পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. Regees-seri vejit জয় বাসুদেব-শ্ৰীগর্তের প্রাণনাথ। জীব-প্রতি করা প্ৰভু শুভদৃষ্টিপাত ॥৫৷৷ ভক্তগোষ্ঠী সহিত গৌরাঙ্গ জয় জয়। শুনিলে চৈতন্য কথা ভক্তি লভ্য হয় ॥৬৷৷ মধ্যখণ্ড কথা ভাই শুনা একচিতে । মহাপ্ৰভু গৌরচন্দ্ৰ বিহরে যে-মতে ॥৭৷৷ বৈষ্ণবগণেব মনোভিলাষ-সিদ্ধিপ্ৰদ চৈতন্তেব্য মহাপ্ৰকাশ এবে শুন চৈতন্তের মহা-পরকাশ। ফঁহি সর্ব-বৈষ্ণবের সিন্ধি-অভিলাষ ॥৮৷৷ গ্ৰন্থকাব কর্তৃক প্রভুর সাত-প্ৰহাবিয়া-ভাবেব সুত্র বর্ণন‘সাত প্ৰহরিয়া-ভাব’। লোকে খ্যাতি যা’র । যহি প্ৰভু হইলেন সর্ব অবতার ॥৯৷৷ অদ্ভুত ভোজন যহি, অদ্ভুত প্ৰকাশ। যারে তারে বিষ্ণুভক্তি-দানের বিলাস ॥১০৷৷ রাজ-রাজেশ্বর-অভিষেক সেই দিনে। করিলেন প্ৰভুরে সকল ভক্তগণে ॥১১৷৷ শ্ৰীনিত্যানন্দসহ মহাপ্ৰভুল শ্ৰীবাস-গৃহে আগমন ও ক্রমে সকল ভক্তোব মিলনএকদিন মহাপ্ৰভু শ্ৰীগৌরসুন্দর। আইলেন শ্ৰীনিবাস পণ্ডিতের ঘর ॥১২৷৷ ज८ ब्ञिडनन्ड श्रद्राम विश । অল্পে অল্পে ভক্তগণ মিলিলা সকল ॥১৩৷৷ আবিষ্টচিত্ত মহাপ্ৰভুবা ঐশ্বৰ্য্য-প্রকাশ-পূর্বক চতুর্দিকে নিরীক্ষণ ও প্ৰভুব ইঙ্গিতে 'ভক্তগণের কীৰ্ত্তনাবন্ত আবেশিত চিত্ত মহাপ্ৰভু গৌর-রায়। পরম ঐশ্বৰ্য্য করি’ চতুর্দিগে চায় ॥১৪৷৷ শ্ৰীগৌরসুন্দব-বক্ৰেশ্বর ও শ্ৰীপুণ্ডৱীক বিদ্যানিধির প্রেমের আশ্ৰয় অর্থাৎ গৌবহরি-বিষযে আশ্ৰিত-তত্ত্ব বক্রেশ্বর ও পুণ্ডবীক আশ্ৰয় লাভ করিলেন ৷৷ ৪ ৷৷ শ্ৰীচৈতন্যদেবের মহাপ্ৰকাশের বর্ণন শ্ৰবণ কবিলে সকল বৈষ্ণবের অভীষ্ট পূর্ণ হয়৷ ৮ ৷৷ সাড়ে সাত দণ্ডে এক প্ৰহব ; উহা তিন ঘণ্টা, সাত গৌরহরি একুশ ঘণ্টাকাল প্ৰহবে-একুশ ঘণ্টাকাল। যাবৎ বিষ্ণুর সকল অবুতারেব লীলা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। Ꮼ ᎸᏕ প্রভুর ইঙ্গিত বুঝিলেন ভক্তগণ।। ১ উচ্চৈঃস্বরে চতুর্দিগে করেন কীৰ্ত্তন৷৷১৫৷৷ &প্ৰভুব ভক্ত ভাবলীলা-সঙ্গোপন-পূর্বক ভগবাবে একুশ ঘণ্টাকাল বিষ্ণুখট্রায় উপবেশনঅন্য অন্য দিন প্ৰভু নাচে দাস্যভাবে। ক্ষণেকে ঐশ্বৰ্য্য প্রকাশিয়া পুনঃ ভাঙ্গে ॥১৬৷৷ जकब्ण छgख्द्र छाgly q ब्ाि अफ्रिटुङ । উঠিয়া বসিলা প্ৰভু বিষ্ণুর খাট্টাতে ॥১৭৷৷ আর সব দিনে প্ৰভু ভাব প্রকাশিয়া। বৈসেন বিষ্ণুর খাটে যেন না জানিয়া ॥১৮৷৷ সাত-প্ৰহরিয়া-ভাবে ছাড়ি সর্ব মায়া । বসিলা প্রহর-সাত প্ৰভু ব্যক্ত হৈয়া ॥১৯৷৷ যোড় হস্তে সম্মুখে সকল ভক্তগণ। রহিলেন পরম আনন্দযুক্ত মন ॥২০৷৷ কি অদ্ভুত সন্তোষের হইল প্ৰকাশ। সবাই বাসেন যেন বৈকুণ্ঠ-বিলাস ॥২১৷৷ প্রভুও বসিলা যেন বৈকুণ্ঠের নাথ । তিলার্ধেক মায়া-মাত্র নাহিক কোথাত ॥২২৷৷ প্রভুর ইঙ্গিতে ভক্তগণ-কর্তৃক প্রভুর অভিষেকগীতকীৰ্ত্তন এবং পুরুষসূক্ত-মন্ত্রে অভিষেকআজ্ঞা হৈল,-“বল মোর অভিষেক-গীত।” শুনি’ গায় ভক্তগণ হুই’ হরষিত ॥২৩৷৷ অভিষেক শুনি’ প্ৰভু মস্তক চুলায়। সবারে করেন। কৃপাদৃষ্টি অ-মায়ায় ৷৷২৪৷৷ প্রভুর ইঙ্গিত বুঝিলেন ভক্তগণ। অভিষেক করিতে সবার হৈল মন ॥২৫৷৷ তৎকালে তিনি আশ্চৰ্য্য লীলা প্ৰকাশ করিয়া ভোজন এবং হবিভক্তিদানে ভক্তগণকে আনন্দিত করেন ৷ ৯ ৷৷ বিষ্ণুর থাট্টা-অৰ্থাৎ ভগবৎসিংহাসন। অন্যান্য দিবস মহাপ্ৰভু যেন অজ্ঞাতসারেই নিজ ভাবাবেশে বিষ্ণুখট্রায় উপবেশন করিতেন, কিন্তু কথিত দিবসে ভক্ত-ভাব-লীলা সঙ্গোপন রাখিয়া ভগবদ্ভাবে একুশ ঘণ্টাকাল বিষ্ণুখটায় বিরাজমান ছিলেন। সেইদিন আর কোন প্রকার আবরণ রাখিলেন না, নিজ স্বরূপ সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করিলেন