পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৭৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܘ ܘ ইচ্ছাময় মহেশ্বর ইচ্ছা-কাচ কাচে। তান ইচ্ছা নাহি করে, হেন কোন আছে ?২১৩৷৷ তথাপি তঁহার কাচ-সকলি সুসত্য। জীব তারিবার লাগি” এ সব মহন্তু ৷৷ ২১৪ ৷৷ ভাগ্যহীনের দৃষ্টিতে বিষয়-বিগ্রহের আশ্রয়ােচিত লীলা ভ্ৰান্তি-আনয়নকারিণীইহা না বুঝিয়া কোন কোন পাপী জনা। প্রভুরে বলয়ে ‘গোপী” খাইয়া আপনাে৷ ২১৫৷৷ প্ৰভু হইবার বিচার-লোভ প্ৰবল হয়। তখনও তিনি বুঝিতে পাবেন না যে, যে জননী তাহার প্রকটকালাবধি সেবা করিয়া আসিতেছেন, তাহার সেবা কবিয়া ঋণমুক্ত হওয়া আবশ্যক । এরূপ বিচাব প্ৰবলতা লাভ কবিলে তাহার আব্ব সংসার-ভোগে প্রবৃত্তি হয় না। কিন্তু ‘বিষ্ণুমায়া এরূপ শক্তিসম্পন্ন যে, সকল জীবকে তিনি সেরূপ অধিকার দেন না। ভগবদবস্তু কখনও সেবক-সেবিকা श्ड श्राएलन न। डिनि नलीलाशे ४डू ७ (डौ, তঁহার অনুগত শক্তিগণই তঁাহাব সেবক-সেবিকা । ভগবদ্বস্তুকে যাহাবা সেবক-সেবিকা-তত্ত্বে পরিণত করিবাব অভিপ্ৰায় করেন, তাহাবা বিষ্ণুমায়া দ্বাবা বিমোহিত হন। বিষ্ণু কখনও বদ্ধজীব-ভোগ্য শক্তি হন না। তন্তজন্যই ভগবানের বহিবঙ্গ-শক্তিপরিণত জগৎকে ভোগ্যভূমি জ্ঞান কবিতে গিয়া তটস্থ-শক্তিপরিণত জীব জগতের প্রভু হইয়া বসিয়াছেন ও শাক্তেয় মতবাদ স্থাপন করিয়া পবমাৰ্থ-পথ হইতে বিদায় গ্ৰহণ করিয়াছেন। জড়াভোগকেই যখন প্রয়োজন বোধ হয়, বদ্ধজীব সেইকালে ভগবদ্বস্তুকে তাহাব ইন্দ্ৰিয় ভোগ্য-সরবরাহকাবিণী ব্যাপারবিশেষে স্থাপন করে , সুতরাং তন্নিমিত্ত ভোেগরজুতে বন্ধ হইয়া পড়ে। গৌরश्मनल डखडायांकीकांद्म-कौशाम 6श కాశ్ర त नील। প্রদর্শন, তাম্বারা শক্তিমন্দবিষ্ণুর সেবাই যে শাক্তেয় মতবাদীর উপাস্যা মূল শক্তির একমাত্র বৃত্তি—ইহাই প্রদর্শন। বিষ্ণুবস্তু কখনই শক্তি নহেন। শক্তিসৰ্ব্বদাই ভগবানের আশ্ৰিতা । সেবোম্মুখিনী শক্তি-শক্তিমত্তত্বের পরমোপযোগিনী এবং বহিরঙ্গা মায়াশক্তি অন্তরঙ্গা শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যভাগবত গোপিক-নৃত্য-কথা-শ্রবণের ফলে কৃষ্ণভক্তি লভ্যাঅদ্ভুত গোপিকা মৃত্য চারি-বেদ-ধন। কৃষ্ণভক্তি হয় ইহা করিলে শ্রবণ ॥২১৬৷৷ হইলা বড়াই বুড়ী প্ৰভু নিত্যানন্দ। সে লীলায় হেন লক্ষী কাচে গৌরচন্দ্ৰ ৷৷ ২১৭৷৷ নিত্যানন্দের সর্বত্ৰ গৌবসুন্দরানুগত্য প্ৰদৰ্শনযখন যেরূপে গৌরচন্দ্ৰ যে বিহারে। সেই অনুরূপ রূপ নিত্যানন্দ ধরে৷ ২১৮৷৷ শক্তিব সহিত বিপৰীতভাবে শক্তি-পরিচালনা-কাৰ্য্যের লীলা প্ৰদৰ্শন কবেন,—ইহা পবিপুষ্ট করিবার জন্যই গৌবসুন্দরের এতাদৃশী লীলার প্রকাশ ৷৷ ২০৪ ৷৷ ভগবান-বাস্তব বস্তু। ভগবদংশ জীবেব সহিত ভগবানের निडा जश्क। उदांन्-दिङ्ग९ि, ऊँट्रांद्र नश्ऊि जश्বিশিষ্ট অণুচিৎসকল আশ্রমজাতীয় শক্তির অংশবিশেষ। দেশ-কাল-পাত্ৰবিচারে ভগবানের বিভিন্ন শক্তি-পবিচালনা তঁহারই মায়াশক্তির কাৰ্য্য। এই সকল কথা প্ৰদৰ্শনকল্পে জীবের মায়িক পরিচয়ের সহিত স্বরূপ-লক্ষণে সম্বন্ধ না থাকিলেও তটস্থ-লক্ষণে সম্বন্ধ-সকল বৰ্ত্তমান, ইহাও বলিলেন ৷ ২০৫ ৷৷ অন্বয়ঃ। অহং (শ্ৰীকৃষ্ণ) অস্য (স্থিরচিবস্য) জগতঃ (চতুর্দশভুবনস্য) পিতা মাতা ধাতা পিতামহশ্চ (পিতৃত্বেন মাতৃত্বেন ধারকত্বেন পোষকত্বেন পিতামহস্ত্বেন চাহমেৱ স্থিত:) ॥২০৬ ॥ অনুবাদ। আমিই এই জগতের পিতা, মাতা, ধারক, পোষক এবং পিতামহীরূপে অবস্থিত ৷ ২০৬ ৷৷ মায়াশক্তিপরিণত জগতে গুণভেদে যে স্কুল ও সুন্ম অঙ্গ উৎপত্তি লাভ করিয়াছে, সে-সবগুলি চেতনের মুখ্য ও গৌণ শক্তি-বিচিত্ৰতারূপে পবিগণিত। লীলা ও ক্রিয়াতে বৈশিষ্ট্য আছে। অখণ্ডকাল ও খণ্ডকালের বিচারভেদে প্ৰাকৃষ্ঠ ও অপ্ৰাকৃত বিবিধ শক্তি অবস্থিত। ব্যক্তিবিশেষে অবস্থা-ভেদে অন্বয় ও ব্যতিরেকভাবে তাহার সহিত 6नशे&क्लिद्र नक्षका ॥ २»» | ভগবান-বিষয়-বিগ্ৰহ, তাহাকে আশ্ৰয়-বিগ্ৰহ-জানে ‘গোপী’ বলিয়া বর্ণনা করিলে তিনি শক্তিমাত্ৰে পৰ্য্যবসিত হন, শক্তিমান থাকিতে পারেন না। মায়াবাদী ও অভক্তগণ