পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ി 3kr শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ-সুন্দর । বেদীতে শ্ৰীবংশীবদনের নাম ও শকাব্দ অঙ্কিত রহিয়াছে।” বিগত ১৩২৩ সালের পৌষ মাসের প্রথমে এই বিষয় লইয়া তর্ক উথাপিত হওয়াতে, আমি শ্ৰীপাদ প্যারীলাল গোস্বামী জীউর নিকটে এই বিষয় নিবেদন করি। তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন “শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর অঙ্গরাগের সময় স্বয়ং পরীক্ষা করিয়া, আমাকে সঠিক উত্তর দিবেন।” অনন্তর অঙ্গরাগ। কাৰ্য্য সম্পন্ন হইলে পর, “ধূলট" উৎসরের প্রাক্কালে বলিয়াছিলেন,- - “শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর চরণ বেদীতে। --**শ্ৰেীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর নাম ও ১৪৩৫ শকাব্দী” অঙ্কিত রহিয়াছে।” 'অতএব শ্ৰীমুরারি গুপ্তের বর্ণিত "প্রকাশ রূপেণ” শ্লোকের সঙ্গে এই শ্ৰীবিগ্ৰহ সংস্থাপনের সময়ের ঐক্য হইতেছে। ܡܨ ܬܐ === mm “কুলিয়া পাহাড়।” নিবাসী ছাকড়ি চট্টোপাধ্যায়ের অপর নাম ছিল "শ্ৰীমাধবদাস বিপ্ৰ ৷’’ শ্ৰী বংশীবদন তঁহারই পুত্র ছিলেন । এই শ্ৰী বংশীবদন শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর নিকট বাস করিয়া তদীয় সেবা ও আনুকুল্য বিধান করিতেন। সুতরাং শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্রহের সেবা কাৰ্য্য যে তদ্বিারা নিৰ্ব্ববাহ হইত। সে সম্বন্ধে কোন সন্দেহ নাই। সম্ভবতঃ এই কারণেই এই শ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্রহকে শ্ৰী বংশীবদনের সেবিত ঠাকুর বলিয়া প্রকাশিত হইয়াছিল। , শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্ৰভু যখন শ্ৰীনীলাচল হইতে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া শ্ৰীনবদ্বীপে শ্ৰীশ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুয়াণীর নিকট গমন করিয়াছিলেন এবং শ্ৰীখেতরী মহোৎসবের পর দ্বিতীয়বার ১৫০.৬ শকাব্দায় আগমন করিয়া শ্ৰীঈশাণদাস ঠাকুরকে সঙ্গে করিয়া তিনি শ্ৰীনবদ্বীপ পরিভ্রমণ করিয়াছিলেন, তখন শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্রহের কোন প্ৰসঙ্গ শ্ৰীভক্তিরাঞ্জাকর গ্রন্থে বর্ণিত হয় নাই। সম্ভবতঃ সেই সময় বিরুদ্ধবাদীগণ হইতে শ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্ৰহ রক্ষা করিবার জন্য বিশেষ গোপনে রক্ষণ করা হইয়াছিল। এই কারণেই শ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্রহের কথা শ্ৰীভক্তিরত্নাকরে বর্ণিত হয় নাই এবং এই সময় হইতে শ্ৰীগৌরাঙ্গের সেবা কাৰ্য্য শ্ৰীবিষ্ণুপ্রিয়া ঠাকুরাণীর ভ্রাতা শ্ৰীযাদব এবং তদীয় বংশধরগণের হস্তে অৰ্পিত হইয়াছিল। অতএব “শব্দশক্তি প্ৰকাশিকার” বর্ণনা দ্বারা এই বিষয় আরো স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাইতেছে যে, শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের গৃহ গঙ্গাগর্ডে নিমগ্ন হইবার পূৰ্ব্ব হইতেই যাদববংশধরগণ মালঞ্চপাড়ায় শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্রহের সেবা কাৰ্য্য নিৰ্বাহ করিয়া আসিতেছিলেন। গঙ্গার ভাঙ্গনে যাদব বংশধরগণের কেহ কেহ মালঞ্চপাড়া হইতে রামসীতা পাড়ায় আসিয়া বাস করায়, তঁহাদের পালা অনুসারে শ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্ৰহকে মধ্যে মধ্যে এই স্থানেও লইয়া আসিতে হইত। অনন্তর শ্ৰীবৃন্দাবনের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত শ্ৰীল ষ্ঠোতারাম দাস বাবাজীর উদ্যোগে মালঞ্চপাড়া হইতে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ বিগ্ৰহকে নবদ্বীপের বাৰ্ত্তমান “স্থানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের জীবদ্দশাতেই এই ঘটনা ঘটিয়াছিল। তেঁাতারাম দাস বাবাজী ১৮ দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের শিক্ষাগুরু ছিলেন। পূৰ্ব্বে তেঁাতারাম দাস বাবাজীর নাম “শ্ৰীরামদাস বাবাজী” ছিল। রাজাকৃষ্ণচন্দ্ৰ তাহাকে “তোতারাম দাস” আখ্যা প্রদান করিয়াছিলেন । " এ সম্বন্ধে Digitized at BRCIndia.com ܡܢܝܢܐ ܕܡܬܬܪܝ̈ܶܐ.