পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ao ’দত করি বিষহরি পুজে কোন জন । পুত্তলি করয়ে কেহো দিয়া বহু-ধন ৷৷ ৬৫ ৷৷ পুত্তলি-পুজা ও গৃহমেধীয় ধৰ্ম্মে বহু ধন-ব্যয়াদিতে লোকের অনর্থক কালক্ষেপণধন্স নষ্ট করে পুত্র কন্যার বিভায়। এইমত জগতের ব্যৰ্থ কাল যায় ॥৬৬৷৷ ത്ത করিয়া নব্যান্যায়ে শিক্ষা লাভ করিতেন। উত্তর-ভারতান্তিৰ্গত বারাণসী হইতে সন্ন্যাসী ও কৃতবিদ্য অধ্যাপকগণও নবদ্বীপনগরে 'বেদাস্ত-শাস্ত্ৰ” অধ্যয়ন করিবার জন্য আগমন করিতেন। দক্ষিণ-ভারতান্তির্গত কান্ধী হইতেও বিষ্ঠার্থিগণ নবীপ-নগরে পাঠার্থিরূপে আসিতেন ; সুতরাং বিভিন্নদেশবাসী বিদ্যার্থি-সমাজ নবদ্বীপে আগমন-ফলে নানাশাস্ত্ৰে পাণ্ডিত্য লাভ করিয়া সৰ্ব্বশাঙ্গে পারদর্শী হইবার অবকাশ *शेट्रॉछिंगाना ॥ ७० ॥ নানাশাস্ত্রের চর্চা এবং অসংখ্য অধ্যাপকগণের অবস্থিতি থাকায়, নবদ্বীপে বিদ্যাপীর সংখ্যা ও অগণনীয় ছিল। সমুচ্চয়,- ५é श्रै२||j ] श्लेष्ठ ॥ ७ ॥ লক্ষ্মীদেবীর অনুগ্রহে ঐশ্বৰ্য্যপূর্ণ নবদ্বীপ সকল লোকের সুখের আগার হইলে ও প্ৰাপঞ্চিক-সুখে উন্মত্ত জনগণ অক্ষাজজ্ঞান-সম্বদ্ধনার্থ ইন্দ্ৰিয তৰ্পণপর-বিচারমূলে গ্ৰাম্য ব্যবহার-রাসে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়; বৃথা৷ কালাতিপাত করিতেছিলেন। ত্ৰিদণ্ডিস্বামী শ্ৰীপ্ৰবোধ্যানন্দ সরস্বতীপাদ তৎক্লন্ত শ্ৰীচৈতন্যচন্দ্ৰামৃতে ১১৩ শ্লোকে শ্ৰীমন্মতা প্ৰভুর উদয ও প্রচার-কালে কৃষ্ণবিমুখিনী জড়বি পৃষ্ঠা ও জড়তপস্যাভিমান-মািত্ত্ব বিষয়িলোকের চিত্ত-বৃত্তি এরূপ-ভাবে বর্ণনা করিয়াছেন,-“স্ত্রী- পুত্ৰাদি-কথায় বিষয়িসকল প্ৰবৃত্ত ছিলেন ; সাংখ্য, ন্যায় ও বৈশেষিক প্রভৃতি হেতুবাদ মূলক দৰ্শনকৃষ্ট পণ্ডিতগণ শাস্ত্ৰপ্ৰবাদ অর্থাৎ বিতণ্ড-প্ৰশস্ত্ৰঞ্জঃস্ত ছিলেন ; পতঞ্জলদর্শনকৃষ্ট যোগিগণ বায়ু, ক রেচক, পুরক ও কুম্ভকাদিতে প্ৰমত্ত ছিলেন ; তপস্থিসকল নানা কৃচ্ছ, ও বৈরাগ্য-সাধনে বাস্ত এবং জীবন্মুক্তাভিমানী জ্ঞানিগণ নির্বিশেষ-বেদান্তমতের বিচারে উন্মত্ত ছিলেন ৷৷ ৬২ ৷৷ কলির শেষ-ভাগে যাবতীয় কদাচাররূপ ভগবদবিমুখত৷ সমগ্ৰ-জগতে প্ৰাধান্য লাভ করিয়া সর্বজীবমাত্রের একমাত্ৰ शैठौटेष्ङकृछाशयङ (খ) সূক্ষ্মদৃষ্টিগত অবস্থা-বৰ্ণন ; তথা-কথিত ব্ৰাহ্মণক্ৰবগণের BBDBDD KDL DD DBDBSDDBr DD DS গ্ৰাহিত্ব ছাড়িয়া বিষয়ভোগপর ভারবাহিত্ব যেবা ভট্টাচাৰ্য্য, চক্ৰবৰ্ত্তী, মিশ্র সব। StQSTTR oT UFGUY VK 3-VN79r N VAN ধৰ্ম্ম বা কৰ্ত্তব্য ভগবান বলরাম ও কৃষ্ণের সেবায় বঞ্চিত क्ष्ठिन् ॥ ७७ ॥ তৎকালে জড়বিদ্যা এতদূর প্রবল হইয়াছিল যে, হরিসেবা বিহীন বিচারকেই “পণ্ডিত্য” বলিয়া লোকের ভ্ৰম হইতে ছিল । সাধারণ-লোক মঙ্গলচণ্ডীর গান গাহিয়া ও শুনিয়া সাংসারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য-বৰ্দ্ধনকেই ধৰ্ম্মানুশীলনের ‘চর আদর্শ’ বলিয়া বিশ্বাস করিতেছিল । প্ৰকৃতপ্ৰস্তাবে অনাত্ম ব্য অভক্তিমূলক চেষ্টাকে ‘ধৰ্ম্ম বলিয়া ভ্রান্তি হওয়ায় সাংসারিক জনগণের অন্যাভিলাষ, কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের আবরণ-প্ৰাবল্য নিবন্ধ আত্মবিদ ভগবদ্যুক্তের চরণার্চনাই যে জীবের ( জীবনের একমাত্ৰ প্ৰয়োজনীয় বিষয়, তাহা মনে হইত না ৷৷ ৬৪ ৷৷ সাধারণ-লোক, বিশেষতঃ ধনবান বণিকসম্প্রদায়, মহ সমারোহে মনসা-দেবীর পূজা করিয়া অর্থাদি-দ্বারা ব্ৰাহ্মণা পণ্ডিত-সমাজকে ক্রয়পূর্বক বণিকসমাজের অধীন ৰুরি চেষ্টা করিত। নানাপ্রকার দেবদেবী ও সঙের পুত্তলি নিৰ্ম্ম করাইয়া তাহারা বহুধন দান করিত। অদ্যপি রাসাদি-যাত্র সময়ে নানা প্রকার পুত্তলি নিৰ্ম্মাণ করিবার প্রথা প্ৰচলি আছে। পরমার্থ-বুদ্ধিতে অপ্রাকৃত ভগবদবিগ্রহের সেব পরিবর্তে পৌত্তলিক-বিচারাবলম্বনে তাহারা উৎসবোপাল বহুধন ব্যয় করিত, আবার সেই পুত্তলিগুলিকে জলে বিসৰ দেওয়ায়, পূজ্যবস্তুর ও পূজার অনিত্যতা প্ৰমাণ করি সেইসকল বৃথা-কাৰ্য্যে বহুধন ব্যয়িত হওয়ায় শ্ৰীজগন্নাথদে পূজার ন্যায় নিত্য শ্ৰীবিগ্ৰহ-পূজা বঙ্গদেশে বিরল হ পড়িয়াছিল। পাঠান্তরে,-“পুত্তলি বিভা দিতে দেয় বহুধন।'অৰ্থাৎ ত্ব রসে মত্ত জনগণ দম্ভ পূর্বক বানর-বানরী, বিড়াল-বিড় পুতুল-পুতুলীর লিবাহাদি তুচ্ছ ও বৃথা উৎসব-কাৰ্য্যে অন অর্থ ব্যয় করিয়া ভগবদবৈমুখ্য সঞ্চয় করিত মাত্ৰ ॥ ৬৫ ৷৷