পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখও দেখিয়া দানীর রাজ। কঁপিল অন্তরে। ঐশ্বৰ্য্য দেখিয়। তিহেঁ পড়িল। ফ্রঁ পরে ॥৬০৷৷ বিরজা-নিকটে অছি সন্ন্যাসীর বেশে । মেরি ভক্তে দুঃখ দিল তোর সব দাসে ॥৬১৷৷ কঁাপিল অন্তরে—ত্ৰাস পাইল অপার । সত্বরে চলিল যথা শ্ৰীগৌরগোপাল ॥ ৬২ ॥ কথোক্ষণে সেইখানে সেই দানীশ্বর } প্রভু নমস্করি করে বিনয় লিস্তর ॥ ৬৩ ৷ তুমি ভগবান ক্ষীর-নিপির বিলাস । জীব নিস্তারিতে প্রভু করিয়াছ সন্ন্যাস ॥৬৪৷৷ তুমি ভব-ঘোর-অন্ধকারের চন্দ্রিমা । তুমি বেদ-বেদের পরমতত্ত্ব-সীমা ॥৬৫ ॥ শুনি’ গোরাচাদ হাসি’ ললিলা তাহারে- - অচিরাতে কৃষ্ণ কৃপা করুন তোমারে ॥৬৬ ইহ। ললি’ চরণ পরিল। ভার মাগে । প্রেমায় লিভোর হএ নাচে উদ্ধহাথে ॥ ৬৭ ৷ তারে অনুগ্রহ করি’ সে দেশে রাখিয় । তাপিকার কষ্ণ ভক্তি তারে শিখাইয়া ॥ ৬৮ ॥ হেনই সময়ে কহে বৈষ্ণবসকল— অনেক অবস্থা কৈল তোমার নফর ॥ ৬৯ ৷ কড়িয়া লইল আমা’ সভার কম্বল । এ বোল শুনিএ সেই সঙ্কোচ অন্তর ॥ ৭০ ॥ নেতুন কম্বল দিল দানীর ঈশ্বর। সস্তুষ্ট হইল তলে বৈষ্ণল-অন্তর ॥ ৭১ ৷ ভলে সেই দৰ্শনীশ্বর পরণম করি’ । বিদায় হইয় গেল। আপনার বাড়ী ॥ ৭২ ॥ ঘরে গিয়া কৃষ্ণসেবা করিল আশ্রয় । e সঙ্কীৰ্ত্তনে হরিনামে অহৰ্নিশি রয় ॥ ৭৩ ৷ এইমনে সকল রজনী গেল সুখে । প্রাতঃকালে প্রাতঃক্রিয় করিলা কৌতুকে ॥ বিরজা দেখিতে প্রভু যায় আরবার। যাহা দেখি? সব লোক তরয়ে সংসার ॥ ৭৫ ৷৷ বিরজ কে নমস্করি’ চলি’ যায় রঙ্গে । উঠিল কৃষ্ণের প্রেমা—পুলকিত অঙ্গে ॥ ৭৬ ৷ ×\სჯა চলিল। ঠাকুর সেই সিংহ-পরাক্রমে । ক্রমে ক্রমে উত্তfরল এক মক গ্রামে ॥ ৭৭ ৷৷ সেই গ্রামে আছে শিব পাৰ্ব্ব ভা-সহিতে। দেখিবারে ধায় প্রভু উনমত চিতে ॥ ৭৮ ৷৷ কথোদুর হৈতে প্ৰভু দেখিলা দেউল । উৎকণ্ঠ বাঢ়িল চিত্তে—প্রেমায় বাউল ॥৭৯ দেউল-উপরে শোভে পতাকা সুন্দর । শিবলিঙ্গময় সেই এক অ-নগর ॥ ৮০ ॥ পতাকা দেখিয়া প্রভু নমস্কার করি । ক্রমে ক্রমে গিয়া প্রবেশিল। শিলপুরী ॥৮১ এককোটা লিঙ্গ আছে একামনগরে । হাটিয়া যাইতে প্রাণ হালে কাপে ডরে ॥৮২ বিশ্বেশ্বর আদি করি’ আছে লিঙ্গ-কৌটি । দেখিতে সন্দেশ যেন নগরের মাটী ॥ ৮৩ ৷ মহ-বিন্দুসরোবরে সর্বভীর্থ জলে । তার লাল। পূণ্যতীর্থ বৈসয়ে নগরে ॥ ৮৪ ৷ পুরী প্রবেশিয়া দেখে পাৰ্ব্বতী-শঙ্কর। নমস্কার করি’ প্ৰভু প্রেমায় বিভোর ॥ ৮৫ ৷ সৰ্ব্বজন দেখিল সে পাৰ্ব্বতী মহেশ । লিঙ্গ-দরশনে সভার খণ্ডিলেক ক্লেশ ॥ ৮৬ ॥ মহেশ দেখিয় প্রভুর অবশ শরীর। টলমল করে তমু—লাহি রহে স্থির ॥ ৮৭ ॥ অরুণ-নয়নে জল ঝরে অনিবার । পুলকিত গণ্ড–স্তব পঢ়ে বার বার ॥ ৮৮ ৷ এইমনে মহাপ্রভু পঢ়ে শিবস্তব। চৌদিগে স্তব পঢ়ে সকল বৈষ্ণব ॥ ৮৯ ৷ হেনই সময়ে সেই শিবের সেবকে। গন্ধ, চন্দন, মাল! দিলেন প্রভুকে ॥৯০ ॥ শিব নমস্করি’ প্রভু বাহিরে আসিয় । , বিশ্রাম করিলা এক গৃহে প্রবেশিয় ॥ ৯১ ৷ ভক্ত-নিবেদিত অন্ন ভোজন করিল। পথের আয়াসে নিশি শুতিয়া রহিল ॥ ৯২ ॥ এইমনে আনন্দে লঞ্চিল সেই রাতি । প্রভাতে উঠিল প্রভু ত্ৰিজগত-পতি ॥ ৯৩ ৷