পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. (২) পিতামাতাকে গুপ্তবাস-প্ৰদৰ্শন আদিখণ্ডে, শিশুরূপে অনেক প্ৰকাশ । পিতা-মাতা-প্ৰতি দেখাইলা গুপ্তবাস ৷৷ ৯৭ ৷৷ চৈতন্যভাগবত-রচনার উপকরণ বা উপাদানরূপে স্বীকার করিয়াছেন ; এতদ্বারা গ্ৰন্থকার কর্তৃক বৈষ্ণবানুগত্যেই সুক্ষ্মভাবে শ্ৰোতপস্থার আদর প্রদর্শিত হইতেছে ৷ ৮৪ ৷৷ cगन्-भऊ, 6ठन-भउ,-6बभन्ा, তেমন ॥৮৫ ৷৷ পুত্তলিকা যেমন স্বয়ং স্বতন্ত্রভাবে নৃত্য করিতে অসমর্থ এবং ঐন্দ্ৰজালিকগণ যেমন সেই পুত্তলিকাকে যথেচ্ছভাবে নৃত্য ও পরিচালন করায়, কিন্তু নৃত্যের কারণ অদৃশ্য থাকে, তদ্রুপ পরম-কৃপাময় স্বয়ং ভগবান শ্ৰীগৌরচন্দ্রও আমাকে তন্নামগুণ-কীৰ্ত্তনকারিরূপে নৰ্ত্তক করিয়া তুলিয়া যথেচ্ছভাবে স্বীয় সেলার নিমিত্ত পরিচালন করিতেছেন, আমি— স্বতন্ত্রভাবে তন্নামগুণকীৰ্ত্তনরূপ ‘নৃত্যাদি-কাৰ্য্যে” অসমর্থ। শ্ৰীমৎ কবিরাজ-গোস্বামি প্ৰভু বলেন,-(চৈঃ চিঃ আদি ৮৩৯ সংখ্যায়) “বুন্দাবনদাস-মুখে বক্তা-শ্ৰীচৈতন্য” ॥ ৮৬ ৷৷ এই পন্থটি বৈষ্ণবাচাৰ্য্য গ্ৰন্থকার অতি-দৈন্যভারে এই গ্রন্থের বহুস্থানে লিখিয়া গিয়াছেন ৷ ৮৭ ৷৷ গ্রন্থের খণ্ডত্ৰয়ের আদিখণ্ডে-মহাপ্ৰভুর ‘বিদ্যা-বিলাস’, মধ্যখণ্ডে-‘কীৰ্ত্তনবিলাস’ এবং শেষখণ্ডে- পুরুষোত্তমে যতিবেশে অবস্থান-লীলা বর্ণিত হইয়াছেন; তন্মধ্যে শ্ৰীগৌরসুন্দরের গৃহস্থলীলায় শ্ৰীগৌড়দেশবাসীকে কৃষ্ণকীৰ্ত্তনোপদেশপ্ৰদান এবং সন্ন্যাসলীলায় উৎকলে শ্ৰীপুরুষোত্তমে অবস্থানপূর্বক স্বীয় ভক্তগণের পালন শুনা যায়। যেকালে তিনি গৌড়দেশে ভক্তিধৰ্ম্ম-প্রচার করিতেছিলেন, তৎকালে তঁাহার সাহায্যকারিরূপে শ্ৰীনিত্যানন্দ প্ৰভু ও শ্ৰীহরিদাস-ঠাকুর এবং অন্যান্য শুদ্ধভক্তগণ প্রচারকার্শ্যে নিযুক্ত ছিলেন । নীলাচলে অবস্থান-কালে শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু গেী হৈ, প্রচারকার্য্যের নিমেিত্ত শ্ৰীনিতানন্দ প্ৰভুকেই প্ৰধান প্রয়করূপে নিযুক্ত করিয়া ছিলেন। নীলাচলে অবস্থিত গৌড়ীয়ভক্তগণ শ্ৰীদামোদরস্বরূপ-গোস্বামি-প্ৰভুরই অনুগত ছিলেন, আর গৌড়দেশবাসী ভক্তগণ শ্ৰীনিত্যানন্দ প্রভুর অধিকারে থাকিয়াই নিরন্তন হরিভজন করিতেন। শ্ৰীক্ষেত্রমণ্ডলে শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু স্বয়ং প্রচারকগণের অগ্ৰণী হইয়াছিলেন, আর শ্ৰীগৌড়মণ্ডলে w डीडीौ5डण्डाश्रवड (৩) পিতামাতাকে মহাপুরুষ চিহ্ন-প্ৰদৰ্শনআদিখণ্ডে, ধ্বজ-বজ-অনুশ-পতাকা । গৃহ-মাঝে অপূর্ব দেখিলা পিতা-মাতা৷৷ ৯৮ ৷৷ তিনি শ্ৰীনিত্যানন্দ-প্ৰভুকে প্ৰধান প্রচারক পদে অভিষিক্ত করিয়াছিলেন। শ্ৰীনিত্যানন্দ-প্ৰভু দ্বাদশজন প্রধানভক্ত লইয়া গৌড়দেশের সর্বত্র প্রচার-কাৰ্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। শ্ৰীব্ৰজমণ্ডলে প্ৰধান-সেনাপতি শ্ৰী রূপ-সনাতন-গোস্বামি প্ৰভুদ্বয় পশ্চিমাদেশের প্রচার-ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । ৯০-৯১ ৷৷ তত্ত্ববৰ্ণনে গ্ৰন্থকার মহাপ্রভুর পিতা-মাতাকে ‘বসুদেব’ ও ‘দেবকী’ এবং প্রভুকে “নারায়ণ’ বলিয়াই অভিহিত করিয়াছেন। ঐশ্বৰ্য্য বা তত্ত্ববৰ্ণনে এইরূপ নির্দেশ দোষাবহু নহে; মাধুৰ্য্যাবস্থানের কথা অ-তাবিক জগতে বিচারিত হইলে উদ্দেশ্যসিদ্ধি হয় না। গৃহে অবস্থানকালে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর “নিমাই’, ‘বিশ্বম্ভর’ প্ৰভৃতি নাম ছিল ; সন্ন্যাসগ্রহণের পর তাহার নাম ‘কৃষ্ণচৈতন্য’ হইয়াছিল। বিশ্ববাসীকে সেই কৃঞ্চনামে অনুপ্রাণিত করিয়া প্ৰভু তাহার ‘কৃষ্ণচৈতন্য’-নামের সার্থকতা প্ৰদৰ্শন করেন। আশ্রম-বিচারে সৰ্ব্বশ্ৰেষ্ঠ চতুর্থ আশ্রমই ‘সন্ন্যাস” ; তজ্জন্য যতি-নামই এই ংসারের অলঙ্কার-স্বরূপ ৷৷ ৯৪ ৷৷ শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু “১৪০৭ শকাব্দার ফান্ধন-পূর্ণিমা-তিথিতে সন্ধ্যায় চন্দ্ৰগ্ৰহণকালে আবিভূতি হন৷ ৯৫ ৷৷ চন্দ্রের উপরাগকে ‘শুভক্ষণ” বলিয়া বিবেচনা করিয়া জগতের লোকসকল উচ্চ-হরিসঙ্কীৰ্ত্তনে নিযুক্ত ছিলেন। ঐৰূপ সঙ্কীৰ্ত্তনমুখেই স্বয়ং ভগবানের আবির্ভাব হইয়াছিল৷ ৯৬ ৷৷ প্ৰাকৃত-জগতে ভগবানের অবস্থিতি ও ধামাদিঅপ্ৰকাশিত। পিতামাতার দিব্যজ্ঞান উদয় করাইয়া ভগবান স্বীয় অপ্ৰকাশিত বাসভূমি প্ৰদৰ্শন করিলেন৷ ৯৭ ৷৷ * মহাপুরুষ-লক্ষণে ধ্বজ, বীজ, অঙ্কুশ ও পতাকা প্ৰভৃতি চিহ্নসমূহ সামুদ্রিক শাস্ত্ৰে কথিত আছে। শ্ৰীভগবানের পাদপদ্মে ঐসকল চিহ্ন-নিত্য-প্ৰকাশিত। প্ৰভু গৃহের অভ্যন্তরে যে-সকল স্থানে ভ্ৰমণ করিয়াছেন, সেইসকল স্থানে ধ্বজবজ্বাদি চিহ্ন থাকায়, শ্ৰীশচীদেবী ঐগুলি দর্শন করিলেন। ৯৮ ৷৷ ভগষজন্মদিন, একাদশী এবং কতিপয় দ্বাদশীকে ‘শ্ৰীহরিবাসীর’ বলে। ঐ হরিবাসর-দিবসে শ্ৰীহরির সেবকগণ