পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ 颂而不1 آبیہ বৰ্ত্তমান সময়ে অত্যন্ত শ্ৰদ্ধা প্রীতিতেই সেবাকাৰ্য্য নিৰ্বাহ হইতেছে। শ্রদ্ধাস্পদ । শ্ৰীললিতা সখী এই সেবাকাৰ্য্যের প্রধান পরিচালিকা। ইহার কঠোর শাসনভয়ে শ্ৰীশ্ৰী রাধারমণ জীউর সেবা কাৰ্য্য বিশেষ সুশৃঙ্খলার সহিত সুসম্পন্ন হইতেছে এবং সকলেই ইহঁার আচরণে বিশেষ পরিতুষ্ট আছেন। এই স্থানে ঠাকুরের দর্শনী বাবতে কিছু দেওয়ার রীতি নাই দেখিয়া দর্শকগণ বিশেষ আনন্দলাভ করেন। এই শ্ৰী রাধারমণ বাগের ব্যবহার ; রীতিনীতি ও সেবা পরিপাটী দেখিয়া সৰ্ব্বলোক মুক্তকণ্ঠে তাহাদের প্রশংসা কৱিয় থাকেন । কিন্তু সমাজের নিকটবৰ্ত্তী পাদুকা দুই যোড়ার উপর শ্ৰী,তুলসী দেওয়ার রীতি দেখিয়া মনে দুঃখ পাওয়াতে ভক্তগণ অনেক পরিতাপও করিয়া থাকেন! wরাধারমণ চরণদাস । বাবাজীর অপ্রকটের তিন দিবস পরে তদীয় গুরুদেৰ পূজ্যপাদ ৬/গৌরহরি দাস বাবাজী সজ্ঞানে দেহরক্ষা করিয়াছিলেন। দীনদুঃখী, বিপদগ্ৰস্ত ও পীড়িতগণের সেবা কাৰ্য্যেন্ত শ্ৰী ললিতা সখী প্রভৃতির ব্যবহার অন্ঠ্যন্ত প্রশংসনীয় বিষয়। “শ্ৰীশ্ৰী রাধারমণ সেৰাশ্ৰম” ও “ঐনিতানন্দ মাতৃমন্দির’ নামে এই উদ্দেশ্যে তাহারা দুইটী বিশেষ বিভাগ ও শাখা বুদ্ধি করিয়া পীড়িত ও বিপদগ্ৰস্তগণের জন্য যেরূপ ব্যবস্থা করিয়াছেন, তাহা পৰ্য্যালোচনা করিলে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হইতে হয় ! এই সেবাশ্রম ও মাতৃমন্দিরের উন্নতিসাধনকল্পে যদি যাত্ৰীকগণ শ্রদ্ধাশ্ৰীতিতে অন্ততঃ একটি পয়সা হিসাবেও দিয়া সাহায্য করেন, তাহা হইলে শত শত পীড়িত ও বিপদগ্ৰস্তের আনুকূল্য হইতে পারে। মাতৃমন্দিরে শিক্ষিতা মহিলা দ্বারা ধৰ্ম্ম গ্রন্থাদি পাঠ করিয়া শুনাইবার রীতিও আছে ৷ শ্ৰী রাধারমণ চরণদাস বাবাজীর শিষ্যগণের মধ্যে শ্রীরাধাবিনোদিনী সখীর ব্যবহার স্বতন্ত্র। তিনি এ সমস্ত কাৰ্য্যে নিলিপ্ত থাকিয়া গ্রন্থাদি অধ্যয়ন কাৰ্য্যেই অধিক সময় অতিবাহিত করেন। কেহ প্রীতিতে ডাকিয়া কিছু ভোজন করিতে দিলে তথায় যাইয়া আহার করেন। উহার বাসস্থানের কোন বিশেষ স্থানও নির্দিষ্ট রাখেন না। উনি স্ত্রীবেশে থাকিয়৷ তদুচিত বেশ-বিন্যাস দ্বারা সজ্জিত থাকিতে অধিক আনন্দ অনুভবও করিয়া থাকেন। ... অতএব স্ত্রীলোকদের সঙ্গেই র্তাহার থাকা ও বাস করা স্বভাবসিদ্ধ। উইার স্বভাব অতি মৃদু ও কোন সময় কেহ রাগাইতে পারে না। অনেক সময়ে পরীক্ষা করিবার জন্য অনেকে অনেক গালাগালি দিয়াও দেখিয়াছে। উনি “নিতাই এর ইচ্ছা” বলিয়াই নিরুত্তর থাকেন। বস্ততঃ উইার এমন কয়েকটি অসাধারণ গুণ রহিয়াছে, যাহা পরীক্ষা না করিলে কেহই বিশ্বাস ও ধারণা করিতে পারেন। না। এরূপ আত্মসংযমী ও জড়প্রকৃতির লোক আমি কখনও দেখি নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। - উহার কাৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিলে "জড়ভরতের” প্ৰস্তাবটী মনে জাগ্ৰত হইয়া থাকে। সাধারণ লোক উইার স্বভাব চরিত্রের বিষয় ভালরূপ না বুঝিতে পারিয়া, উনি যে স্ত্রীলোকের নিকট থাকেন, তজ্জন্য অনেক নিন্দা করিয়া থাকে। তাহাদের এরূপ বলা যুক্তিসঙ্গতই হইতে পারে, যেহেতু তাহারা গৃহাশ্রমী । তাহাদের মানসন্ত্রম আছে এবং সমাজের শাসনানু- , সারে চলিতে হয়। অতএব তাহারা যে নিন্দা করিবে ও অসন্তুষ্ট হইবে, তাহাতে তাহদের কোন দোষ নাই। শ্ৰীমহাজন বাক্যেও আছে যে,-+ “যদি হই ভবনদী পার। তবুও না ছাড়ি লোকাচার ॥” ... অতএব নিয়ম লঙ্ঘন ' করিলে যে লোকের বিষদৃষ্টিতে পতিত হইতে হইবে সে সম্বন্ধে কোন ुगम् Digitized at BRCIndia.com 辜、 ماشین = டா