পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদিখণ্ড Ꮏ ☾ প্রেমানন্দে গরগর, কেণলে করি বিশ্বম্ভর, চুম্ব দেই সে চাদ বদলে । জমানন্দে বিভোল হঞা, আইহগণ-মাঝে গিয়া, বন্ধুকোলে শচীর নাচনে ॥ ১৭০ ৷ আপন না ধরে সুখে, নানান্দ্রব্য দেই লোকে, তুষ্ট হৈলা যত সৰ্ব্বজন । বিশ্বম্ভর বিষ্ণুপ্রিয়া, এক-মেলি দেখিয়া, গোরাগুণ কহয়ে লেণঢ়ন ॥ ১৭৬ ॥ দ্বিতীয় বিবাহ লীল। বর্ণন সমাপ্ত কৈশোরলীল?--প্রভুর গয়া-যাত্র কথাসনার কিছুদিন পরে গৌবযুনাল অধ্যয়মীয়া সমাপ্ত করিয়া অধ্যাপনা কায্যে ব্যাপৃত হঠলেন। পরে পিতার উদ্দেশে পিণ্ড-প্রদান ছলে গায় শুশু-বিজয় ক.রন। পথে যাপ ট্রীয় পশু পক্ষাদিগকে দর্শন দিয়া তাহাদিগকে স্বীয় চরণে অfক? এবং ব্রাহ্মণের প্রতি ভক্তি-প্রদর্শন শিক্ষা দিবার নিমিত্ত বি প্র পাদোদক পান করিয়া স্বীয় ব্যাধি মুক্ত হওয়ার লীলাভিনয় করেন এবং কৃষ্ণ-ভজন-রহিত ব্যক্তি কখনও ব্রাহ্মণ হতে পাবে না, ইহাও শিক্ষণ দেন । অনস্তর গয়ায় গমন পুৰ্ব্বক দেব-পূজা, পিতৃ-পূজা করিয়া বিষ্ণুপদ দর্শনার্থ গমন করিলেন তথায় ভক্তপ্রবর ঈশ্বরপুরীর সহিত সাক্ষাৎকার হয় এবং তাহাকে কৃপা করিবার নিমিত্ত তাহার নিকট মন্ত্র প্রার্থনা করেন, ঈশ্বরপুরীর নিকট কৃষ্ণমন্ত্র পাইবামাত্র প্রভুর ভাবোদয় হয় এবং তিনি বিষ্ণুপদ দর্শনার্থ উৎকণ্ঠিত হন । বিষ্ণুপদ দর্শন করিয়া শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু প্রেমাপেশে হাস্ত, নৃত্য-গীতাদি প্রেম-চিহ্ন প্রকাশ কবিলেন এবং ৩থায় কয়েক দিন মাত্র থাকিয়া গৃহে প্রত্যাগমন বরেণ । লরাড়ি রাগ-দিশ ॥ মোর প্রাণ অারে রে দ্বিজচান্দ নারে হয় ॥ধ্রু॥ তবে সেই মহাপ্রভু আনন্দ-কৌতুকে । মুখে লিবসয়ে বন্ধু-বান্ধব-সহিতে ॥১ ॥ মলদ্বীপপুরবাসী যতেক ব্রাহ্মণ । থষ্ঠ্য ধষ্ঠা করি সম্ভে সভারে কথন ॥ ২ ॥ লৌকিক-সৎক্রিয়াবিধি পঢ়ে শিস্যগণ। আপনি পঢ়ায় প্রভু পুরুষ-রতন ॥৩ ॥ বৃহস্পভি জিমি কলি কণস্যরস জানে। আপনি ঈশ্বর—স্তুতি কি বলি বচনে ॥ ৪ ॥ শিষ্যের মহিমা কে বা কহিবারে পারু । আপনে পঢ়ায় যারে জগতের গুরু ॥ ৫ ॥ কোটি-সরস্বতী-কান্ত প্রভু বিশ্বস্তুরে। লিষ্ঠ রসে কৃপা করে পণ্ডিত সকলে ॥ ৬ ॥ এইমতে লোকশিক্ষা করে বিশ্বস্তুর। গয়া করিবারে যাব-করিলা অন্তর ॥ ৭ ॥ পিতৃ-পিণ্ডদান দিব গয় শিরোপার। গদাধর তার বিষ্ণুপদে নমস্করি ॥৮ ॥ এত বলি শুভযাত্রা করিলা ঠাকুর। সংহতি চলিলা বিপ্রগণ মহাকুল ॥৯ ॥ শচীর অন্তর পোড়ে -গদগদ ভাষ। পুত্রের নিকটে গিয়া ছড়িয়ে নিঃশ্বাস ॥ ১০ ॥ প্রবাসে যাইলে তুমি শুন বিশ্বম্ভর। তোমা না দেখিলে অন্ধকার মোর ঘর ॥ ১১ ॥ আগন্ধলের ল’ড় মোর নয়ানের তারা । এ দেহের আত্মা তোমা বহি নাহি মোরা ॥১২॥ পিতৃগণ-নিস্তার করিতে যাবে তুমি। আপন লাগিয়া তোরে কি বলিব আমি ॥১৩ এতেক বচন যবে বৈল শচীমাত । মধুৱবচনে তার প্রলোপিল কথা ॥১৪ ॥ তোমার নিকটে যেন আছি নিরন্তর। এমন জানিবে মাত কহিল উত্তর ॥ ১৫ ॥ পুত্র পিণ্ড লাগি প্রয়োজন সৰ্ব্বলোকে। মোরে কৃপা-আজ্ঞা কর --না করিহ শোকে ॥