পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖԵՆ শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। "প্রকাশ সময়ে কয়েকটী অলৌকিক ঘটনাও সমুপস্থিত ইইবে।” স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে হঠাৎ নিদ্রাভঙ্গ হওয়াতে দেখিতে পাইলেন রাত্ৰি প্ৰভাত হইয়াছে। মুহারাজ ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহকে বন্য হস্তীর সম্মুখে পাঠান হইবে শুনিয়া, নির্দিষ্ট স্থানে পূর্ব হইতেই নানা স্থানের লোক কৌতুক দেখিবার জন্য উপস্থিত হওয়াতে লোকারণ হইল। তাহার। উৎকণ্ঠিত চিত্তে সময়ের প্রতীখা করিতে লাগিল । । রাজ্যের সন্ত্রান্ত বংশীয়গণ মঞ্চোপরি উপবেশন করিয়া এই কঠোর আদেশের অনুকুলে ও প্রতিকুলে আন্দোলন করিতে লাগিলেন । ইতিমধ্যে শ্ৰীল ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহ প্ৰাতঃকালীন বৈষ্ণৰ কৃত্য সমাপন করিয়া সুমধুর স্বরে হরিনাম কীৰ্ত্তন করিতে করিতে প্ৰসন্ন বদনে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া রাজ) আজ্ঞার প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। যেই মাত্ৰ মহারাজ গোবিন্দ সিংহ আদেশ প্রচার করিলেন, অমনি জনতার মধ্য হইতে ধৰ্ম্ম প্রাণ লোকসমুদয় এই নিন্দনীয় কাৰ্যের প্ৰতিবাদ করিয়া রাজা ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহকে আসন্ন রিপদ হইতে রক্ষা করিবার জন্য তুমুল আন্দোলন উপস্থিত করিলেন! ভাগ্যচন্দ্ৰ সিংহ) তাহাদের “সকলকে বিনয় মধুর বাক্যে প্ৰবোধ দিয়া যোড়হস্তে সকলের অনুমতি প্ৰাৰ্থনা করিয়া গড়ের মধ্যবৰ্ত্তী উন্মত্ত হস্তীর নিকট যাইতে উদ্যত হইলেন । সকলকে কোনরূপ প্ৰবোদ্ধ করিয়াছিলেন, কিন্তু স্বীয় প্রাচীন ভূত্য তিনটীকে उात्रा5क किङ्कहङश् নিবৃত্ত করিতে পারিলেন না। উহারা বলিতে লাগিল, “আমরা জীবিত থাকিতে মহারাজকে ক্ষিপ্ত হস্তীর সন্মুখীন হইতে কিছুতেই দিব না। আমারা প্ৰথমে হস্তী দ্বারা নিষ্পেষিত হইব। তদনন্তর যেন মহারাজকে ভিতরে যাইতে দেওয়া হয়।” এই বলিয়া উহারা গড়ের মধ্যে প্রবেশ করিবার উদ্যোগ করিতে লাগিল ! কিন্তু ভাগ্য চন্দ্ৰ সিংহ বহু প্রকারে উপদেশ দিয়া তাহাদিগকে তাহদের কৰ্ত্তব্যকার্ঘ্যে বিস্ত্ৰ দিয়া দ্রুতবেগে গড়ের মধ্যে প্রবেশ করিলেন । ভূতাত্ৰিয় অমনি মুক্ষিত হইয়া ভূমে পতিত হইল ! এদিকে চতুৰ্দ্ধিকে লোক সমাগম দেখিয়া ক্ষিপ্ত হস্তী উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া সকলের ভয় উৎপাদনা করিতেছিল । ইতিমধ্যে মহারাজ ভাগ্যচন্দ্র স্বীয় হৃদয়-অধিদেব শ্ৰীগোবিন্দের জগন্মঙ্গলনাম গান করিতে করিতে দর্শকগণের হৃদয় দ্রব করিয়া হস্তীর দিকে গমন করিতে লাগিলেন। হস্তীকে দ্রুতগতিতে মহারাজের দিকে অগ্রসর হইতে দেখিয়া সকলের মনে বিষম ভাবনা ও আশঙ্কা উপস্থিত হইতে লাগিল! কিন্তু শ্ৰীকৃষ্ণনামের কি বিচিত্র মহিমা !! দেখিতে দেখিতে হস্তীর সেই বিভৎসভাবে দূরীভূত হইল ! অমনি নতজানু হইয়া ভাগ্যচন্দ্রের সম্মুখে প্ৰণত হইল ও স্বীয় শুণ্ডদ্বারা প্ৰথমে ভক্তরাজের পদধূলি মস্তকে ধারণ করিয়া আমনি যত্নসহকারে শুণ্ডদ্বারা উত্তোলন করিয়া স্বীয় স্বন্ধে উপবেশন করাইল! সম্মুখে এই অত্যাশ্চৰ্য্য ঘটনা দেখিয়া দর্শকমাত্র বিস্ময়-সাগরে নিমগ্ন হইয়া ভক্তচূড়ামণি ভাগ্যচন্দ্রের জয়ঘোষণা করিতে লাগিল ! মহারাজ গোবিন্দ সিংহ আর বিলম্ব না করিয়া স্বীয় দুস্কৃতির প্রায়শ্চিত্ত করিবার নিমিত্ত গড়ে প্রবেশ করিয়া হস্তীর সমীপবৰ্ত্তী হইলেন!। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য! ভক্তের সঙ্গের প্রভাবে হস্তীর পূর্ব স্বভাৰ দূৰীভূত হইয়াছে। সুতরাং গোবিন্দ সিংহের কোন অনিষ্ট চেষ্টা আন্দেী করিল না। রাজা সসন্ত্রমে ভাগ্যচন্দ্ৰকে হস্তীর পৃষ্ঠ হইতে অবতরণ করাইয়া মহা সম্মানের সহিত সিংহাসনে উপবেশন করাইলেন এবং যে ভক্তির প্রভাবে তিনি মত্তহস্তীকে পৰ্য্যন্ত জয়ী হইলেন, এমন মহিমান্বিত ভুক্তরাজকে তদুচিত ‘সন্মান SLSLSLSTSLSLL LSS STTTTS 1 1 15 ܚܕ S LM LLL LLL LLLLLLLLkLLLS LLLLL SSASAS كانت تتشكل سسسسسسسسسسسسة