পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। সংস্কার,-এই কাৰ্য্য ভরতপুর রাজসরকার হইতে মঞ্জুর হইয়াছিল। (২) শ্ৰীবৃন্দাবনের প্রাচীন ঘাটগুলির উপর দিয়া শ্ৰীযমুনার গতি প্ৰত্যাবৰ্ত্তন'-এই বৃহৎ কাৰ্য্যে স্থানীয় গবাৰ্ণিমেণ্ট এক তৃতীয়াংশ ব্যয়ম্বরূপ এক লক্ষ টাকা দিয়া সাহায্য করিতে সন্মতি প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । , , (৩) শ্ৰীমথুরা হইতে “শ্ৰী রাধাকুণ্ড” ও “বৰ্ষীণ” হইয়াত শ্ৰীনন্দিগ্রাম পৰ্য্যন্ত রেলওয়ে লাইন প্ৰস্তুত করা,- এই কাৰ্য্য, গবার্ণমেণ্ট মঞ্জুর করিয়াছিলেন। ব্ৰজমণ্ডলের উপস্থিত কাৰ্য্যগুলি সম্পাদনে বিন্ন উপস্থিত হওয়া গতিকে, মনে অত্যন্ত দুঃখ হওয়াতে 臀 শ্ৰীব্ৰঙ্গমণ্ডলের বাহিরে যাইতে ইচ্ছা প্রকাশ করায়, শ্ৰীবৃন্দাবনবাসী কতিপয় বৈষ্ণব মহাত্মা এ অযোগ্যকে আরো একটী জটীল ও গুরুতর। কাৰ্য্য সম্পাদনের অনুমতি প্ৰদান করিয়া শ্ৰীধাম নবদ্বীপে আসিতে অনুমতি প্ৰদান করেন, ” তঁহাদের কৃপাপূর্ণ আদেশ মস্তকে ধারণ করিয়া বিগত ১৩২৩ সালের ভাদ্র মাসের শেষভাগ হইতে এই শ্ৰীনবদ্বীপ ধামে বাস করিয়া ‘শ্ৰীভক্তিরত্নাকর।” ও ‘শ্ৰীচৈতন্য ভাগবত” গ্রন্থের বর্ণিত স্থানগুলির বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ ও মানচিত্রাদি অঙ্কন করিতেছি । “চৌরাশি ক্ৰোশি শ্ৰীব্ৰজমণ্ডল” এবং “ষোল ক্ৰোশি শ্ৰীনবদ্বীপ ধাম" সম্বন্ধে শ্ৰীভক্তিরত্নাকর গ্রন্থে সবিস্তার বৃত্তান্ত বর্ণিত আছেন । চৌরাশি ক্রোশি ব্ৰজমণ্ডলের অন্তৰ্গত শ্ৰীকৃষ্ণলীলাস্থলী গুলির বৃত্তান্ত সংগ্রহ ও মানচিত্ৰাদি অঙ্কন করিতে, তিন বৎসর পরিমিত সময়, ব্রজের গ্রামে গ্রামে ভ্ৰমণ ও স্থানগুলির অবস্থা ও বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করিতে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর কৃপায় এবং শ্ৰী বৈষ্ণবগণের আশীৰ্ব্বাদে, আমাকে কোনরূপ কষ্ট ও উদ্বেগ পাইতে হয় নাই ; কিন্তু এই “যোলি ক্রোশ’ অথবা ‘বিশ ক্রোশ’ পরিধির অন্তর্গত শ্ৰীধাম নবদ্বীপের বৃত্তান্ত / সংগ্ৰহ করিতে, আমাকে নানা প্রকার কষ্ট ও অসুবিধা ভোগ করিতে হইয়াছে । گا۔ দুইটী প্ৰধান কারণের জন্য শ্ৰীনবদ্বীপের স্থান নির্ণয় ও প্রকৃত বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করা অত্যন্ত অসুবিধার কারণ হইয়াছে। প্রথমতঃ “শ্ৰীশ্ৰীমায়াপুরের’ স্থিতি নির্ণয়, দ্বিতীয়তঃ “পণ্ডিত শ্ৰীদেবানন্দাচাৰ্য্যের অপরাধ ভঞ্জনের পাঠ.” “শ্ৰীকুলিয় সম্বন্ধীয় প্রসঙ্গ’ । – এই দুই প্রসঙ্গের সন্তোষজনক নিদর্শন ও প্রমাণ যে পৰ্য্যন্ত উপস্থিত করিতে সক্ষম না হইতে পারিব, সে পৰ্য্যন্ত শ্ৰীধাম নবদ্বীপ সম্বন্ধীয় পরিশ্রম ও - চেষ্টা কিছুতেই সফল হইবেক না। অতএব শ্ৰীবৈষ্ণব গ্রন্থ, প্রাচীন পদাবলী ও দলিলাদির সাহায্যে প্রতি স্থানের আলোচনা করা যাইতেছে। “শ্ৰীশ্ৰীমায়াপুর” . ' ' এসম্বন্ধে বিগত ১৩২৪ সালের “শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গসেবক।” পত্রিকার আষাঢ় মাসের ৫ম সংখ্যায় শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের সময় শ্ৰীনবদ্বীপের অবস্থা” শীৰ্ষক প্রবন্ধে যে সমস্ত বিষয় বর্ণিত হইয়াছে, তাহার কতক অংশ উঠাইয়া, পরে শ্ৰী বৈষ্ণৰ গ্ৰন্থাদির বিষয় বর্ণিত হইতেছে । ਸ “আজ প্রায় ২৫/৩০ বৎসর হইতে এই শ্ৰীনবদ্বীপের অবস্থান লইয়া বহু TE বাকুবিতণ্ডা চলিয়া আসিতেছে। ভক্ত প্রবর, vশিশিরকুমার ঘোষ, ভক্তিবিনোদ vকেদারনাথ দত্ত প্রভৃতি মনন্বিবৰ্গই সৰ্ব্বপ্রথম প্রাচীন নবদ্বীপের অবস্থান, সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া আধুনিক নবদ্বীপকে “কুলিয়া", এবং ঐ স্থানের উত্তর .: Digitized at BRCIndia.com.