পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্য শিক্ষামৃত.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম বৃষ্টি। ᎿrᎼ. উঠে। সেই সেই ইজিয়ার্থ যদি ভগবাদ্বিষয়ক হয়, তবে তাহাতে যথেষ্ঠ গ্ৰীতি হয়। বাবাজী বলিয়া একটী শ্ৰেণী লক্ষিত হয়, তাহারা ভেক ধারণ পূর্বক আপনা- “ দিগকে বিরক্ত মনে করে। বিরক্ত ঘলিয়া পরিচয় দিলেই বিরক্ত হয়। এরূপ নয়। যদি ভাবোদয় ক্ৰমে ইন্দ্ৰিয়ার্থে ক্ষমৃক্কচি স্বয়ং উপস্থিত না হইয়া থাকে, তবে তাহাঁদের ভেক গ্ৰহণ করা অবৈধ ৷ ভেকের অর্থ এই ষে ভােব ক্ৰমে যখন বিরক্তি উদিত হয় তখন সকলের পক্ষে সংসার সুবিধাকর হয় না। যাহাঙ্গের পক্ষে সংসার সুবিধা করা হয় না, তাহার অভাব খর্ব করিয়া সামান্য ক্ষুদ্র বলন, কোৱা, করঙ্গ প্রভৃতি ব্যবহার করিয়া ভিক্ষার দ্বারা, শ্ৰীমহাপ্ৰসাদ সেৱন করিয়া থাকেন। এরূপ ব্যবহার ক্রমেই স্বয়ং হুইয়া পড়ে। এই পরিবর্তনটী যখন শ্ৰীগুরুদেবের নিকট অধিকার বিচার পূর্বক সৰ্ব্ব শান্ত্রি সম্মত থবিয়া নির্দিষ্ট হয় তখনই প্ৰকৃত ভোক হইয়া থাকে । কিন্তু বৰ্ত্তমান প্ৰথা অত্যন্ত অমঙ্গলজনক, হইয়াছে। অনেকে জাতি-ভাব হওয়া দূরে থাকুক, বৈধ ভক্তিতে পরিনিষ্টিত না হইয়াই, ক্ষণ-বৈরাগ্য ক্ৰমে বা যথেচ্ছাচুর করিয়াও জীবনযাত্রার সুবিধার জন্য ভেক গ্ৰহণ করে। স্ত্রী পুরুষের কলহ ক্ৰমে, সাংসারিক ক্লেশ বশতঃ, বিবাহের অভাবে, বেশ্যাদিগের ব্যবসায় অবসানে, কোন মাদক দ্রব্যের বশ্যতা দ্বারা বা অবিবেক পূর্বক যে তাৎকালিক সংসার বৈরাগ্য উদয় হয় তাহার নাম ক্ষণবৈরাগ্য। সেই ক্ষণ-বৈরাগ্যবশতঃ নবীন পুরুষগণ সহসা কোন বাবান্ধীর নিকট বা গোস্বামীর নিকট গমন করত যৎকিঞ্চিৎ অর্থ প্ৰদান করিয়া কৌপীন ও বহিৰ্ব্বাস গ্ৰহণ করেন। তাহাতে ফল এই হয় যে অত্যয় কালেই সেই বৈরাগ্য বিগত হয় এবং তদাশ্রিত পুরুষ বা শ্ৰী ইন্দ্ৰিয় পরবশ হইয়া কোন প্রকার অবৈধ সংসার পত্তন করে, অথবা গোপনে গোপনে কদাচার করিয়া ইন্দ্ৰিয় তৃপ্তি করে। তাহার পরমাৰ্থ কিছুমাত্ৰ হয় না। এই প্রকার অবৈধ ভেকের পর্বটী একেবারে উঠাইয়া না দিলে আর বৈষ্ণব জগতের কোন প্ৰকার মঙ্গল হইবেনা।-- পূর্বে বর্ণাশ্ৰম ধৰ্ম্ম বিচারে অবৈধ বৈরাগ্যকে জগন্নাশ কাৰ্য্য রূপ পাপ বলিয়াপ্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। সেই অবৈধ বৈরাগ্য বৰ্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম গত সন্ন্যাস আশ্রম নিষ্ঠ পাপ কাৰ্য্য। এক্ষণে যে অবৈধ বৈরাগ্যের বিচার করা গেল, তাহা ভক্ত জীবন গত মহাদপরাধ বিশেষ। O বৈষ্ণব বৈরাগী বলিয়া র্যাহারা পরিচয় দেন তন্মধ্যে ভক্তি জনিত বৈরাগ্য অতি অল্প লোকের হইয়া থাকে। অবৈধ বৈরাগীগণ নিম্নলিখিত চারি শ্রেণীতে বিভক্ত হয় ।