পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষখণ্ড এ বোল শুনিএ তবে বোলে মহাজন— আম জানিবারে তোমার কি কাজ যতন ॥ যে হই সে হই আমি—তোর কিবা দায়। কেনে উপবাসী মর দুরন্ত হিয়ায় ॥ ৩৮ ॥ ব্রাহ্মণ কহয়ে-দুঃখ-দারিদ্র্যের জ্বরে। জর্জর করিল মোর সব কলেবরে ॥ ৩৯ ৷ ব্রাহ্মণের ধরম নাহিক অণমা ছারে। এ দিবা-রজনী যায় অল্প-হাহাকারে ॥ ৪০ ॥ নিজকুলে তাদর নাহিক কোনখালে । না জানিয়ে কোল ঠাঞি নাহি অপমানে ॥৪১৷৷ জীবন-অধিক সে মরণ ভাল বাসি । কহিল তোমারে ভেঞি মরে উপবাসী ॥৪২৷ এ লোল শুনিএaা চিত্ত-জলে মহাজন । “লিভীষণ’ নাম মোর—শুনহ ব্রাহ্মণ ॥ ৪৩ ॥ দেখিবারে যাই জগন্নাথের চরণ । কৰ্ম্মদোষে দুঃখ পাও—শুনহ ব্রাহ্মণ ॥ ৪৪ ॥ কৰ্ম্মবন্ধে বন্দী লোক সুখ-দুঃখ লাভ। ভুঞ্জিলে সে ঘুচে সেই কৰ্ম্ম-পুণ্য-পাপ ॥৪৫৷৷ জগন্নাথ মুখ দেখ করিয়। পীরিত । জন্মান্তরে নহে যেন দুঃখ-উপনীত ॥ ৪৬ ॥ ইহা বলি’ চলিলেন রাজা বিভীষণ । পাছে পাছে যায় ভভু দরিদ্র ব্রাহ্মণ ॥ ৪৭ ॥ বসি আছে গোরার্টাদ নিজজন-মেলে। “তুয়ারে কে আছে দেখ’ গোলিন্দেরে লোলে । তুয়ারে দাড়tঞ অাছে বিভীষণ রায় । ব্রাহ্মণ দেখিয়। অঙ্গুলি দিল নাসিকায় ॥ ৪৯ ৷ হেনকালে গেল। গোবিন্দ টোটার দুয়ার। দেখিল দ্বারে দুই ব্রাহ্মণ-কুমার ॥ ৫০ ॥ দেখিয়া গে। বিন্দ গেলা প্রভু-বিদ্যমান। কিছু না কহিতে ডাকে ব্রহ্মণ দুইজন ॥ ৫১ ৷ আইস আইস বলি’ হাসি’ সম্ভাষে ঠাকুর। একে বসাইলপোশে আর রহে দূর ॥ ৫২ ৷ সব ছাড়ি প্রভু ভরে সন্তাষে আদরে। কাছে যভূ ছিল বিস্ময় লাগিল সভtgর ॥৫৩॥ " సాహి ঠাকুর কহয়ে চিরদিনে দরশন। অনুরাগে দোহাকার ঝরয়ে নয়ন ॥ ৫৪ ॥ শ্ৰীহস্ত দিয়া অঙ্গ পরশে তাহার । ‘কুশল কুশল’ পুছে ইঙ্গিত আকর ॥ ৫৫ ॥ সে দোহার কথা আর না বুঝয়ে কেহো । গৌরচন্দ্র লোলে—পিপ্র তুঃখিত বড় এহে ॥ দারিদ্র্য-জালায় জ্ঞান হরিল ইহার । জগন্নাথ-উপরে এ করয়ে প্রহর ॥ ৫৭ ॥ আপনার দোষ জীপ না দেখয়ে কিছু। আপনি করিয়া দেয প্রভুরে দোষে পাছু ॥ অপিনে করয়ে লিজ-ভাল-মৰ্ম্ম বলি’ ৷ ভুঞ্জিবার লেলে দোষ প্রভুর উপরি ॥ ৫৯ ৷ সুখ সে ভুঞ্জিতে গুণ কহে আপনার । প্রভুরে দোষয়ে দোষ দুঃখে ভুঞ্জিবার ॥৬০ সাত-উপবাসে বিপ্র মৃত্যু কৈল সার। বিপ্ৰ-প্রিয়-জগন্নাথ কি করিল আর ॥ ৬১ ৷ তোমার দর্শনে ইহার ঘুচিল দারিদ্র্য। ধন দেহ–যেন হয় ধনের সমূদ্র ॥ ৬২ ৷৷ ভাল ভাল বলি’ ভি-হে উঠিল। সত্বর। যে ছিল সেখানে সলে পড়িল৷ কঁপর ॥৬৩৷ দণ্ডলত করি’ তার চলে তুইজন। s পথে যাইতে বিভীষণে পুছয়ে ব্রাহ্মণ— ॥৬৪৮ তুমি বোল—আমি সেই রাজ বিভীষণ । সন্ন্যাসীরে নমস্করি’ চলিলা এখন ॥ ৬৫ ॥ জগন্নাথদেব তুমি না দেখিলে কেনে । স্বরূপ করিয়া কহু দুঃখিত ব্রাহ্মণে ॥ ৬৬৷৷ সন্ন্যাসীর আজ্ঞা তুমি কৈলে শিরঃপরি। সন্ন্যাসী বা কে বা কহ– না কর চাতুরী ॥৬৭৷ রাজা কহে—শুন আরে তাবোস ব্রাহ্মণ। জগন্নাথ দেখ এই সাক্ষৎ নয়ন ॥ ৬৮ ॥ তোমার অভীষ্ট সিদ্ধ-ধন পাইলে তুমিN দ্রাবিড়ে তোkরে ধন দিব লঞা আমি ॥৬৯ এ বোল শুনিএsা বিপ্র শিরে হানে ঘা ৷ অপরভি করিয়া ধরে বিভীষ্মণের श्रीi ॥ १०