পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৭৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

پو۹ه শ্ৰীকৃষ্ণের প্রপঞ্চাবিভূর্ত চতুৰ্ব্বিধ বিগ্ৰহভাগবত, তুলসী, গঙ্গায়, ভক্ত-জনে। চতুৰ্দ্ধা বিগ্ৰহ কৃষ্ণ এই চারি সনে ॥৮১৷৷ অৰ্দ্দাবিগ্ৰহ ও উপরিউক্ত চতুৰ্ব্বিধ বিগ্রহের তারতম্যজীবন্যাস করিলে শ্ৰীমুৰ্ত্তি পূজ্য হয়। “জন্ম মাত্র এ চারি ঈশ্বরী’ বেদে কয় ॥৮২৷৷ গ্ৰন্থকারের সপার্ষদ চৈতন্যদেবের চরণে একনিষ্ঠত-জ্ঞাপন চৈতন্য-কথার আদি অন্ত নাহি জানি। যে-তে-মতে চৈতন্যের যশ সে বাখানি ॥৮৩৷৷ শ্ৰীমহাপ্ৰভুব বাক্য শ্ৰবণ কবিয দেবানন্দ লজ্জিত হইলেন। প্রভুর বাক্যদণ্ড লাভ কবিয়া দেবানন্দোব সুকৃতিব উদয হইল। ভগবান বিষ্ণু যাহাদিগকে সংহাব কবেন, তাহারা মুক্তি লাভ করে। সুতবাং দেবানন্দোব প্রতি ভগবানেব। এই বাক্যদণ্ড উত্তরকালে তাহার সৌভাগ্যলাভেবই জনক হইয়াছিল ৷ ৭৫-৭৮ ৷৷ যিনি শ্ৰীচৈতন্যদেবেব দণ্ড-প্ৰদানকে বহুমানন কবেন। না, তাহাব প্ৰেমভক্তিব স্বরূপ-বোধে অভাব থাকে। যিনি ভগবানোবা দণ্ডকে নিজ-মঙ্গল-লাভের কারণ বলিয়া জানেন, তঁহারই প্ৰেম ভক্তি-লাভেব সুযোগ ঘটে ৷৷ ৭৮ ৷৷ শ্ৰীচৈতন্যদেবেব অসন্তোষে যাহার হৃদয় উত্বেলিত না হয়, তাদৃশ পাপচিত্ত ব্যক্তিকে যম প্ৰতিজন্মেই দণ্ড-বিধান マリ | vo | astovyotr's চৈতন্য-দাসের পায়ে মোর নমস্কার। ইথে অপরাধ কিছু নহুক আমার ॥৮৪৷৷ মধ্যখণ্ড কথা যেন অমৃতের খণ্ড । যে কথা শুনিলে ঘুচে অন্তর-পাষণ্ড ॥৮৫৷৷ চৈতন্যের প্রিয়-দেহ নিত্যানন্দ রায়। W প্রভু-ভৃত্য-সঙ্গে যেন না। ছাড়ে আমায় ॥৮৬৷৷ শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য নিত্যানন্দ চাদ জান। বৃন্দাবন দাস। তছু পদ-যুগে গান৷৷৮৭৷৷ ইতি শ্ৰীচৈতন্যভাগবতে মধ্যখণ্ডে দেবানন্দবাক্যদণ্ডবর্ণনং নাম একবিংশোহধ্যায়: । শ্ৰীকৃষ্ণ চবিমূৰ্ত্তিতে প্ৰপঞ্চে স্বীয় বিগ্ৰহ প্ৰকাশ করেন। যদিও এই চারিমূৰ্ত্তি সহসা দর্শন কবিলে ভগবান বলিয়া জানা যায না, তথাপি এই চাবিটি ভগবৎ-সম্বন্ধি বস্তু ভগবানেব প্রকাশ-বিগ্ৰহরূপে পূজিত হন। বৈষ্ণব, তুলসী, গঙ্গা ও শ্ৰীমদ্ভাগবত গ্ৰন্থ-এই চাবিটিই বৃষ্ণের প্রকাশनिश्-5टूछेम ॥५॥ বহির্বিচারে শ্ৰীঅৰ্চা-বিগ্ৰহে প্ৰাণ-প্ৰতিষ্ঠা কবিয়া পূজ্য বুদ্ধি কবিতে হয়। তাদৃশ প্ৰাণ-প্ৰতিষ্ঠা না কবিয়াও -শ্ৰীমদ্ভাগবত, তুলসী, গঙ্গা ও বৈষ্ণব, ইহাবা জগতেব ভোগ্যবস্তুবিচাবে পৰিদৃষ্ট হইলেও ইহারা ভোক্তৃভাব সম্পন্ন অভিন্ন ঈশ্বববস্তু ও প্রভূতত্ত্ব,--চিন্ময়জ্ঞান-প্ৰদাতা, বেদশাস্ত্র ইহাই বলিয়া থাকেন। ॥৮১৷৷ ইতি গৌড়ীয়-ভাষ্য একবিংশ অধ্যায় সমাপ্ত।