পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গল 5 والا হেনই সময়ে সেই প্রভু হরিদাস । দন্তে তৃণ ধরি’ পড়ে পদাঙ্গুজ পাশ ॥ ১১ ॥ অতি অর্জনাদে কান্দে সকরুণ স্বরে। শুনিতে সকল-লোক-হৃদয় বিদরে ॥ ১২ ॥ ব্যথিত হইল প্রভু সজল-নয়ন । কাতর-অন্তর কিছু কহিছে বচন –॥ ১৩ ॥ এইমস্ত ভাগ্য মোর হলে ক ওদিনে । পড়িয়া কান্দিল জগন্নাথের চরণে ॥ ১৪ ॥ কহিল কাতর কথ। পাদাপূজ প। এর । সফল করিল আঁখি ত্রমুখ দেখিয় ॥ ১৫ ॥ এ বোল পলিন্তে চারিপাশে ভক্তগণ । ভূমিভে পড়িয়া মস্তে করয়ে রোদন ॥ ১৬ ॥ চেতম ভfরল শচী কান্দিতে না পায় । পরিপারে চাহে নিজ পুত্রের গলায় ॥ ১৭ ॥ কেহে পায়ে পরি’ কান্দে ভাউদড়-চুলি । অনেক যতনে তলে আপল সম্বরি ॥ ১৮ { শ্ৰীনিবাস, হরিদাস, মুরারি, যুকুন্দ। প্রভুরে কহিতে কিছু করে তা সুবন্ধ ॥ ১৯ ॥ স্বতন্ত্র ঠাকুর তুমি—মে সব অদীন। দীন তুরাচীর পাপী-তাহে ভক্তিহীন ॥ ১০ ॥ কি বলিতে পারি প্রভু করিল। সন্ন্যাস । এখন ছাড়িয়া যাহ নিজ সল দাস ॥ ২১ ৷৷ একেশ্বর কেমনে হাটিয়া যালে পথে । ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় অল্প চাহিবে কাহাতে ॥ ২২ ॥ শচীর তুলাল তুমি দুল্লিল-চরিত। দু’খালি চরণ বিষ্ণুপ্রিয়ার সেলিত ॥ ২৩ ৷৷ ভক্ত-জন-নমন-অমিয়া দিঠিপতে । এ দেহ প্রেমার তরু বাড়ে হাথে হাথে ॥২৪ অনেক আছিল প্রেমফল প্রতি আশে । সন্ন্যাস করিয়া শূন্য করাইল আশে ॥২৫ ॥ পাপিষ্ঠ শরীরে প্রাণ না যায় ছাড়িয়া । ঘরে চলি’ যাল ভোরে বিদায় করিয়া ॥ ২৬ ॥ এখনে চলিয়া যাব মে সল অধম । তোর ধৰ্ম্ম নহে–তুমি পতিতপালন ॥ ২৭ ॥ করুণ-কৰ্দমে ভনু গড়িয়াছে বিধি । বিনোদ-বিলাস-লীলা দিয়া নানা নিধি ॥২৮ কেবল পরম প্রেমা—তাহে জীবদ্যাস । ত্ৰৈলে। ক্য-অস্তৃত রূপ করিয়া প্রকাশ ॥ ২৯ ॥ উপমা দিলার নাহি ত্ৰৈলোক্য-ভিতর । তোমার নিষ্ঠর বাণী—জগত কাতর ॥ ৩০ ॥ এমত করিতে প্রভু না জুয়ায় তোরে। আপনে রুইয়। বুক্ষ-–কাট’ কেনে মূলে ॥৩১৷৷ যে যায়—তাহলে লহ সংহতি করিয়া । নহে ন মরিল সভে আগুণে পুড়িয় ॥ ৩২ ৷ হের দেখ তোর মাত শচী অনাথিনী । সহিতে না পারি" উহার লিন নিয়া-পাণী ॥৩৩ বিষ্ণুপ্রিয়ীর কান্দনাতে পুথিলী বিদরে । শূন্য হৈল নবদ্বীপ নগর বাজারে ॥ ৩৪ ॥ শূন্য যেন লাগে সৰ্ব্ব বৈষ্ণলের ঘর। স ভারে সভার বাড়ী যোজন-অন্তর ॥ ৩৫ ॥ যেখানে বসিয়া প্রভু কহিলে নিজকথা । দেখিলে মরিল- আর নাহি যাল তথ। ॥ ৩৬ ৷৷ রহস্য-পিলোদ কথা ন শুনিল অার । ল। দেখিব লুভ্যালেশ–প্রেমার প্রচার ॥৩৭ ॥ নাচিলার বেলে আর না করিব কোলে । ন} দেখিব তারুণ-নয়নে প্ৰেম-জলে ॥ ৩৮ ৷৷ হুহুঙ্কার-শব্দগমৃত ন! শুনিব আর । কে মোর রোধিল কর্ণ-নয়ান-দুয়ার ॥ ৩৯ ৷ কেমনে না দেখি জীপ’ তোর মুখচন্দ্র। নয়ান থাকিতে কেলা করাইল অন্ধ ॥ ৪০ ৷ ন। দিহ বিদায় প্রভু—যাল ভোর সঙ্গে । তোমার নিঠুর বাণী পোড়ে সব অঙ্গে ॥৪১ ॥ তাহিড়ী ঘণ্টার রব যেমন করিয়া । কাছে মৃগী আইসে—তারে মারয়ে সরিয়া ॥ তেমতি তোমার প্রেম বুঝিল এখন। লোভ দেখাইয়া পাছে মার’ কি-করণ ॥৪৩৷ তোমার বিচ্ছেদে ভক্ত সভাই মরিলে। ভকত-বৎসল নাম কেমনে ধরিলে ॥ ৪৪ ৷৷