পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখও গো, গোপী, গোপাল দেখে আর বনতাল । মৰদ্বীপে দেখিলেন মদনগোপাল ॥ ২৪ ॥ দেখিয়া মূৰ্ছিত হৈয়া পড়িল ব্রাহ্মণ । পুলকে আকুল অঙ্গ—সজল নয়ন ॥ ২৫ ॥ ঘনঘন স্থস্থঙ্কণর মারে মালসাট। এই কৃষ্ণ কৃষ্ণ' বলি’ পাতিলেক হাট ॥ ২৬ ॥ দেখিয়া ঠাকুর পুনঃ নৃত্য সম্বরিল। পর পর বলি’ পুনঃ ব্রাহ্মণে পরিল ॥ ২৭ ॥ শুন সবজন এই গেরি-গুণগাথ। । করুণ। প্রকাশে এই নলীন বিধাত ॥ ২৮ ॥ কৰ্ম্মবন্ধ ঘুচ ইয়া প্রেমপন দেই । ঐছন ঠাকুর আর আছে কোন ঠাই ॥২৯ ॥ সংসারের বহি স্বজে আপল সংসার । সলিময়। প্রেমভক্তি পিষয়ের পর ॥ ৩০ ॥ দিব্য মালা, চন্দন, প্রসাদ পরে লিভি। মমতা লাহিক—সল জনেই পারিতি ॥ ৩১ ॥ নিঃষঙ্গ হইয়। সঙ্গ লিনে নাহি জীয়ে। অকৰ্ম্ম হইয়। কৰ্ম্ম করয়ে পিসিএ ॥ ৩২ ৷৷ বেদের লিচার বিধি যে আছে উচিত । সকল করয়ে সেই কার্য্যে বিপরীত ॥ ৩৩ ৷ ঐছন প্রকাশে নিজ প্রেমভক্তিপন । এতেকে বলিয়ে ‘নব লিপণত। রতন’ ॥ ৩৪ ॥ এ হেন করুণাসিন্ধু মোর গোরারায় । তানায়াসে সব জন পর- ধন পায় ॥ ৩৫ ॥ ঐছন ঠাকুর আর নাহি প্রেমদাতা। কহয়ে লোচন—ভজ নবীন বিধাত ॥ ৩৬ ৷ গোরা-রূপ যে দেখিয়াছে একবার পাশরিতে নগরে অণর ॥ ঝুরি মরে জনম অবপি রে ॥ ধ্রু ॥ তবে আশর-এক-দিন শুন তাপরুপ । শ্ৰীবাসপণ্ডিত ঘরে জানন্দকৌতুক ॥৩৭। ১২৩ পিতৃকৰ্ম্ম করে সেই শ্রীলাসপণ্ডিত। শুনয়ে সহস্ৰনাম অতি শুদ্ধচিত ॥ ৩৮ ॥ হেনকালে সেই ঠাঞি গেল। গৌরহরি। শুনয়ে সহস্ৰনাম মনোরথ পূরি ॥ ৩৯ ৷ শুনিতে শুনিতে ভেল লুসিংহ-আলেশ । ক্রোধে রাঙ্গ তুনয়ান-উদ্ধ ভেল কেশ ॥৪০৷৷ পুলকিত সব অঙ্গ –তরুণ বরণ। ঘন ঘন হুহুঙ্কার সিংহের গৰ্জ্জন ॥ ৪১ ৷ আচম্বিতে গদা লঞা ধাইল সত্বর। দেখিয়া সকল লোক কঁাপিলা অন্তর ॥৪২ ॥ পলায় সকল লোক—না লান্ধয়ে কেশ । সহিতে ন পারে প্রভুর ক্রোপ-আবেশ ॥ ৪৩। পলায়নপর লোক দেখি’ নরহরি । ক্ষণেকে ছাড়িল গদা আবেশ সম্বরি ॥ ৪৪ ॥ সৰ্ব্ব-অবতার-রাজ শচীর নন্দন । যখনে যে পড়ে মনে—হয় ত’ তেমন ॥ ৪৫ ৷ সল সম্বরিয়া প্রভু লসিলা আসনে । লিম্মিত হইয়া কিছু বলিলা বচনে—৷ ৪৬ ॥ ন জানি কি অপরাধ ভৈগেল তামার। কিল। চিতে অনুমান ভেল ভো-সলার ॥ ৪৭ ৷ এ বোল শুনিএsা সলে বলিলা বচন— কি তোমার অপরাপ—কি কহ কথন ॥ ৪৮ ॥ শ্ৰীবাস কহিল তোম দেখিল যে জন । তাহার হইল সব বন্ধ-বিমোচন ॥ ৪৯ ৷ তার-পর-দিনে কথা শুন সব জল । আচম্বিতে আইল এক শিবের গায়ন ॥ ৫০ ॥ নমস্কার করি গৌরহরির চরণে । মহেশের গুণ গায় আনন্দিভ-মনে ॥ ৫১ ৷৷ শিব ! শিব ! বলি’ ডাকে পরম উল্লাস । শিবের ভকতি তার দেহে পরকাশ ॥ ৫২ ॥ শুনি আনন্দিত মন ভৈগেল ঠাকুর। শিবগুণ শুনি’ সুখ বাঢ়িল প্রচুর ॥ ৫৩ ৷ শিবের আলেশে নৃত্য করয়ে তখন। আপন পাশরে সুখে শিবের গায়ন ॥ ৫৪ ৷