পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

19 R. वैऋओब्रांत्र সুন্দর। থাকেন। ... *স্মাত পণ্ডিতগণ” স্মৃতি শাস্ত্রোক্ত যাবতীয় বিচার ও কাৰ্য্যগুলির সুব্যৱস্থা দিয়া থাকেন। "পৌরাণিক পণ্ডিতগণ স্বীয় স্বীয় আলোচ্য বিষয়গুলির উৎকর্ষ-সাধনে। বিশেষ তৎপরতার পরিচয়ও দিয়া থাকেন। "শ্ৰীমদ্ভাগবত বক্তা পণ্ডিতগণ” বিশেষ; বিশেষ স্থানে অপরাহ্ন সময় কিম্বা সন্ধ্যার পরে কথকতা ছলে শ্ৰীশ্ৰীভক্তিদেবীর মহিমা বর্ণনক্রমে শ্রোতাগণের রুচিবৰ্দ্ধনের প্রয়াস পান। শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থ পাঠক (বৈষ্ণক ) গণ স্বীয় রুচি অনুরূপ মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়া স্থানে স্থানে ঐ গ্রন্থের বিবিধ অৰ্থ প্রকাশ করেন ও তর্ভৎভাবে শ্ৰোতা ভক্তগণের রূচিবৰ্দ্ধন। কবেন । “কোথাও গানবাদ্য ও কীৰ্ত্তনাদি শিক্ষার চেষ্টা ও কাৰ্য্য হইয়া থাকে। আিম এক কথায় বলিতে গেলে এই স্থানে, “যে যাহা চায় সেই তাহা পাইবার” দ্বার অবারিত বুহিয়াছে। অতএব শ্ৰীশ্ৰীগৌ-' রাঙ্গ দেবের প্ৰিয়তম ধাম ও বিহারভুমি এই শ্ৰীধাম নাyদ্বীপ যে চিন্ময় ভূমি এবং এই স্থান যে প্রতি লোকের শান্তি নিকেতন ও সুখপ্রদ'স্থান সে সম্বন্ধে অনুমাত্ৰও সন্দেহ নাই। অতএব শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দরের সম্পর্কিত এই শ্ৰীনবদ্বীপধাম যে ভক্তগণের অতি আদরের বস্তু হইবে এবং এই স্থানের প্রতিলীিলাস্থলী গুলি যে তঁাহারা স্বচক্ষে দর্শন করিবেন এবং প্রাচীন প্রাচীন স্থানগুলির উন্নতি সাধন কাৰ্য্যে ব্ৰতী হইয়া তত্তদভাব মোচন 'কাৰ্য্যে মনোযোগী হইবেন, ইহা বলা বাহুল্যমাত্র। এই শ্ৰীনবদ্বীপ যে কি বস্তু, তাহার মহিমা ভবিষ্যতে প্ৰকাশ পাইবে। যেহেতু-শ্ৰীশ্ৰীবৃন্দাবন দাস ঠাকুরের বর্ণনা মিথ্যা হইবে না।. তিনি বর্ণন করিয়াছেন যে,-“শ্বেতদ্বীপ নাম, নবদ্বীপ ধাম, বেদে প্রকাশিব পাছে।” অতএব মহামহিমান্বিত এই শ্ৰীধাম নবদ্বীপের মহিমা ও তত্ত্ব কে অবগত হইতে পারে ? শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর অশেষ করুণায় বহু বাধাবিপত্তি অতিক্ৰম করিয়া অদ্যা ১৮৩৯ - শকাব্দার আশ্বিন শুক্লাদশমী নামান্তর শ্ৰীশ্ৰীবিজয়া দশমী তিথিতে, এই “শ্ৰীনবদ্বীপ, দৰ্পণ গ্রন্থের” পরিশিষ্ট লিপিকাৰ্য্য সুসম্পন্ন হইল। এই বৃহৎ (জটিল ও কঠিন সমস্তাপূর্ণ) গ্ৰন্থ যে আমি সম্পাদনা করিতে সক্ষম হইব, সে সম্বন্ধে সম্পূর্ণ সন্দেহ ও বিক্সের কারণ ছিল । সত্য বিষয় প্রকাশ করিতে যাওয়াতে চতুৰ্দিক হইতে এরূপ বিষম প্রতিবাদ ও আক্রমণ করা হইয়াছিল যে, "একমাত্ৰ নিদিয়ার ঠাকুর” শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দরের পূর্ণ কৃপা ব্যতীত ঐ সমস্ত · জটিল বিষয়গুলির সন্তোষজনক উত্তর দেওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব ছিল! কি অদ্ভুত শ্ৰীমহাপ্রভুর ভঙ্গি ! দেখিতে দেখিতে চতুর্দিক হইতে সন্তোষজনক প্রাচীন প্রমাণগুলি আমার হস্তে পৌছিতে লাগিল !" এই বিষম সময়ে শ্ৰদ্ধেয় ৬৮ কান্তিচন্দ্র রাঢ়ী মহাশয়ের দৌহিত্র শ্ৰীযুক্ত ফণিভূষণ দত্তের নিকট হইতে আশাতিরিক্ত সাহায্যও পাইয়াছি। এজন্য আমি তাহার নিকট কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশ করিতেছি । ৪. শ্ৰীশ্ৰীবলরামদাস ঠাকুরের বংশোদ্ভব পূজ্যপাদ শ্ৰীল হরিদাস গোস্বামীর আশ্বাস বাণী ও উপদেশাদি দ্বারাই স্থির চিত্ত ছিলাম। র্তাহার নিরুপাধি দয়া গুণের জন্য তঁাহাকে "ভক্তিভরে প্রণাম করিতেছি। মাদৃশ ক্ষুদ্র জীব দ্বারা যে শ্ৰীশ্ৰীনবদ্বীপ-সমস্যা পূরণ হইবে, তাহা ভ্ৰমেও কল্পনা করিতে পারি না। এই গ্রন্থে “শ্ৰীশ্ৰীনবদ্বীপ চাদ” নিজ গুণে যাহা ক্ষুদ্রণ করাইয়াছেন, তাহা ভাল কিম্বা মন্দ, এ বিচার করিবার ; আমার, অধিকাৱা নাই। আমি ইহাৰ কৰ্ত্তা নহি, কিন্তু উপলক্ষ মাত্র। যাহার ধাম, Digitized at BRCIndia.com