পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্য শিক্ষামৃত.djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'Ꭹ Ꭹbr चैबे?ष्डमा नेिकाशूङ । কল্পিত কোন মূৰ্ত্তিকে উপাসনা করিতে করিতে, ক্ৰমশঃ বুদ্ধি স্থির হইলে নিগুণ লক্ষণ ব্ৰহ্মের প্রতি জ্ঞান ও বৈরাগ্যের অনুসন্ধানকে নিযুক্ত করিবেন। অপৰোক্ষানুভূতি গ্রন্থে অভেদ ব্ৰহ্মবাদ মতের এক জন প্ৰধানাচাৰ্য্য শ্ৰীশঙ্কর স্বামী এই রূপ নির্দিষ্ট করিয়াছেন যে বৈরাগ্য, বিবেক, শম, দম, উপর তি, তিতিক্ষা, শ্রদ্ধা, সমাধান ও মুমুক্ষুত এই নয়টা সাধন যোগে পুরুষ বিচার করিতে করিতে কৰ্ত্তব্য জ্ঞান লাভ করিবেন। পূৰ্ব্বোক্ত সাধন সমূহ কিরূপে প্রভূত হয় তদ্বিচারে বলিয়াছেন যে স্ববৰ্ণাশ্ৰম ধৰ্ম্ম, তপস্যা ও হরিতোষণ এই তিনটী প্রক্রিয়া সৃষ্ট রূপে করিতে পারিলে উক্ত নব বিধ সাধনের উপযোগী হওয়া যায়। সগুণ দেবতা মাত্রের উপাসনাকে হরিতোষণ বলিয়া উক্তি করিয়াছেন। অদ্বৈত বাদীর মতে প্ৰকৃতি, সুৰ্য্য, গণেশ, শিব ও বিষ্ণু ইহঁরাই পঞ্চবিধ সগুণ দেবতা। এই পাঁচটী দেবতার উপাসনাকাণ্ড পৃথকৃ পৃথকৃ হইয়া পঞ্চ উপাসনৃ পদ্ধতি সম্মত তন্ত্র সকল বিরচিত হইয়াছে। তঁহাদের সিদ্ধান্ত এই যে ঐ সকল দেবতার উপাসনা করিতে করিতে চিন্ত্তৈকাগ্র্য রূপ ফল হয়। সেই ফল সাধন ক্রমে নির্বিষয়তা লাভ করত নির্বিশেসাভিনিবেশ লক্ষণ জ্ঞান জন্মাইয়া দেয়। সেই জ্ঞানের গাঢ়তা হইলে আমিই ব্ৰহ্ম এই রূপ জ্ঞান হয় । 4. গাঢ় রূপে বিবেচনা করিয়া দেখিলে এই সিদ্ধান্ত হয়, যে অদ্বৈত বাদীগণ ব্ৰহ্মকেই এক মাত্ৰ বস্তু বলেন। অন্য সকলই অবস্তু। প্ৰথম সাধন কালে যে দেবোপাসনা করার বিধান হইল, সে দেবতাও অবস্তু। নির্বিশেল অবস্থায় সে দেবতা নাই। অতএব সে দেবতা কাল্পনিক। এই মন্তেয় । অন্তর্গত যে রাম কৃষ্ণাদি মূৰ্ত্তি তাহাও কাল্পনিক। কাল্যাদি প্রকৃতি, সূৰ্য্য, গণেশ, শিব ও বিষ্ণু তাহদের মতে কল্পিত দেবতা। অষ্টাঙ্গ যোগীও পঞ্চোপাসকগণও তঁহাক্সের অনুগত এবং চরমে সকলেই ব্ৰহ্মবাদী ও মুক্তি পক্ষগ । উপাস্য দেবতাকে মিথ্যা ও কল্পিত জানিয়াও তঁহাদের উপাসনা করেন । তঁহাদের উপাসনা কালে যে রীতির লক্ষণ দেখা যায় তাহাকেই তঁাহারা রীতি বলিতে চাহেন। উৎসবকালে তঁাহার কম্প, শ্বেদ, বৈবৰ্ণ, অশ্রু, পুলক ইত্যাদি লক্ষণাক্রান্ত হইয়া নৃত্য করেন । এই সমস্তই রতি লক্ষণ বটে কিন্তু যে শ্ৰদ্ধা ও নিরুপাধিক রীতির কথা আমরা উল্লেখ করিয়াছি তাহা নয়। রীতি কত প্রকার ? উত্তমরূপে বিচার কবিলে পাচ প্রকার রীতি জগতে वभिड श्न । शश:-