ৰায়ে উপযাচক হইযা তাহাদেব প্রদত্ত বহুবিধ ভক্ষ্যোপচার পবম আনন্দে ভোজন কবিলেন এবং শ্ৰীবস্যাদি ভক্তবৃন্দোিব পূর্ব বৃত্তান্ত-সমূহ বৰ্ণনা কবিতে লাগিলেন। ভক্তগণ-কীৰ্ত্তক সান্ধ্য-আবাত্রিক সম্পন্ন হইলে শ্ৰীগৌরসুন্দব স্বীয় ঐশ্বৰ্য্যপ্ৰকাশ-লীলা-প্ৰদৰ্শনার্থ তাহাব অতীব প্রিয়ভক্ত শ্ৰীধবকে আহবান কবিতে শুক্তিগণকে আদেশ কবিলেন । প্ৰভুল আদেশে বৈষ্ণবগণ অৰ্দ্ধপথে আসিয়া শ্ৰীধবেব উচ্চ হাবিনামধ্বনি শ্রবণ-পূর্বক তদনুসাবণে শ্ৰীধর- ভবনে গমন কবিলেন । বাহা পবিচায়ে শ্ৰীধব অত্যন্ত দৰিদ্ৰ হইলেও তিনি মহাপ্ৰভুবা অলৌকিক ভক্ত বলিযা পৃষ্ণপ্ৰেম-ধানে নিত্যকাল ধণী ছিলেন । যুধিষ্ঠিবের ন্যায় মহাসত্যবাদী দৰিদ্ৰ খোলাবেচা শ্ৰীধল ভগবৎসেবাব যে অসামান্য আদর্শ জগতে প্ৰদৰ্শন কবিয়া ছেন, তাহা সকলোবই অনুসৰণীয়। পাষণ্ডিগণ মনে T কবিতা যে, শ্ৰীধর দাবিদ্র্য-পীড়িত হইয়া ক্ষুধাবী জ্বালাষ সাৰাবান্ত্রি জাগিষা ভগবানের নাম কীৰ্ত্তন কবিতেন গ', পৰিহাব-পূর্বক, নিজে যে স্বযং বিষ্ণু বস্তু বা বিষয়বিগ্ৰহ,

তাহা প্ৰকাশিত কবিয়া নিখিল আশ্রিত ভক্তগণেব সেবাগ্ৰহণ-মানসে বিষ্ণুখটায় সপ্তপ্ৰহব ব্যাপিয়া উপবেশন কবিলেন। তাহাব এই মহাপ্রকাশ-লীলায় তিনি বিষ্ণুব সকল অবতারের রূপ-সমূহ প্ৰকাশ করিযাছিলেন। এই দিবসে প্ৰভুব ইঙ্গিতক্রমে ভক্তগণ পরমানন্দচিত্তে বিবিধ উপাযানযোগে ধৈকুণ্ঠাধিপতি যাড়ৈশ্বৰ্য্যপুর্ণ শ্ৰীগৌৰীনারায়ণেব ‘বাজরাজেশ্বর-অভিষেক’ সুসম্পন্ন কবিলেন । "ভক্তিগণ দশাক্ষর গোপালমন্ধেব বিধিমতে ষোড়শোপচারে মহাপ্রভুর পূজা করিয়া বহুপ্ৰকার স্তুতিবন্দনামুখে শ্ৰীগৌরসুন্দবের সর্বকাবণকারণত্ব, সৰ্ব্বেশ্ববেশ্বরত্ব এবং জীবোদ্ধারার্থ নিজসেবা প্ৰকটনাভিলাষে ভক্তভাবাঙ্গীকার প্রভৃতির উল্লেখ দ্বারা তাহার অপ্ৰাকৃত গুণ-লীলাদি বর্ণনা করিলেন। অনন্তর শ্ৰীগৌরসুন্দর নিজ শ্ৰীচরণ পূজার নিমিতে অকপটে প্রসারিত করিয়া দিলে ፃ S ৩াহাবা জানিত না। যে, যিনি নিখিল ঐশ্বৰ্য্যের অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীদেবীর পতিব সেবায সৰ্ব্বদা নিরত, তাহার কোনদিন প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে দাবিদ্র্য থাকিতে পারে না । শ্ৰীধর পাষণ্ডিগণেব কথায্য কৰ্ণপাত না কবিয়া সর্বদা কৃষ্ণনামরিস-পানে বিভোর থাকিতেন এবং রাত্রিকালে নিজের ও জগতের পাবমার্থিক মঙ্গলের জন্য আত্তিসহকালে 'ভগবানকে ডাকিতেন । ভক্তগণ-সমীপে মহাপ্ৰভুর নাম শ্রবণমাত্র শ্ৰীধর আনন্দে মূচ্ছিত হইলে ভক্তগণ তাহাকে সন্তৰ্পণে মহাপ্রভূর নিকট লইয়া আসিলেন। শ্ৰীধারকে দেখিয়া মহাপ্ৰভু পবিমানন্দিত হইলেন এবং শ্ৰীধরও প্রভুর দিব্য ভূবনমোহন রূপ দর্শন করিয়া অতীব মুগ্ধ হইলেন ।