পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৭৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

462 Vy সাধুনিন্দাশ্রবণে তুষ্ণীভাব-ধারণকারীব অধঃপাত সাধুনিন্দ শুনিলে সুকৃতি হয় ক্ষয়। জন্ম জন্ম অধঃপাত-বেদে এই কয় ॥১৪৪৷৷ বাটোয়ারে সবে মাত্র এক জন্মে মারে। জন্মে জন্মে ক্ষণে ক্ষণে নিন্দকে সংহরে’ ॥১৪৫ সাধারণ দন্ত্র্য অপেক্ষা বৈষ্ণববিদ্বেষী অনন্ত গুণে অধিক পাপিষ্ঠঅতএব নিন্দক-সন্ন্যাসী-বাটোয়ার। বাটোয়ার হৈতেও অনন্ত দুরাচার ॥১৪৬৷৷ ত্ৰিদণ্ড-গ্ৰহণ বলে। বিধিব অতীত পৰমহংস-আশ্রমেব অনুকূলে একদণ্ড-সন্ন্যাসেব ব্যবস্থায্য ব্ৰাহ্মণাচার শ্লথ হইয়া পড়ে। শূদ্রাচাবে বৈদিক সংস্কাব নাই। শূদ্রাচার-সম্পন্ন তপোবেশোপজীবী যদি প্ৰতি গ্ৰহ কবিবােব বাসনায় ধাবিত হয়, তাহা হইলে উহা পুনবায় শূদ্রাচাবে পৰিণত হয় । ত্ৰিদণ্ড যাহাদেব উপজীবিকা, তাহ বা ‘ভণ্ড' নামে শাস্ত্ৰে কথিত হইযাঢ়ে। উঠা বা উত্তম সন লাভ করিযও ধৰ্ম্মেব তাৎপৰ্য্য জানিতে না পারা যা অধৰ্ম্মকে ‘ধৰ্ম্ম’ বলিয়া প্রচালি কবে। মাযাবাদী একদণ্ডিগণ শূদ্ৰা সাব-সম্পন্ন হওয়ায় পৰমহংসধৰ্ম্ম হইতে বঞ্চিত হন। সেইকালে শূদ্ৰগণেব যে প্রকাশ প্রতিগ্রহ নিষিদ্ধ, সেই প্ৰকাব প্ৰতিগ্ৰহ-বাসনায় ধাবিত হইলে “ত পাবেশো পাজীবি-মাত্র’ বিচারে প্রতিষ্ঠিত হইতে হয। ত্ৰিদণ্ডি-সন্ন্যাসিগণেব সংস্কার পূর্ণমাত্রায় অবস্থান কলে। সেকালে তঁহাদেব আশ্রমে অবস্থান সম্পূর্ণরূপে বৈদিক অনুষ্ঠান বলিসা গৃহীত হয। সংস্কােববর্জিত শূদ্রাচালে প্রতিগ্রহ ক বা অধৰ্ম্মানয়ন মাত্র। ব্ৰাহ্মণাদি বর্ণচতুষ্টমাভিমান এবং ব্ৰহ্মচাবী প্রভৃতি আশ্রমচতুষ্টয়াভিমানে যে সকল তপস্যা, পবিচ্ছদ এবং জীবিকা বর্তমান, ত্ৰিদণ্ডিবিষ্ণুসেবকগণেব সেই প্ৰকাব কোন অভিমান নাই। তাহারা আপণাদিগুকে ব্ৰাহ্মণব্রুব, क्रखिम्रङ्गद, 8दथुङ्गष द। भूझकुनैं गः ६िठ कलन না। তাহারা বর্ণাতীত। তঁহা বা ব্ৰহ্মচাৰী, গৃহস্থ, বানপ্ৰস্থ ও ভিক্ষু-এই আশ্রম-চতুষ্টযে প্রতিপাল্য সকলবিধি ভগবৎসেবনোদেশে নিযুক্ত করায় ভোগময় জগতেব তপস্যা, বেষ বা নিজ প্ৰাণধারণের উপজীবিকা প্রভৃতিতে ौौ5उछुडांशंसऊ নিন্দক কৃষ্ণের অপ্ৰিয়আব্ৰহ্ম-স্তম্বাদি সব কৃষ্ণের বৈভব। 'নিন্দামাত্র কৃষ্ণ রুষ্ট? কহে শান্ত্র সব ॥১৪৭৷৷ অনিন্দকের একবাবি কৃষ্ণনামোচ্চারণেই ভগবদনুগ্ৰহ লাভ অনিন্দক হই’ যে সকৃৎ ‘কৃষ্ণ' বলে। সত্য সত্য কৃষ্ণ তারে উদ্ধারিব হেলে৷৷১৪৮৷৷ চতুৰ্বেদীবও বিষ্ণুবৈষ্ণব-নিন্দা-ফলে কুন্তীপাকে গমনচারি-বেদ পড়িয়াও যদি নিন্দ করে। জন্ম জন্ম কুন্তীপাকে ডুবিয়া সে মরে ॥১৪৯৷৷ আবন্ধ নহেন। তঁাহাবা শ্ৰীনাবাদ-পঞ্চবাত্রাকথিত “আবা ধিতো যদি হরিা:” শ্লোক পাঠ কবিমাছেন, সুতবাং তপস্যার প্ৰতি 'নিয়মগ্রহ’ প্ৰকাশ বা ‘নিযম-অগ্রহ’ প্ৰকাশ কবিয়া হলি-আবাধনাতেই বৈমুখ্য প্ৰদৰ্শন কবেন না। বাহ বেশেৰ প্ৰতি তঁহাদেব কোন আদব নাই। গৃহস্থের বেশ তঁহাদেব সম্মানেব লাঘব কবে না । সন্ন্যাসীব বেশে তাহা বা আপনাদিগকে উন্নত বলিয়া অভিমান করেন না । ব্ৰাহ্মণাদি ধর্ণচতুষ্টয়েব জীবিকার ছ্যান্য তঁহাদেশ নিজজীবন-ধাবণেব জন্য কোন চেষ্টাই নাই। তঁাহাবা বিষ্ণুবৈষ্ণবসেবাব জন্যই অর্জন কবিয থাকেন। কিন্তু নিজসেবাব জন্য ব্ৰাহ্মণাদিব। হ্যায় বৃত্তি জীবিমাত্র হন না। ব্ৰাহ্মণাচাবি-বর্জিত হইযা আপবেব দান-গ্ৰহণৰ দ্বাৰা নিজের জীবিকার্জনকে অধোগমনেব হেতু জানিয়া কোন বিষ্ণুসেবক নিজ উদরেব জন্য বা ভোগেব জন্য কোন দ্রব্যেৰ প্ৰতিগ্রহ কবেন না ; কিন্তু বৃত্তিজীবিগণ ত্ৰিদণ্ডকে আশ্রযকবিয়ানিজ ব্যবহাবোপযোগীসকল-বিষয়ভোগ করিতে করিতে বাবণাদির ন্যায় কপট তপোবেশাভিনিবেশ প্ৰদৰ্শন কবেন । অতপস্বী অপেক্ষ তপস্বীব শ্রেষ্ঠত বেদশাস্ত্র ও লোকাচাবে প্ৰসিদ্ধ আছে। কিন্তু তপস্তাব ছলনায় বেশাদিস্কুণে নিজেন্দ্ৰিয়-তৰ্পণপবিতা জীবকে বৰ্ণধৰ্ম্মে ও আশ্ৰম ধৰ্ম্মে প্রতিষ্ঠিত করাইয়া ভগবাদ্বিমুখ করে। সুতরাং ‘উত্তমাসনে আরূঢ় অভিমানে অধৰ্ম্মজ্ঞ জনগণ মায়াবাদ-প্রচারমুখে যে সমস্ত ধৰ্ম্মার্থকামমোক্ষের কথা বলিয়া থাকেন, উহাশূদ্রোচিত দানগ্ৰহণ-পিপাসা মাত্র এবং তপোবেশোপজীবীর গৃহীত কপটতা মাত্র। উহাই শূদ্রাচার এবং সেইরূপ শুদ্ধাচারই