পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԳ8 ॥চেতষ্ঠ্যমঙ্গল মিজ জনসলে সেইখানে উপনীত । দেখি ভট্টাচার্য্য উঠে চমকিত-fচভ ॥ ২২৬ ॥ বসিতে আসন দিল সগৌরব বাণী । ঠাকুর মাগয়ে বিধি কি বরিব আমি ॥২২৭। তুমি সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য সব জান। অন্তর পুছিয়ে তোরে—কহ ত বিধান ॥২২৮৷৷ সন্ন্যাস-আশ্ৰম-ধৰ্ম্ম না বুঝিয়ে আমি। সন্ন্যাস করিল—বিধি বিচারহ তুমি ৷ ২২৯। তুমি সৰ্ব্বতত্ত্ববেত্ত বেদান্ত বাখান। কি বিধান আছে কিছু পঢ়াহ এখন ॥ ২৩০ ॥ তরুণ বয়সে লহে সন্ন্যাসের ধৰ্ম্ম । কি বিধান আছে পুনঃ উপবীত-কৰ্ম্ম ॥ ২৩১ ॥ এ বোল শুনিএঃ সাবর্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য । হৃদয় সঙ্কোচ কিছু গুণয়ে আশ্চৰ্য্য ॥ ২৩২ ৷ এখনি কহিল কথা নিজশিষ্য-সনে । এ কথা সকল স্যাসী জানিল কেমনে ॥২৩৩৷৷ মনে অনুমান করি’ লজ্জায় পীড়িত। কিছু না কহিল—হিয়ায় রহিল বিস্মিত ॥২৩৪৷৷ ভার পর দিনে প্রভু সাৰ্ব্বভৌম ঘরে। নিজজন সঙ্গে গেল। তারে দেখিবারে ॥২৩৫৷৷ বেদান্ত পঢ়ায় সাৰ্ব্বভৌম ঘরে বসি । বেদান্ত সিদ্ধান্ত প্রভু পুছে হাসি হাসি ॥২৩৬৷৷ বেদান্ত নিগৃঢ় কথা পুছিল ঠাকুর। কৃষ্ণ পাদাপ্রয় কথা অমৃত অঙ্কুর ॥২৩৭ ॥ শুনি’ সাৰ্ব্বভৌম হৈলা বিস্মিত অন্তর। বুঝিল—মনুষ্য নহে শচীর কোঙর ॥ ২৩৮ ॥ সজায়ে পীড়িত হৈলা হৃদয়ে ভরাস । এভকাল নাহি শুনি’ এমত নিৰ্য্যাস ॥ ২৩৯ ॥ পঢ়িল শুনিল যত এতকাল ধরি’ । পঢ়াইল শিষ্যগণে অহঙ্কার করি’ ॥ ২৪০ ॥ এখনে শুনিল এ বেদান্তসিদ্ধান্ত। এই মহাপ্রভু সেই সরস্বতী-কান্ত ॥ ২৪১ ॥ এত অনুমানি সৰ্ব্বভৌম দ্বিজরাজ। করজোড়ে স্তুতি করে দেখিয়া সে কাজ ॥২৪২৷৷ হেনই সময়ে প্রভু ষড়ভূজ শরীর। দেখি সৰ্ব্বভৌম হৈলা আনন্দে অস্থির ॥২৪৩৷৷ উৰ্দ্ধ দুইহাথে ধরে ধনু আর শর। মধ্য দুইহাতে ধরে মুরুলী অধর ॥ ২৪৪ ॥ লক্স দুইহাতে ধরে দণ্ড কমুণ্ডল । দেখি সাৰ্ব্বভৌম হৈলা আনন্দেবিহবল ॥২৪৫ চরণে পড়িয়া কাব্দে বিনয় বিস্তর। স্তুতি করে সাৰ্ব্বভৌম গদগদম্বর ॥ ২৪৬ ॥ সগদগদ-স্বরে পঢ়ে সহস্ৰেক স্তব । “চৈতন্যসহস্ৰ” নাম জানে লোক সব ॥২৪৭৷৷ বিহবল হইয় পড়ে পাদগম্বুজ পাশ । কহয়ে লোচন সাৰ্ব্বভৌমের প্রকাশ ॥২৪৮৷৷ এইমতে আছে প্রভু আনন্দ কৌতুকে। আনন্দে দেখয়ে নীলাচলবাসী লোকে ॥২৪৯৷৷ আছিল-অধিক জগন্নাথের প্রকাশ। সভার হৃদয়ে সুখ পরশে আকাশ ॥২৫০৷৷ চৈতন্যচরিত-কথা কে কহিভে জানে। সম্বরিতে নারি—কিছু কহিয়ে বদলে ॥ ২৫১ ৷ শ্ৰীমুরারিগুপ্ত বেঝ। ধন্য ভিনলোকে। পণ্ডিত শ্ৰীদামোদর পুছিল তাহাকে ॥২৫২ ॥ কহিল মুরারিগুপ্ত শ্লোকপরবন্ধে । যে কিছু শুনিল সেই দোহার প্রসাদে ॥২৫৩৷৷ শুনিএsা মাধুরী-লোভে চিত্ত উত্তরোলে। নিজদোষ না দেখিয়া মন ভোর ভেলে ॥২৫৪৷৷ যে কিছু কহিল লিজবুদ্ধি-অনুরূপ। পাঁচালীপ্রবন্ধে কহে মোর ছার মূরুখ ॥২৫৫৷৷ সূত্রখণ্ড, আদিখণ্ড, মধ্যখণ্ড সায়। শেষখণ্ড আছে পুনঃ কহিব কথায় ॥ ২৫৬ ॥ চৈতন্যচরিত্র-কথা চৈতন্য-প্রকাশ। মধ্যখণ্ড সায়-কহে এ লোচনদাস ॥ ২৫৭ ॥ ইতি শীলোচনদাস-ঠাকুর-বিরচিত শ্রীচৈতন্যমঙ্গলে মধ্যখণ্ড সমাপ্ত ।