পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। ১৪৩১ শকাব্দায় বর্ণিত চারিটীি স্থানকে আবরণ করিয়া এক সমতল ভূমির অন্তৰ্ভুক্তি ধে স্থান নদীয়া নগরের অন্তর্গত ছিল, আজ তাহার ৪৮৮ বৎসর পরে অর্থাৎ বর্তমান ১৮৩৯ শকান্ধায় সে স্থান গঙ্গা ও “জলাঙ্গী” নামান্তর "খড়ে” নদীর প্রকোপে তিন খণ্ডে বিভক্ত দেখা যাইতেছে। সিমলিঙ্কার অনুমান দুই কিম্বা আড়াই মাইল দক্ষিণে গাদিগাছা গ্রাম অবস্থিত। এই দুই স্থান “জলাঙ্গী” বা ‘খড়ে” নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হইয়াছে। গাদিগাছা গ্রামের দক্ষিণে অল্প ব্যব: ধানেই “মাজিদা” গ্রাম অবস্থিত৭ – ঐ মাজিদী গ্রামের এক কিম্বা সোয়া মাইল পশ্চিমে “পারডাঙ্গা” নামক প্রাচীন छून दह्नभान नौव्रा नगांबद्ध भिडेनिग्नि: পুলটি আফিসের নৈঋংকোণে অবস্থিত। এই পারডাঙ্গা হইতেই শ্ৰীমহাপ্ৰভু সংকীৰ্ত্তন রঙ্গে নিজ গৃহে গমন করিয়াছিলেন। অতএব শ্ৰীমূন্মহাপ্রভুর নগর 一ー ভ্রমণের স্থানগুলির আয়তন ধরিলেও প্রাচীন নদীয়া নগর যে নুন কল্পে দশ মাইল আবরণের ভিতরে মবস্থিত ছিল, তাহা স্পষ্টই উলব্ধি হইতেছে। অতএব বৰ্ত্তমান নদীয়া নগর যে “কুলিয়া” নাহে তাহা প্ৰমাণীত হইল । " নদীয়া বসতি যে অষ্ট ক্রোশ আবরণের অন্তভুক্ত ছিল, তাহা শ্ৰীভক্তিরাষ্ট্রাকর গ্রন্থের দ্বাদশ তরঙ্গে এরূপ বৰ্ণিত আছে যে,- " • ‘নদীয়া বসতি অষ্ট ক্রোশ কেহ কয় । । অচিন্তা ধামের শক্তি সব সত্যু হয় ।” (ভঃ র: দ্বা: ত: ) মোটামুটি হিসাবে নিম্নলিখিত উপায়ে প্রাচীন নদীয়া বসতির স্থিতি স্থান নির্ণয় হইতে পারে। যথা,- দৈর্ঘ পাঁচ মাইল ও প্রস্ত তিন মাইল। উত্তর পশ্চিম ও দক্ষিণ এই তিন দিক প্রাচীন গঙ্গা দেবী দ্বারা বলয়াকারে পরিবেষ্টিত থাকিয়া, নদীয়া নগর ل সুশোভিত, ছিলেন। তাৎকালিক নদীয়ার উত্তরে গঙ্গা নগর ও পুরাণগঞ্জ, দক্ষিণে ( কুলিয়া ও সমুদ্র গড়ের উত্তর সংলগ্ন ) গঙ্গা, পূর্বে গান্দিগাছা ও মাজিদ, পশ্চিমে (জান্নগর ও বিদ্যানগরের পূর্বসংলগ্ন ) গঙ্গা। এই অষ্ট ক্রোশ আবরণের অন্তৰ্গত প্রাচীন নদীয়াতে কোলের গঞ্জ মহীশূরা, কোৰূলা,শ্ৰীরামপুর, বাবলারি ( দেওয়ান গঞ্জ) ও রামচন্দ্রপুর প্রভৃতি গ্রাম ও বাজার ছিল । কালক্রমে গঙ্গা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হওয়াতেই স্বতন্ত্র স্থান বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে । বস্তুতঃ ঐ সমস্ত স্থান প্রাচীন নদীয়ারই অংশ বিশেষ। অতএব ‘কোবিলা” নামক স্থান কিছুতেই “কুলিয়া” বা ‘কোলদ্বীপ’’ হইতে পারে না। প্রাচীন গঙ্গার পরপারেই শ্ৰীভক্তিরত্নাকরোক্ত “কোলদ্বীপ" সম্প্রতি “সাতকুলিয়া” নামেই পরিকীৰ্ত্তিত হইতেছে। বিগত ১৩২৪ সালের আশ্বিন মাসের ‘শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সেবক’ পত্রিকায় “কুলিয়া” শীর্ষক প্রবন্ধে শ্ৰীযুক্ত ফণীভূষণ দত্ত মহাশয় “সাতকুলিয়া” নামক স্বনামপ্রসিদ্ধ অথচ প্রাচীন গঙ্গার পরপরবর্তী ও ‘হাটীড়াঙ্গা” গ্রামের অৰ্দ্ধমাইল এবং বৰ্ত্তমান শ্ৰীনবদ্বীপের সাড়ে চারি মাইল দূরবীৰ্ত্তী প্রাচীন 』 যে, ( সাতকুলিয়া, তদুত্তর সংলগ্ন কুলের বিল ও ঐ বিলের পুর্বসংলগ্ন কোলের ডাঙ্গাত্রায়কে) কোলদ্বীপ নামে নিরূপিত হইয়াছে। it Digitged Eat BRCindia, COT . ܬܪ ܥܝܬܐ • বিগত ১৩২৪ সালের ফাল্গুন মাসে সাতকুলিয়া গ্ৰাম গবৰ্ণমেণ্ট হইতে, জরিপ হইবার সময় দেড় শত বৎসরের প্রাচীন দলিল নক্সাদিতে দেখা গিয়াছে,