পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যখণ্ড নিজজন-সঙ্গে অল্প করিল ভোজন । হেনকালে শ্রীনিবাস কহিল বচন ॥ ১৯২ ॥ এক নিলেদেঙ, প্রভু কহিতে ডরাঙ,। নিৰ্ভয়ে পুছিয়ে প্রভু যদি আজ্ঞা পাঙ ॥১৯৩ প্রসাদ পাইয়া তুমি হাসিল। যেকালে । চকিত দেখিল ইহা কহিলে আমারে ॥ ১৯৪ ॥ এ লোল শুলিঞা প্রভু অধিক উল্লাস । কহয়ে অন্তর কথা করিয়া প্রকাশ ॥ ১৯৫ ॥ কাত্যায়নী-প্রতিজ্ঞায় প্রসাদ হেন ধন । শৃগাল, কুকুরে খায়—শুনহ ব্রাহ্মণ ॥ ৯৬ ৷ ইন্দ্র, চন্দ্র, গন্ধৰ্ব্ব কিল। দেবগণে । সভার তুল্ল ত বস্ত—ন পাই যভনে ॥ ১৯৭ ॥ নারদ-প্ৰহলাদ-শুক-আদি ভক্তগণ । তাহার ভুলভ এই– কহিল মরম ৷ ১৯৮ ॥ হেন মহাপ্রসাদ ভুঞ্জয়ে সলজনে । কহিল মরমকথ। এই মোর মনে ॥ ১৯৯ ॥ হেন মহাপ্রসাদ পাইয়। যে বা জন । অল্পবুদ্ধি করিয়। বা না করে ভক্ষণ ॥ ১০০ ॥ পূর্ব-জন্মার্জিত তার ভ।ছিল যে ধৰ্ম্ম । সেহো নষ্ট হয় সে শূকর-মোনি জন্ম ৷ ২০১ ॥ কুকুরের মুখে হইতে পড়ে যদি তভূ। পাইলে মাত্র খালে ইথে দোষ নাহি কভু ॥ তবে মহাপ্রভু ভিক্ষা করিল সাদরে। সন্ধ্যাকালে যায় জগন্নাথ দেখিবারে ৷ ২০৩ ॥ শ্ৰীমন্দিরে প্রবেশিয়। দেখয়ে শ্ৰীমুখ । ব্ৰহ্মাণ্ডে না ধরে তার অন্তরকৌতুক ॥২০৪ ॥ মূভনমেঘের জিনি অঙ্গের কিরণ। ’ তাহে অপরূপ তুই কমললোচন ॥ ২০৫ ॥ দেখিয়া আনন্দ-সিন্ধু ডুলিলা ঠাকুর। ভূমিতে লুটায়—প্রেম বাঢ়িল প্রচুর ॥২০৬। সুমেরুপৰ্ব্বত যেন দীঘল শরীর। ভূমে গড়াগড়ি যায় আনন্দ-অথির ॥২০৭৷৷ গৌরাঙ্ক-কিরণে জগন্নাথ হৈল গোর। ভাবময় হৈল দেহ—পরম বিভোরা ॥২০৮ ॥ ՖԳՎ) গৌরময় বলরাম আর পাণ্ডীগণ । ভাবময় দেহ সভার হইল তখন ॥২০৯ ॥ গৌরাঙ্গ তুলিয়া পাণ্ড করিল আরতি । অচল-ত্রহ্মের কাছে সচল-মূরতি ॥ ১১০ ॥ জগন্নাথ প্রকাশ হইল। দ্যাসিরূপে । হেন অপরূপ না দেখিল কারো বাপে ॥২১১৷৷ তবে চিত্তে সম্বেদন হৈল কথোক্ষণে । আপন অগ্ৰিমে গেল। নিজজন-সনে ॥ ২১২ ॥ এইমনে জগন্নাথ দেখি তিনবার । দিলার ত্ৰি ন জানয়ে আনন্দ-পাথর ॥ ২১৩ ॥ হেনমনে নিজজন-সনে কথোদিল । কৌতুকে গোঙায়ে প্রভু প্রেম-পরবীণ ॥২১৪৷৷ হেনই সময়ে কথা শুন সাবধানে। পুরুষোত্তমে প্রথম-প্রকাশ যেনমনে ॥২১৫৷৷ লোকশিক্ষা করে প্রভু হঞা অকিঞ্চন । না বুঝি’ মানুষ-জ্ঞান করে মূঢ়জন ॥ ২১৬ ৷ সমুদ্রভিতরে টোট। করি গৌররায়। " নিজজন সঙ্গে তাহ নিজগুণ গায় ॥ ২১৭ ॥ বিদ্যা-বিমোহিত-চিত্ত ব্রালাবর্বভৌম। প্রভুর পরে ক্ষে কিছু কহিল বিভ্রম ॥২১৮ ॥ ব্রাহ্মণ-সজ্জন যত সম্পূর্ণ সভায়। তার মধ্যে কহে—দ্বিজ যে ছিল হিয়ায় ॥২১৯৷৷ মহালংশে জন্ম ন্যাসী সুপণ্ডিত জন । তরুণলয়সে লহে সন্ন্যাসকরণ ॥ ২২০ ॥ এ সময়ে অনুচিত সন্ন্যাসের ধৰ্ম্ম । না বুঝিয়া কৈল দ্বিজ এতবড় কৰ্ম্ম ॥ ২২১ ॥ পুনরপি সংস্কার করু আপনার । বেদগন্ত শিখিয় করু আশ্রম-আচণর ॥ ২২২ ॥ সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম নহে কীৰ্ত্তন-নৰ্ত্তল । বেদান্ত আমার ঠাই করুক শ্রবণ ॥ ২২৩ ॥ আiচম্বিতে মুচকি হ সিয়া গোর। পন্থ। অবিরল-ধরে যেন বরিখয়ে মন্ত ॥ ২২৪ ॥ জানিএ সকল পহু চলিলা তথায় । সাৰ্ব্বভৌম বসি যথা নেদন্ত পঢ়ায় ॥ ২২৫ ॥