পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখও হিংস। বহি নাহি কfর জগতের লোকে । দেবকৰ্ম্ম, পিতৃকৰ্ম্ম নাহি বাসো মোকে ॥১৪৪৷৷ তোর ঠাই আমি ছার আর কিবা বলি । যত পাপ কৈলু তত শিরে নাহি চুলি ॥১৪৫ ৷ অজামিলনামে পাপী বোলে সৰ্ব্বজন । আমারে অধিক নহে –কহিল বচন ॥ ১৪৬ ॥ নিস্তার করিব তার—নাম নারায়ণে । অামা নিস্তারিতে লারে আসিয়া আপনে ॥ মামার নিস্তার নাহি—মো জাল অপেন । আমারে কি গুণে তুমি করিবে করুণ ॥১৪৮ এতেক কাতর বাণী শুনিঞা ঠাকুর । অকৈভব শুনি’—দয়া বাঢ়িল প্রচুর ॥১৪৯ ৷ আৰ্ত্তজনার আৰ্ত্তি দেখি ঠাকুরের আত্তি । করুণবিগ্রহ আরে দয়াময় মূৰ্ত্তি ॥ ১৫০ ॥ করুণাসাগর করে করুণ প্রকাশ । করে পরি’ লএsা গেল। জাহ্নবীর পাশ ॥১৫১৷৷ ধাইল নদিয়ার লোক দেখিতে কৌতুক। প্রেম প্রকাশয়ে প্রভূ অতি অপরূপ ॥ ১৫২ ৷ ব্রাহ্মণসজ্জন সব দা গুণইয়া চাহে । সভা বিদ্যমানে প্রভু দয়াবাণী কহে— ॥১৫৩ ভোর পাপ-পরিগ্রহ করিব ত আমি । আপনে আপন পাপ উৎসর্গহ তুমি ॥ ১৫৪ ৷ ইহা বলি’ হাত পাতে তুলসীর ভরে। তুলসী না দেই ভার দুই ভাই ডরে ॥ ১৫৫ ৷ দয়া করি’ পূনঃ কহে গেীর ভগবান— । জগাই মাপাই তোরা পাপ দে রে দাল ॥১৫৬৷৷ জগাই মাধ্যই বোলে—শুন প্রভু তুমি। " আমার যতেক পাপ লিখিতে ন! জানি ॥১৫৭৷৷ আমি মহাধমাধম পাপ tশয় পাপ । তোরে পাপ দিতে হিয়া ডরে মোর কঁপি ॥ এ বোল শুনিএঃ আঁখি করে ছল ছল ৷ মেঘের গম্ভীর-নাদে বোলে হরিবোল ॥১৫৯ পুনরপি পাপদান চাহি কর পাতে । জগাই মাধ্যই সে তুলসী দিল হাথে ॥ ১৬০ ৷ > > ১২১ চৌদিগে ভেল ধ্বনি-হরিহরি বোল । জগাই মাপাই ললি’ প্ৰভু দেই কোল ॥১৬১ ৷ নিস্তারিল দুইভাই জগাই মাপাই । এহেন পাতকী প্রভু পরশিতে পাই। ১৬২ ৷ প্রেমে গদগদ স্বর—আtধ-আধ-বোলে । বসন ভিজিয়া গেল নয়ানের জলে ॥ ১৬৩ ॥ পুলকে ভরিল অঙ্গ—কম্প কলেবরে। চরণে পড়িয়া ভূমে কহয়ে কাতরে ॥ ১৬3 ॥ এহেন ঠাকুর আর অাছে কোন জন । দয়ার সাগর মহা-পতিতপালন ॥ ১৬৫ ॥ জগাই মাপাই হেন পাতকী নিস্তারে । শ্ৰীঅঙ্গ-পরশে তার। লগচে প্রেম ভরে ॥ ১৬৬ ৷ জগাই-মধাই-পাপ-পরিগ্রহ করি’ । আপনে নাচয়ে প্রভু বিশ্বস্তর হরি ॥ ১৬৭ ॥ এ হেন করুণানিপি কে আছে ঠাকুর । দোষ না দেখয়ে—স্নেহ করে এতদূর ॥ ১৬৮ ৷৷ জীবের উদ্ধার করি’ নাচয়ে উল্লাসে । এ বড় ভরসা বান্ধে এ লোচল দণসে ॥ ১৬৯ ॥ মহাপ্রভুর ভগবস্তুলে বিচিত্র লীলা কথাসনার একদিন শ্ৰীমন্মহাপ্রভু ভক্তগণ-মঙ্গে আনন্দে বিহার কমিতেছেন, এমন সময় বনমালী নামক জনৈক পূৰ্ব্বদেশবাসী দরিদ্র ব্রাহ্মণ সপুত্র তথাধ উপস্থিত হইলে শ্ৰীমন্মহাপ্রভু তাহাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টিপাত করেন। তাহাতে তাহারা হঠাৎ প্রেমানন্দে মত্ত হইয়া সংকীৰ্ত্তন আরম্ভ করিলে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভুকেই সেই স্থলে শামসুন্দর রূপে দর্শন করিয়া পরমানন্দে মূৰ্ছিত হন এবং চেতনপ্রাপ্ত হইয়া প্রেমদাতা ঐমন্মহাপ্রভুর স্তব করতঃ বৈদিক কৰ্ম্ম ত্যাগ করাইয়া সৰ্ব্বজীবকে প্রেম দান করিতেছেন বলিয়া শ্ৰীমন্মহাপ্রভুকে ‘নবীন বিধাতা’ বলিয়া সম্বোধন করেন । তারপর একদিন শ্ৰীবাস-গৃহে বিষ্ণুসংস্ৰনাম-স্তোত্র শ1ণ করিয়৷ হঠাৎ নৃসিংহ বেশে সজ্জন কবেন, তাহাতে