পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীকৃষ্ণচৈত্যচন্দ্রে জয়তি শ্রীচৈতন্যমঙ্গল। মধ্যখণ্ড । প্রভুর প্রেমদান-লীল। কথাসার গ্রন্থকার শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভুল অধ্যাপনা-লীলায় র্যাহাবা ছাত্র ছিলেন, "তাদের ভাগ্যের প্রশংসা করিয়া শচীমাতার প্রতি প্রভুর অনুগ্রহ-প্রদান লীলা বর্ণন কপিয়াছেন। একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্র ? নিজগৃহে বিশ্রাম করিতেছিলেন এমন সময় হঠাৎ এম ঠী রাপিকাল মাপুর-বিরহভাবে স্বয়ং বিভোর হহয়! হা কৃষ্ণ, হা কুষ্ণ, বলিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন । ক্ৰন্দন শুনিয়া শচীদেবী তথার উপস্থিত হইয়া গৌরসুন্দরের নিকট প্রেমভিক্ষণ করিলে, গেীবসুন্দর তাহাকে প্রেম দান করেন । অনস্তব শুক্লাম্বর রহ্মচারীব গৃহে মঙ্গপ্রেম-প্রকাশ-লীলাভিনয় করেন। তৎকালে বাহাম্মুতিরঙ্গিত হই। সৰ্ব্বদ “হ কৃষ্ণ” বলিযা ক্ৰন্দন করিতেন, কেচ কৃষ্ণ নাম কীৰ্ত্তন কবিয়ে তাহা শ্রবণ করিয়া আনন্দে মুছি ত হইতেন । ক্ষণে ক্ষণে সৰ্ব্বাঙ্গে অষ্ট-সাত্বিকভাবের উদঘ হইত এবং নৃত্য, গীত, বিলুণ্ঠন প্রভৃতি অনু ভাবসকল প্রকাশ পাইত। গৌরসুন্দর স্বয়ং ভগবান হইরা ও ভক্তভাব অঙ্গীকার করিয়া ভক্তির ও ভক্তের মহিমা প্রকাশ করিয়াছেন, তাই তিনি সৰ্ব্বাবতার-শিৰোমণি ।

  • /

শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু প্রেমপ্রচারলীলা আরম্ভ করিলে, গদাপলপ্রমুখ ভক্তবৃন্দ এবং নানাদেশ-বিদেশগত ভক্তগণ সকলে একত্র সমবেত হইলেন । গৌরঙ্গরির রূপায় সকলে মঙ্গ প্রেমে উন্মত্ত । একদিন প্রভু শ্ৰীপাস পণ্ডিত ও তাঙ্গার অন্যান্য ভ্রাতৃগণের সহিত গমন কৰিতেছেন, এমন সময় হঠাৎ কৃষ্ণের বংশধ্বনি শ্রবণ কপিয় ঐসতী গান্ধধিকার যে দশ হইয়াছিল, সেই দশা প্রাপ্ত হইয়া উন্মাদের দ্যায় অট্টহাস্ত ক্ৰন্দন, মৌনভাবাবলম্বন, দৈন্ত প্রভৃতি অনুভাবসকল প্রকাশ করিতে লাগিলেন । এমন সময় দৈববাণী হইল—“হে বিশ্বস্তুপ ! তুমি স্বয়ং ভগবান, প্রেম প্রচারার্থ তাপনীতলে অবতীর্ণ হইয়াছ”। মুরারির গৃঙ্গে প্রভু বরাতরূপ প্রকাশ করিকো, মুরারি স্তব করিয়া প্রভু সন্নিধানে প্রেম প্রার্থনা করেন, প্রভূ ত চাব প্রতি গোপগোপীগণ-সেলিত ব্রজেন্দ্রনন্দনের উপাসনা করিতে বলেন । মুরাবি রামচন্দ্রের সৃষ্টি দর্শন কবিতে ইচ্ছা কবিলে, প্রক্ট ঠাঙ্গকে সেইরূপ প্রদর্শন করিয়া ক্লনঃনাম-মাঙ্গাত্ম্য কাৰ্ত্তন করিলেন । অনন্তর গৌরসমাপে ব্ৰহ্মাদি দেপতাগণের আগমনপূৰ্ব্বক প্রেমপ্রার্থনা, গৌররপায় তাঙ্গাদেব প্রেম প্রাপ্তি ও ‘তা রাধে’, ‘হা গোবিন্দ, বলিয়া নুহ, শুক্লাঙ্গর ব্রহ্মচারীর প্রতি, রুপা গদাপরের অঙ্গে নিজ অঙ্গমাগ্য প্রদান, গৌর-গদাধরযুগল রূপের অপূৰ্ব্ব লাবণ্য প্রভৃতি বর্ণিত হইয়াছে। কপণ—ঐরাগ। জয় নরহরি-গদাধর-প্রাণনাথ । কৃপা করি কর প্রভু শুভ দৃষ্টিপাত ॥১ ॥ আদিখণ্ড সায়—মধ্যখণ্ডের আরম্ভ । যা শুনিলে প্রেমথন পাবে অবিলম্ব ॥ ২ ॥ মধ্যখণ্ডকথা কহি অমৃতের সার। নদিয়াবিহার যাথে প্রেমার প্রচার ॥ ৩ ॥