পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্য শিক্ষামৃত.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༣སྐ. চরমে নিৰ্বাণুকে যাহারা লক্ষ্য করিয়া বিষ্ণু, শিব, প্ৰকৃতি, গণেশ ও সূর্ঘ্যের সগুণমূৰ্ত্তি সকলকে সাধনের উপায় বলিয়া কল্পনা করেন, তাহারা ঈশ্বরের নিত্য স্বরূপ মানেন না, অতএব কল্পিত মূৰ্ত্তি সেবা করত তৃতীয় শ্রেণীর পৌত্তলিক মধ্যে পরিগণিত হন। আজকাল যাহাকে পঞ্চ উপাসনা বলিয়া বলা যায়। তাহা এই শ্রেণীর পৌত্তলিকতা । কোন গুণকে অবলম্বন করত তদ্বিপরীত ধৰ্ম্ম যে গুণ শুন্যতা তাহা কিরূপে লভ্য হইতে পাস্তুে তাহা বোধ গম্য হয় না। ৭ যোগীদিগের কল্পিত বিষ্ণু মূৰ্ত্তি ধ্যানই চতুর্থ শ্রেণীর পৌত্তলিকতা। তদ্বারা অন্য কোন লাভ হইতে পারে, কিন্তু ভগবানের নিত্য স্বরূপ সাক্ষাৎকার রূপ পরম লাভ হয়না যাহারা জীবকে ঈশ্বর বলিয়া পূজা করেন। তঁহারা পঞ্চম শ্রেণীর পৌত্তলিক । শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর শিক্ষা মতে ইহা অপেক্ষা আর বৃহৎ অপরাধ নাই। যে সকল জীব পূজাহঁ তাহাদিগকে ভাগবস্তুক্ত বলিয়া পুজা করিলে, আর জ্বাবে ঈশ্বর বুদ্ধিরূপ অপরাধ করিতে হয়না। শ্ৰীরাম নৃসিংহাদির স্বরূপ ভজন যে পৌত্তলিক ব্যাপার নয় তাহা মৃৎকৃত শ্ৰীকৃষ্ণ সংহিতা পাঠ করিলে বুঝিতে পরিবেন । উক্ত পাঁচ প্রকার পৌত্তলিকেরা যে কেবল ভগবৎ স্বরূপের নিন্দ করিয়া থাকে তাহা নয়, তাহারা অকারণ পরস্পরের নিন্দ করে। প্ৰথম শ্ৰেণীয় পৌত্তলিক জড়ীয় আকাশের সর্বব্যাপিত্ব গুণকেই ঈশ্বরের প্রধান গুণ মনে করিয়া ভগবৎ স্বরূপের অবহেলা করে এবং কল্পিত ও পরিমিত দেবাকার সকলের নিন্দা করিতে থাকে। ইহার মূল তাৎপৰ্য্য এই যে সমান অধিকারেই সাপত্যু ভাবও তজ্জনিত কলহ অনিবাৰ্য্য হইয়া পড়ে। ীিক্তলিক মাত্ৰেই পৌত্তলিকের নিন্দ করেন। অপৌত্তলিক, স্বরূপলব্ধ, ভগবস্তুক্তের কোন পৌত্তলিকের { প্রতি বিদ্বেষ নাই। তিনি এই মাত্ৰ মনে করেন যে যে পৰ্যন্ত স্বরূপ লাভ হয় নাই, সে পৰ্য্যন্ত কল্পনা বই আর কি করিবে ? কল্পনা করিতে করিতে সাধু সঙ্গ ক্রুমে কল্পনাকে হেয় জ্ঞান করিয়া স্বরূপ জ্ঞান হইবে। তখন আর বিবাদ করিবে না । জীবের স্বীয় স্বরূপ সম্বন্ধে যত প্রকার বিরোধ আছে তাহা অনুভব করিয়া পরিত্যাগ করবে। চিদানন্দ স্বরূপ জীবকে একপক্ষে জড়মধ্য-গীত করিয়া অনেক জড়ীয় ভােব দ্বারা অনূিত করা যায়। জড়-দেহ-গত জীব ঔপাধিক ধৰ্ম্ম যোগে আপনাকে শুদ্ধ জীব হইতে অন্যতার বস্তু বলিয়া বোধ করেন। c