পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রীচৈতন্যমঙ্গল مراه শুন অদভুত কথা, তুমি সৰ্ব্ব স্বষ্টিকৰ্ত্তা, তোর নাম বুলিয়ে ব্রহ্মাণ্ড । যুগ-অনুরূপ রাগে, যুগপৰ্ম্ম করে লোকে, কলিযুগে পাপ পরচণ্ড ॥ ২৮২ ॥ স্বাপর-শেষের লোকে, সব দুঃখময় শোকে, দেখি মোর কলিকে তরাসে । কাতর হৃদয়ে মরি, গেলু পন্থ বরাবরি, শুপাইমু পরম সহসে ॥ ২৮৩ ॥ কলি পাপময় যুগে, নিস্তার করিল লোক, কহ প্ৰভু কেমন উপায়। ব্রাহ্মণ সে লেদহীন, সৰ্ব্বলোক ধৰ্ম্মক্ষীণ, মোর হিয়ায় এ ন ড্র সংশয় । ২৮৪ ॥ শুনি এঃ কাতর-বাণী, বোলে পন্থ গুণমণি দূর কর হৃদয়ের চিন্ত । স্বলি-লোক নিস্তারিল, নিজ ভুক্তি প্রচারিব, অপভার করিব মে তথা ॥ ২৮৫ ॥ সুব্রত, তপ ধৰ্ম্ম তার যত যত কৰ্ম্ম, , সব তারোপিয়া হরিনামে । .াষ-ময় দেখ, এক মহাগুণ লেখ, .যুক্তবন্ধ মোর সঙ্কীৰ্ত্তনে ॥ ২৮৬। ৷ষণা বোলহ তুমি, শিব ব্রহ্মা-আদি-ভূমি, সলে জনমাহ কলি পাঞl । করুণ-বিগ্ৰহ আমি, জনম লভিব ভূমি, যুগ অনুসারে গৌর হএণ ॥ ২৮৭ ॥ ( শুভ না ) পহি" রাগ---দিশ; } জয় জয় গৌরাঙ্গার্চাদ নদীয়া-উদয় কলিকালে ৷ ( মূৰ্ছা ) না হারে আমার প্রভুর কথা শুন । এ তিন ভুবন আলো কৈল যার গুণ ॥ নাহারে গৌরাঙ্গ চান্দের কথা শুন আরে কি আরে হয় হয় ॥ ধ্রু ॥ ঐছন শুনিয়া বাণী পিরিঞ্চি ঠাকুর । হৃদয়ে রুপিল প্রেম-অমিয়া-অঙ্কর ৷ ১৮৮ ৷ গণ্ড পুলকিত আঁখি অশ্রুধারা গলে। আনন্দে বিহবল ব্রহ্মা মুনি কৈলা কোলে ॥১৮৯ বোলয়ে বিরিঞ্চি—শুন মহামুলিবর। তোর পরসাদে আজি প্রসক্স-অন্তর ॥ ২৯০ ॥ বিষয়-বিপাকে সবে মায়াবন্ধে অন্ধ । ভোর পরসাদে পুনঃ হয় মুক্তবন্ধ ॥২৯১ ॥ লোক-নিস্তারণ-হেতু তোর মাত্র চিন্তা। পূরুল-বৃত্তান্ত কিছু কহি নিজবাৰ্ত্ত ॥২৯২ ॥ সনকাদি মুনি যত আমার নন্দনে । অন্তর প্রকাশি কিছু কহিল মে স্থানে ॥ ৯৩} আমারে কহিল—তুমি প্রভু-প্রিয়পুত্র। যে কিছু পুছিয়ে তার কহ মোরে সূত্র ॥১৯3৷ অচিন্ত্য অব্যয় প্রভু নিত্যানন্দ ব্রহ্ম। সূক্ষম সৰ্ব্বেশ্বরেশ্বর সর্বময় ধৰ্ম্ম ॥২৯৫ ৷ অনন্ত, নিগুণ, নিরঞ্জন, নিরাকার । আiদ্য, মধ্য, অন্ত নাহি এ বুদ্ধি বিচার ॥১৯৬ ঐছন ঠাকুর হঞ পৃথিলীতে জয় । অজ হএ জন্ম লয় প্রাকতের ধৰ্ম্ম ॥ ২৯৭ ॥ বৃন্দালনে রাস কৈল গোপনধুসঙ্গে । কামিজন যেন কাম-রতি-রসরঙ্গে ॥ ২৯৮ ॥ কি নারী পুরুষ সেই আত্মা সব জানে। ঐছন রমণ তার অসন্তোষ কেনে ॥ ২৯৯ ॥ ঐছন সন্দেহ মোর হৃদয়ে বিশাল । তত্ত্ব কহ চতুর্মুখ ঘুঢ়াহ জঞ্জাল ॥৩oo ॥ ঐছন সন্দেহ কথা সনকাদি বৈল । শুনিএঃ হৃদয়ে মোর বিস্ময় হইল ॥৩০১ ॥ অন্তর-চিন্তায় মোর মলিন বদন। মোর অগোচর এই প্রভু আচরণ ॥ ৩০২ ॥ লেদান্তের পার এই কেব। জানে তত্ত্ব। আগম হেন কত ব্ৰহ্মা আছে শত শত ॥৩০৩৷৷ এই মনঃকথা আমি কহিলার বেলে। হংসরুপে আসি প্রভু লৈল হেনকালে ॥৩০৪৷৷ চরি৷ প্লাকে সমাপণন কহিল আগমণরে। সেই সমাপাল আমি দিল ভl-সলারে ॥৩০৫৷৷