পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্য শিক্ষামৃত.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম কুষ্টি । Sst সেই সকল দেশে অনেক সামাজিক উৎপাত হওয়ায়, পরে বিবাহ বিধি প্রচলিত হইয়া আসিয়াছে। যথেচ্ছাচার পরিত্যাগ পূর্বক এক জন পুরুষ একটী স্ত্রীকে সৰ্ব্বজনের সন্মতি ক্ৰমে গ্ৰহণ করিয়া সংসার যাত্রার ভিত্তি মূল পত্তন করেন। ইহার নাম বিবাহ ! পুত্ৰ কন্যা হইলে তাহাদিগকে পালনকরত শিক্ষাদানপূর্বক জীবন যাত্রার উপায় করিয়া দেন। সংসারে বর্তমান মানববৃন্দ পরস্পর ভ্রাতৃ ভাব সংস্থাপন, পরের কষ্ট নিবারণ, ন্যায়মতে অর্থসংগ্রহ দ্বারা জীবিকা নিৰ্বাহ, সর্বদা সত্যের পালন, মিথ্যার দমন ইত্যাদি কাৰ্য্য দ্বারা সংসারের উন্নতি বিধি সংস্থাপন করেন। সমাজ-নিষ্ঠ প্ৰবৃত্তি মানবজাতির প্রধান ধৰ্ম্ম। সৰ্ব্ব দেশে ও সৰ্ব্ব কালেই মানব জাতির মধ্যে ঐ ধৰ্ম্মের কার্ঘ্য দেখা যায়। যে দেশে মানবগণের যত দূর সামাজিক উন্নতি ও সভ্যতার সমৃদ্ধি, সে দেশে সমাজ-নিষ্ঠ বিধি তাত দূর পরিপক্ক ও বদ্ধমূল। সৰ্ব্ব জাতির মধ্যে আৰ্য জাতির সামাজিক উন্নতি ও সভ্যতা অধিক ইহা সৰ্ব্ববাদী সন্মত্ত। আৰ্য জাতির যত শাখা প্রশাখা । श्रॆशांरच्छ् उन्न८४T ভারতবাসী অাৰ্য্য শাখার যে বিদ্যা, বুদ্ধি ও সামাজিক উন্নতি অধিকতর হইয়াছে, তাহাতে আর সন্সে : ক ? সেই অর্ষ্য শাখা আজকাল বৃদ্ধাবস্থা বশতঃ বলহীন হইয়া অন্য জাতির অধীন হইয়াছে বলিয়া তাঁহাদের সামাজিক সন্মানের ক্ৰটী হইবে না। যদি কোন অৰ্ব্বাচীন লোক তঁহাদের উন্নতি ও সভ্যতার বিষয় প্ৰতিবাদ করেন, তাহা হইলেই যে ভারতীয় আৰ্য্য শাখা বাস্তবিক লঘু হইবে। এমত নয়। সমাজ-নিষ্ঠ বিধি ভারতীয় আৰ্য শাখার হস্তে যে কত উন্নতি-সাধন করিয়াছে, তাহা বৈদিক ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পাঠ করিলেই জানা যায়। যথাৰ্থ বলিতে গেলে ঋষি দিগের হস্তে সমাজ-নিষ্ঠ বিধির চরম উন্নতি হইয়াছিল। ইহা সমস্ত সহৃদয় ও বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিগণই স্বীকার করিবেন। তঁহারা বৈজ্ঞানিক বিচার ক্ৰমে সমাজ-নিষ্ঠ বিধিকে দুই ভাগে বিভক্ত করিয়াছিলেন, যথা বর্ণবিধি ও আশ্রম বিধি ! সমাজ-নিষ্ঠ মানবের দুই প্রকার অবস্থা অর্থাৎ স্বভাব ও অবস্থান। জননিষ্ঠ ধৰ্ম্ম হইতে স্বভাব ও সমাজ নিষ্ঠ ধৰ্ম্ম হইতে অবস্থান। সামাজিক হইলেই মানবের জননিষ্ঠ ধৰ্ম্ম লোপ হয় না। বরং সমাজ সমন্ধ ক্ৰমে তাহা পুষ্ট হয়। মানবের স্বভাব ক্ৰমে বর্ণবিধি ও অবস্থান ক্ৰমে আশ্রম বিধি ব্যবস্থাপিত হইয়াছিল। মানবের শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিসমূহ ক্ৰমশঃ অনুশীলনক্রমে উন্নত হইয়া একটা স্থায়ী অবস্থা প্রাপ্ত হয়। সেই অবস্থায় যে প্রবৃত্তি অন্য সমস্ত প্রবৃত্তির উপর প্রভূত স্থাপন করে, সেই প্রবৃত্তিই সেই মানবের স্বভাব। স্বভাব চারি প্রকার অর্থাৎ ব্ৰহ্ম