পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৯১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অন্ত্যখণ্ড-ৰতীয় অধ্যায় চতুর্দিগে সারি সারি স্বত্ত-দীপ জ্বলে। । নিরবধি অভিষেক হইতেছে জলে ॥৩১১৷৷ তৎক্ষণাৎ সতী অনুরদ্বয়ের সন্মুখ হইতে অন্তহিতা হইয়া শঙ্কুর পাদপদ্ম স্মরণ করিলেন। মহাদেব ভগবতীব স্মরণমাত্রেই গোপালবেশে গোপালিনী-বেশধারিণী সতীর সম্মুখীন হইলেন। গোপালিনী-বেশধারিণী সতী গোপালবেশী শঙ্কুর পাদপদ্ম বন্দনা করিলেন। মহাদেব বলিলেন, -“সতি, আমি তোমার স্মরণেব কারণ অবগত আছি । তোমার ব্যস্ত হইবাব কোন কারণ নাই। ভগবাদিচছায় অসুব-দ্বীয় উহাদের বধ বরণ করিবাব জন্যই তোমার নিকট দুষ্ট প্ৰস্তাব করিয়াছে। তোমাকে ঐ অসুবিদ্বয়েব আনুপূৰ্ব্বিক ইতিহাস বলিতেছি। 'দ্রুমিল” নামে এক নবপতি *বহু মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠান কবিয়া দেবতাগণের প্রসন্নতা বিধান পূর্বক এক বব লাভ করেন যে, তাহাব ‘কৃত্তি, ও 'বাস।” নামক পুত্রদ্বষ শস্ত্ৰেৰ অবধ্য হইবে। অতএব ভগবাদিচ্ছাক্রমে তোমাকেই সেই দুৰ্ব্বত্ত অসুবন্ধয়কে বধ কবিতে হইবে।” সতী পতিব্ব এইরূপ আদেশ লইয়া গোপালিনীবেশেই বনে বনে ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন এবং অল্পকাল-মধ্যেই সেই দুৰ্ব্বত্ত অসুরদ্বয়কে দেখিতে পাইলেন। সতী উক্ত অনুবভ্রাতৃদ্বয়কে বঞ্চনাপূর্বক বলিলেন,-“আমি তোমাদের মনস্কাম পূর্ণ কবিতে পারি ; কিন্তু আমাব একটা প্রতিজ্ঞা আছে । যে আমাকে স্কন্ধে বা মস্তকে বহন কবিতে পাবিবে, আমি তাহারই পত্নী হইব ।” সতীব। এই কথা শুনিয়া বিমুগ্ধ অনুবভ্রাতৃদ্বয় পরস্পৰ প্ৰতিদ্বন্দ্বী হইয়া পড়িল। তখন গোপালিনী-বেশধাৰিণী সতী উভয় ভ্রাতারই স্কন্ধে পদ স্থাপন করিয়া দণ্ডায়মানা হইলেন এবং বিশ্বম্ভরীরূপ ধারণ করিলেন । বিশ্বস্তুরীব গুরুভাব বহন করে কাহার সাধ্য ? অসুরদ্বয সতীর গুরুত্বে দলিত হইয়া বিনষ্ট হইল। পৌরাণিক আখ্যাধিকা। এই যে, তদবধি সতী ও সতীনাথ শঙ্কু কাশীর সুবর্ণমন্দির পরিত্যাগ করিয়া একাম্রাক-কাননে বাস করিতেছেন ৷৷ ৩০৭ ॥ ২ তথ্য। ভুবনেশ্বরী গোপালিনী-মূৰ্ত্তিতে 'কৃত্তি, ও ‘বাগ’ নামক অসুরদ্বয়কে পদ-দলনে বিনষ্ট করিয়া অতীব তৃষ্ণাৰ্ত্তভাবে নিদ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। ভুবনেশ্বরীর পিপাসা-নিবুক্তির ov) নিজ-প্রিয়-শঙ্করের দেখিয়া বিভব । তুষ্ট হইলেন প্ৰভু, সকল বৈষ্ণব ॥৩১২৷৷ জন্য মহাদেব ত্রিশূলা গ্ৰন্বারা শৈল বিদ্যাবণপূর্বক একটা বাপী প্ৰকাশ কবিলেন । ইহাই “শঙ্কর-ব্যাপী” নামে প্ৰসিদ্ধ হইল। কিন্তু ভুবনেশ্বরী তথায় একটী নিত্যপ্রতিষ্ঠিত জলাশয় হইতে জল পান কবিতে ইচ্ছা করিলেন। শান্তু চরাচবোব নিখিল তীর্থকে আনয়ন এবং জলাশয়-প্ৰতিষ্ঠার যজ্ঞসমাধানাৰ্থ ব্ৰহ্মাকে আহবান কবিবার জন্য নিজ বৃষকে প্রেরণ করিলেন। ব্ৰহ্মা বৃষ দ্বারা আস্থত হইষা দেবতাগণসহ এই ক্ষেত্রে আগমনপূর্বক ভূবনেশৈব পাদপদ্ম বন্দনা করিলেন। অনন্তর বৃষভ স্বৰ্গলোক হইতে মন্দাকিনী প্রভৃতি, পৃথিবী হইতে প্ৰযাগ, পুঙ্কর, গঙ্গা, গঙ্গাদ্ধার, নৈমিষ, প্ৰভাস, পিতৃতীর্থ, গঙ্গাসাগর-সঙ্গম, পয়োঞ্চি, বিপাশা, শতদ্র, কাবেবী, গোমতী, কৃষ্ণা, যমুনা, সরস্বতী, গণ্ডকী, ঋষিকুল্য, মহানদী প্ৰভৃতি ও পাতাল হইতে ক্ষীরোদৃদি সমুদ্রকে আহবান করিয়া আনিলেন। ঐ তীর্থসমূহকে সমাগত দেখিয়া ভুবনেশ ত্রিশূলাঘাতে পাষাণ বিদ্যাবণ্যপূর্বক বলিলেন,-“আমি এই স্থানে ত্বদ নিৰ্ম্মাণু কবিতে ইচ্ছা কবিয়াছি ; তোমাবা সকলে বিন্দু বিন্দু flag এই স্থানে গলিত হও।” তীর্থসমূহ শঙ্কুব আদেশ পালন কবিলে ভগবান জনাৰ্দন ও ব্ৰহ্মা-প্রমুখ দেবগণ তাহাতে স্নান কবিলেন। ভুবনেশ্ববও প্রমথগণের সহিত সানন্দে অবগাহন করিলেন এবং বলিলেন,-“এই স্থানে ‘শঙ্কববাপী’ ও ‘বিন্দুসরোবর’ নামে দুইটী পবিত্র জলাশয় প্ৰকাশিত হইল। শঙ্করবাপীতে স্নান কবিলে মৎস্বরূপ্য এবং বিন্দুত্ত্বদে মান করিলে মৎস্যালোক্য লাভ হইবে।” অনন্তর বৈষ্ণবপ্রবল শাস্তু জনাৰ্দনকে নমস্কার বিধানপূর্বক বলিলেন,-“হে পুরুষোত্তম, আপনি রূপা পূৰ্ব্বক অনন্তের সহিত এই বিন্দু হ্রদের পূর্ব তীরে মূৰ্ত্তিদ্বয়ে অবস্থান করিয়া আমার নিয়ামকত্ব ও ক্ষেত্রপালকত্ব করুন । তদবধি ভগবান অনন্তবাসুদেব নিজপ্রিয় শঙ্করকে উচ্ছিষ্টাদি-দানে কৃপা এবং শত্যুব নিয়ামক ও ক্ষেত্রপাল্যকরূপে বিন্দুসরোবরের পূৰ্ব-তটে বাস কবিতেছেন। শ্ৰীশ্ৰী অনন্তলাসুদেবের প্রসাদनिficशा लूप८नश्न १लू अर्क्रिउ ९३१l १16कभ।