পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড স্তুতি করিলে শ্ৰীমন্মতাপ্রভূ “বিপ্রের শাপ তাঙ্গার নিজ অভিপ্রেত”—ইহা জানাইয়। লি প্রকে সা স্ত্রণ প্রদান করেন । অনস্তব ঐমন্মহাপ্রভুর বললাম-আবেশে ‘মধু দেহু’ বলধা চীংকার, ভক্রসঙ্গে কীৰ্ত্তন করিতে শ্রীঅদ্বৈতাচাৰ্য্যভবনে গমন, তংপর দিবস বলদেব-ভাবে মুস্থিত হইলে গদাধর-আগমনে ভাব-সংবরণ, আচাৰ্য্যর প্রমুখ ভক্তবৃন্দের আগমন, ঐবাসাদি ভক্তগণের প্রীমন্মহাপ্রভুকে বলদেপন্ধপে দর্শন, ভক্তগণ-সঙ্গে স্নানার্থ গঙ্গায় গমন প্রভূতি বিচিত্র লীল বর্ণিত হইয়াছে। -msm হরি রাম নারায়ণ শচীর তুলাল হেমগোর। ॥ধ্রু॥ আর অপরূপ শুন গৌরাঙ্গচরিত। শুনিলে পাইলে ইথে বড়ই পীরিত ॥ ১ ॥ নিজজনসনে পন্থ পথে চলি যায় । কৃষ্ণকথারসে অঙ্গ অালেশে তুলায় ॥ ২ ॥ সেই পথে ছিল কুষ্ঠপ্যাণি একজনে । বিলয় করিয়া কহে প্রভুর চরণে ॥ ৩ ॥ ভূমিতে পড়িয়া সেই পরণাম করে। কাতর হইয়। কিছু সলিনয়ে লোলে --৷ ৪ ৷ সবলোকে বোলে প্ৰভু তুমি জনাৰ্দ্দন । তুমি সে পুরুষোত্তম তুমি সনাতন ॥ ৫ ॥ তুমি দেবদেবেশ্বর, ত্ৰিজগদ বন্ধু। আমারে উদ্ধার কর করুণার সিন্ধু ॥ ৬ ॥ পতিতপাবন শুনি আইলু তোর ঠাঞি। তারহ আমারে তুমি সভার গোসাঞি ॥৭ ॥ ওহে অকিঞ্চননাথ শচীর তুলাল । তারহ আমারে প্রভু গৌরাঙ্গ গোপাল ॥৮ ॥ আমার অধিক পাপী নাহি ত্রিভুবনে। দুঃসহ এ কুষ্ঠপ্যাদি কর পরিত্রাণে ॥ ৯ ॥ এ বোল শুনিঞা প্রভু রুষিল অন্তর। ক্রোপদৃষ্ট্যে চাহে কুষ্ঠব্যাধির উপর ॥ ১০ ॥ ঠাকুর কহয়ে—শুন পাপ দুরাচার। বৈষ্ণবের নিন্দ তুমি কৈলে কেনে ছার ॥ ১১। ১২৭ সংসারে যতেক জীল । সে-ই মোর মিত্র। বৈষ্ণবের দ্বেষ করে-সে-ই মেরে শক্ৰ ॥ ১২ ॥ আপন নিন্দায় আমি কভু নাহি দুঃখী । শ্ৰীবাসপণ্ডিত-নিন্দায় কেমনে হব সুখী ॥১৩ অকথ্যবচন তুঞি কহিলি তাহারে। শতজন্ম ভুঞ্জিলেহ না যুচিব ভোরে ॥ ১৪ ॥ বৈষ্ণৰের অপরাধ করে যেই জন । ভার পরিত্রাণ আমি না করি কখন ॥ ১৫ ॥ বাহিরে পরাণ দেখ এই মোর দেহ । বৈষ্ণব অন্তরে প্রাণ –নাহিক সন্দেহ ॥ ১৬ ॥ বৈষ্ণবের সেবা করে মোরে করে দ্বেষ । তার পরিত্রাণ করি ঘুচাইয়ে ক্লেশ ॥ ১৭ ॥ বৈষ্ণবের হিংসা করে যেই মূঢ় জল । নরকে পড়য়ে—তার নাহিক শরণ ॥ ১৮ ॥ তুমি সে পাতকী মহাপামর দুরন্ত । কত কাল নরক ভূঞ্জিবি-নাহি অন্ত ॥ ১৯ এ বোল শুনিএঃ কুণ্ঠব্যাপি পড়ি কাম্বে। আকুল হইয়া কানো—স্থির নাহি বান্ধে ॥২০ ভকত বুঝিয়া কৃপা তার অবতারে। এবে সে পামর প্রভু কলিতে ঘরে ঘরে ॥২১ যে তোমারে না ভজিলে—তাহারে মারিবে । পতিতপালন-নাম কেমনে ধরিলে ॥ ২২ ৷৷ জয় বিশ্বম্ভর নাম সভার কল্যাণ । জয় মহাবাহু ধৰ্ম্মসেতু অধিষ্ঠান ॥২৩। তোরে সেতুবন্ধে লোক হলে ভব-পার। আমারে না ফেল প্রভু শচীর কুমার ॥ ২৪৷৷ দেখিয়া করুণ। যদি হঞাছে হৃদয় । তথাপি বৈষ্ণববশ—স্বতন্ত্রতা নয় ॥ ২৫ ॥ ইহা জানি’ গেলা প্রভু শ্ৰীবাস-আলয়। বসিয়া সকল কথা কহে মহাশয়— ২৬ ॥ পথেতে দেখিল কুষ্ঠব্যাধি একজন। অপরাধ ভুঞ্জিব সে অনেক জনম ॥২৭ ॥ তোর অপরাধে সে গলিত সৰ্ব্বদেহ। তাহারে দেখিয়া মোর না উঠিল নেহ ॥ ২৮ ॥