পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ8 শ্রীচৈতন্যমঙ্গল শ্রীরামপণ্ডিত অ৷র মহেশপণ্ডিত। হরিদাস-নন্দন-আচাৰ্য্য সুচরিত ॥ ৫৯ ৷ রুদ্রপণ্ডিত আর পণ্ডিতদামোদর। অনেক মিলিল। সে গৌরাঙ্গ-অনুচর ॥ ৬০ ॥ নামক্রমে লিখন না হয় তা-সভার। সম্বরণ নহে গ্ৰন্থ হয় ত অপার ॥ ৬১ ৷ লtলাদেশে যতেক আছিল। ভক্তগণ । সম্ভেই মিলিলা আসি প্রভুর চরণ ॥৬২ ॥ মহাপ্রেমে উন্মত্ত হইল। ভক্তগণ । মাতাইলা সবলোকে দিয়া প্রেমপন ॥৬৩ ॥ সমভালে সব-জীলে করুণা করিয়া। ভক্তসঙ্গে বুলে গোর প্রেমবিনোদিয়া ॥ ৬৪ ৷ তলে সেই বিশ্বম্ভর আর এক দিনে। ঔীলাসপণ্ডিত আর ভার ভ্রাতৃগণে ॥৬৫ ॥ এ-সব-সহিতে প্রভু পথে চলি যায়। শুনয়ে বংশীর ধ্বনি—লা জানি কে গায় ॥৬৬ ॥ গন্ধৰ্ব্বার ভালে বংশীধ্বনি যে শুনিএঃ।। কান্দিয়৷ কান্দিয়া বুলে ডাকিয়া ডাকিয়া ॥৬৭৷ বিভোর হইয়া ভূমে দণ্ডবৎ করে। রোদন করয়ে নানালিপ প্রেমভরে ॥ ৬৮ ৷৷ অবশ হইল প্রভু নির্ভর-আলেশে । নিজজনে আশীৰ্ব্বাদ করে— অট্র হাসে ॥৬৯ ৷ শিযুগণ সনে ক্ষণে অলৌকিক কহে। ক্ষণে উনমাদ ক্ষণে নিঃশবদে রহে ॥ ৭০ ৷৷ শ্ৰীবাসপণ্ডিত আর রাম নারায়ণ । মুকুন্ধ-সহিত গেল। শ্ৰীবাসভবন ॥৭১ ॥ চৌদি৫ে৭স্ত গান লোক-মাঝে গৌরহরি। মদে মাতোয়াল খেল কিশোর-কিশোরী ॥৭২৷ ক্ষণে উঠে, ক্ষণে পড়ে ভূমিতে লোটায়। হরিহরি বলি’ ডাকে কান্দে উচ্চরায় ॥ ৭৩ ৷ রাত্রিদিনে প্রেমানন্দে পুলকিত তনু। আন-পরসঙ্গ মাহি কৃষ্ণকথা বিমু ॥৭৪ ॥ এক-কালে নিজঘরে আছে প্রেমে ভোরা। রোদন করয়ে আঁখে সাত-পাচ-ধারী ॥ ৭৫ ৷ কি করিব—কোথ। যাব—কেমন উপায় । শ্রীকৃষ্ণে আমার মতি কোন মতে হয় ॥ ৭৬ ৷ ইহা বলি রোদন করয়ে আৰ্ত্তনাদে। কাতরবচন শুনি সৰ্ব্বলোক কান্দে ॥ ৭৭ ৷ হেনকালে দৈববাণী উঠিল সাদরে— । আপনে ঈশ্বর তুমি শুন বিশ্বম্ভরে ॥৭৮ ॥ প্রেম প্রকাশিতে মহী কৈলে অবতার। নিজ-করুণায় প্রেমা করিবে প্রচার ॥ ৭৯ ৷ পৰ্ম্মসংস্থাপন ক্ষিতি করিবে কীৰ্ত্তন। খেদ মা করিহ–কর কষ্ণসংকীৰ্ত্তন ॥ ৮০ ৷ তোমার প্রসাদে কলি নিস্তারিব লোক । নিজ-প্রেম দিয়া সব যুচাইব শোক ॥ ৮১ ৷ সংশয় নাহিক ইথে– শুনহ বচন । খেদ দূর করি কর নিজ সঙ্কীৰ্ত্তন ॥৮২ ॥ এতেক বচন যবে দৈলযুখে শুনি। অন্তর হরিষ—কিছু না কহিল বাণী ॥ ৮৩ ৷ ভারপর দিনে শুন অপরূপ কথা । অমিয়-মাখিল বিশ্বম্ভর-গুণ-গাথা ॥ ৮৪ ৷ মুরারিগুপ্তের ঘর গেল। একদিন। গণ্ড পুলকিত সব আবেশের চিন ॥ ৮৫ ৷ দেবতার ঘরমধ্যে প্রলেশ করিল। আবেশে বিভোল কিছু কহিতে লাগিল ॥৮৬ প্রেম-নীর-ধারা বহে নয়াল-সাগরে। সুরধুনীধারা যেন সুমেরুশিখরে। ৮৭ ৷ কহে সব লোক-—হের দেখ অপরূপ । পৰ্ব্বত-আকার এক বরাহ সম্মুখ ॥ ৮৮ ৷ মহাবেগে আইসে হের দেখহ বরাহে। দন্ত সারি’ আইসে মোরে মারিবারে চাহে॥৮৯ দুই দ্বন্ত সারি’ মোরে মারিবে শূকর। ইহা বলি প্রবেশিলা দেবতার ঘর ॥৯০ ॥ বরাহ-আবেশ পুনঃ হইলা তখন। কর-চরণেতে মহী করে পর্য্যটন ॥ ৯১ ৷ বৰ্ত্তল আকার-রাঙ্গা-বরণ লোচন। মহা পরাক্রম মহা স্থঙ্কার-গর্জন ॥ ৯২ ৷