পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড হেনই সময়ে প্রভু উঠিল সত্বর। পুলকিত সল অঙ্গ—প্রেমায় বিভোর ॥১২৪ ৷ দেখিয়া সকল লোক জীল পুনৰ্ব্বার। মইল-শরীরে যেন জীউর সঞ্চার ॥ ১২৫ ৷ ভা সভারে মহাপ্রভু পুছয়ে বচনে – । দেউল-উপরে কিছু দেখহ নয়নে ॥ ১২৬ ৷ নীলমণি-কিরণ বরণ উজিয়ার। ত্ৰৈলোক্য-মোহন এক সুন্দর ছাওয়াল ॥১২৭৷৷ কিছু না দেখিয়া তারা কহয়ে –দেখিল । পুনঃ মোহ যায় পাছে আশঙ্ক। হইল ॥১২৮৷৷ পুনঃ ত৷ সভারে প্রভু কহিছে উত্তর । দেউল-পলজীয় দেখ লালক সুন্দর ॥ ১২৯ ৷ প্রসন্ন-বদনে পূর্ণামৃত যেন রূপ । আলেল অঙ্গুলি করতলে অপরূপ ॥১৩০ তমামারে ডাকয়ে করকমল-লীলণ্য । লামকরে বেণু শোভে ত্ৰিজগত পম্ভ ॥ ১৩১ ৷ এ বোলে ললিয়া প্ৰভু চলিলা সত্বর। আনন্দে চলিয়া যায় বৈষ্ণল সকল ॥ ১৩২ ৷৷ কোটি ইন্দু জিনিএs! সে গৌর-অঙ্গ-ছটা । ঝলমল করে সে চন্দন-দীর্ঘ-ফোট ॥ ১৩৩ ৷ গোরা গায় অরুণ বসন উজিয়ার । প্রাতঃকালে সূৰ্য্য জিনি বরণ তাহার ॥১৩৪ ৷ জগন্নাথ-মন্দির দেখিয়া গোরারায় । পুনঃ পুনঃ পুরণাম করি’ চলি যায় ॥ ১৩৫ ৷ নয়নে গলয়ে জস অবিরল ধারে । বিপুল পুলকে সে ঢাকিল কলেবরে ৷ ১৩৬ ৷ প্রেমায় বিহবল প্রভু হৃদয় সত্বর। to উত্তরিলা মহাতীর্থ মারকণ্ডেয় সরঃ ॥ ১৩৭ ৷ স্নান দান কৈল প্রভু যে লিপি আচার। চলিলা সত্বরে তবে করি’ মমস্কার ॥ ১৩৮ ৷৷ যজ্ঞেশ্বর নমস্করি’ অতি হৃষ্ট-মনে । উৎকণ্ঠী হৃদয়ে যায় সত্বর গমনে ॥ ১৩৯ ৷ পুনরপি জগন্নাথ-মন্দির দেখিয়। পুনঃ পত্রণাম করে ভূমিতে পড়িয় ॥ ১৪০ ৷ צו' צ অব্যর ঝরয়ে দুই নয়নের নীর। বিহবল হইয়। কান্দে আরতি গভীর ॥ ১৪১ ৷ এই মতে গোরাচাদের আরতি দেখিয়।। দেখা দিল জগন্নাথ পাণি পসারিয় ॥ ১৪১ ৷ “আইস আইস বলি’ ডাকে ত্ৰিজ গম্ভ রায় । দেখিয়া বিহবল প্রভু ভূমিতে লোটায় ॥ ১৪৩ ৷ আনন্দে হাসিয়। কিছু কহিল বচন । কপী কর জগন্নাথ দেখিল চরণ ॥ ১৪৪ ॥ পুনঃ না দেখিয় পুনঃ করয়ে রেদিন । পুনরপি দেখি অভি উলসিত মন ॥ ১৪৫ ৷ কেবল উদ্ভট্ট প্রেম-পুলকিত অঙ্গ। হুহুঙ্কার-নাদে প্রেম-তামিয়া-ভরঙ্গ ॥ ১৪৬ ৷৷ তবে সেইমতে প্ৰভু চলিলা সত্বর। । উত্তপ্পিল। বাসুদেব-সাৰ্ব্বভৌম-ঘর ॥ ১৪৭ ৷ সাৰ্ব্বভৌম প্রভুরে দেখিয়৷ হরমিতে। গৃহব্যবহারে দিল আসন বসিতে ॥ ১৪৮ ৷৷ স পর্বভৌম দেখি’ প্রভু কহিল বচন । জগন্নাথ দেখিবারে উৎকণ্ঠি ভ মন ॥ ১৪৯ ৷ কেমলে দেখিল অ।মি দেব-দেব রায় । সাক্ষাৎ করিতে মোর সন্ত্রম-হিয়ায় ॥ ১৫০ ৷ এ বোল শুনিয়া সাবর্বভৌম মহাশয় । প্রভু-অঙ্গ নিরখিয়ে বিস্মি ভ-হিয়ায় ॥ ১৫১ ৷ এ তপ্তকাঞ্চন গেীর সুমেরুসুন্দর। নয়নচন্দ্রম। মুখ করে ঝলমল ॥ ১৫২ ৷ সিংহগ্রীব, কম্বুকণ্ঠ, সুদীর্ঘলোচন। আজানুলম্বিত ভুজ—সব সুলক্ষণ ॥ ১৫৩ ৷ দেখিয়৷ বিহবল সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য। গুণিতে লাগিল। দেখি’ সকল আশ্চর্য্য ॥১৫৪৷৷ এরূপে মানুষ নাহি সকল জগতে । , দেবত। ভিতরে ইহা ন পারি গণিতে ॥১৫৫৷৷ বৈকুণ্ঠনায়ক প্রভু আইল আপনে । ‘এই সেই ভগবান বুঝি অনুমানে ॥১৫৬৷৷ এতেক চিন্তিয়। সার্বভৌম মহাজন । আপন তনুজ দেখি’ কহিছে বচন ॥ ১৫৭ ৷৷