পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখও বিষ্ণুপ্রিয় কান্দনাতে পৃথিলী বিদরে। পশু-পক্ষি-লতা-তরু এ পাষাণ ঝুরে ॥ ১৫ ॥ হায় ! হায় ! কিবা দৈব হইল আমারে। গৌর বিনু তামার সকল আন্ধিয়ারে ॥ ১৬ ॥ সে হাস্য, লাবণ্য দেহ না দেখিব তার । ন শুনিল বচনচাতুরী সুপাসার ॥ ১৭ ॥ অনাথিনী করিয়া কোথাকারে গেলা তুমি। স্মঙরিল তুয়া গুণ-নিবেদিয়ে আমি ॥ ১৮ ॥ কোল ভাগ্যবর্তী সে না তোমারে দেখিয়া । নিন্দিল কতেক মেরে কান্দিয়া কান্দিয়া ॥১৯৷৷ কোন্ অভাগিনী-কোল ছাড়িয়া আইলা । খণ্ডত্রতা তাভাগিনী কেনে ন মরিলা ॥ ২০ ॥ পূজিল তোমার মুখ অনঙ্গ-নয়নে । কেমনে পরিব হিয়া তোমা-আদর্শনে ॥ ২১ ॥ বিচ্ছেদে মরিল তোর যত বর-নারী। তামি অভাগিনী দেহ এত কাল ধরি ॥ ২১ ॥ মরি মরি গৌরাঙ্গসুন্দর কভি গেলা । আমি নারী অনাথিনী সহজে অললা ॥ ১৩ ॥ কোন দেশে যাব--লাগি পল কোন ঠাঞি । যাইতে না দিব কেহে—মরিব এথাই ॥ ২৪ ॥ মায়ে অনাথিনী করি’ গেলা কোন দেশে । কেমনে বঞ্চিব তেঁহ তোমীর হুতাশে ॥ ২৫ ॥ পাপিষ্ঠ শরীর মোর প্রাণ নাহি যায়। ভূমিতে লোটগঞা দেবী করে হায় হায় ॥২৬ বিরহ-অনল-শ্বাস বহে আলিবার । অধর শুখtয়—কম্প হয় কলেবর ॥ ২৭ ॥ কেশ-বাস ন। সম্বরে ধুলায় পড়িয়৷ ৷ ” ক্ষণে ক্ষীণ হয় অঙ্গ রহে ত ফুলিয়া ॥ ২৮ ৷৷ ক্ষণে মুচর্চা পায় রাঙ্গা-চরণ-ধ্যেয়ণনে । সম্বেদন পায় ক্ষণে অনেক যতনে ॥ ২৯ ॥ প্রভু ! প্রভু! বলি’ ডাকে ক্ষণে আৰ্ত্তনাদে । বিষ্ণুপ্রিয়-কান্দনাতে সবজন কন্দে ॥ ৩০ ॥ প্রবোধ করিতে যেই যেই জন গেল । বিষ্ণুপ্রিয় দেখি হিয়া পুড়িতে লাগিল ॥৩১৷” ృ(tఫి সবজন বোলে—হের শুন বিষ্ণুপ্রিয়া। কি দিব প্রবোধ তোরে—স্থির কর হিয়া ॥৩২৷ ভোর অগোচর নহে তোর প্রভুর কাজ । বুঝিয়া প্রলেপ দেহ নিজ-হিয়া-মাঝ ॥ ৩৩ ৷ প্ৰবোধিয়া সব ভক্ত একত্র হইর। বিচার করয়ে গোরাচাদের লাগিয় ॥ ৩৪ ৷ সন্ন্যাস করিল মে-সভারে দুঃখ দিয়া । এখানে ছাড়িয়া গেলা নিদারুণ হৈয়া ॥৩৫ ৷ রহিল কেমনে র্তাহ ছাড়িয়। আমরা । লিদারুণ মো-সভারে ছাড়িলেন গোর। ॥৩৬৷৷ তারোধিক দয়াল তাহার বড় নাম । নাম হৈতে তারে পাই—এই মুখ্য কাম ॥৩৭৷ তার বাক্য আছে পূৰ্ব্ব মো-সভার ভরে । নাম যেই লয়—সে পাইল আমারে ॥৩৮ এত চিন্তি’ নাম লৈতে বসিলা সভাই । শচী-বিষ্ণুপ্রিয়া আর যত যত যেই ॥৩৯ ॥ কি বালক, বুদ্ধ কিবা, যুবক-যুবতী । নাম লৈতে বসিলা গৌরাঙ্গ করি গতি ॥ ৪০ ৷ নামপাশে বান্ধিল গৌরাঙ্গ মত্তসিংহ । দাণ্ডাইল মহাপ্রভু—গতি হৈল ভঙ্গ। ৪১ ৷ নিত্যানন্দ-অঙ্গ হেলিয়। রহিলা । - অক্সর-নয়নে প্রভু কান্দিতে লাগিল। ॥ ৪২ ॥ যাহ নিত্যানন্দ নবদ্বীপে আজি তুমি । শান্তিপূরে সভারে দেখিয়ে যেন আমি ॥৪৩ শুনি লিভ্যানন্দ মনে আনন্দ হইল । দেখা দিব সভাকারে—এই সভ্য কৈল ॥ ৪৪ ॥ কহয়ে লোচনদাস কণভর-হিয়ায় । তবে প্রভু গোরাচাদ করিলা বিজয় ॥ ৪৫ ॥ শ্ৰীনিভ্যানন্দ প্রভু সঙ্গে চলি যায়। হাসিয়া ঠাকুর তারে দিলেন বিদায় ॥ ৪৬ ॥ নবদ্বীপ যাহ তুমি—শুনহ বচন । নদিয়ানগরে মোর ষত বন্ধুজন ॥৪৭ ॥ সভারে কহিও মোরে “নারায়ণ-বাণী । অদ্বৈত-আচাৰ্য্য-ঘরে উত্তরিব আমি ॥৪৮ ॥