পাতা:শ্রীশ্রীনবদ্বীপ-দর্পণ - ব্রজমোহন দাস.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"शाङ्कुरः wo শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গ সুন্দর। । , শরৎ গোস্বামী আমাকে 'সাহা, সুড়ী” বলিবার কারণ এই যে, আমি এখানে শ্ৰীবিপিন সাহার বাড়ীতে ভাড়াটিয়া ভাবে বাস করিতেছি ও শ্ৰীহট্টের জনৈক ভক্ত শ্ৰীনিত্যানন্দ পাড়া নিবাসী শ্ৰীযুক্ত কাশীচন্দ্র রায়কে “দাদা" বলিয়া - সম্বোধন করি। অতএব আমি যে “সাহা জাতীয়” লোক ও অবজ্ঞার পাত্র সে সম্বন্ধে কোন সূন্দেহ নাই! ইত্যাদি যুক্তিপূর্ণ প্রমাণাদি দ্বারা যখন আমার পূৰ্ব্বাশ্রমের জাতি নিৰ্বাচিত হইল, তখন তদুচিত সম্মানে ভূষিত করিবার নিমিত্ত যে, আমাকে ‘সাহা সুড়ী বলিয়া সম্বোধন না করিবেন, তাহাতে, বিস্মিত হইবার কোন কারণ নাই ! এদিকে ঐ কথা লইয়া কিছু গোল বাধিতে আরম্ভ হইল ! আমি উদাসীন, আমার কোন জাতিরা বর্ণের পরিচয় দিবার কোন কারণ নাই, আমি সৰ্ব্ববিষয়েই ঘূণীত ও পতিত ! ! কিন্তু আমাকে, লক্ষ? করিয়া যে "ব্লাহ’, জাতিকে আক্রমণ ও অবজ্ঞা প্ৰকাশষ্ট হইল, তাহা লইয়া ঐ শ্রেণীর ভক্তগণমধ্যে আন্দোলন মাত্রা প্রবল হইতে গ্যারম্ভ কুরিল! ফলে সকলেই শরৎ গোস্বামীকে নিন্দা করিতে আরম্ভ করাতে ৪৷৫ দিন পরে তিনি শ্ৰীপাদ হরিদাস গোস্বামীকে মধ্যস্থ রাখিয়া আমাকে ডাকাইয়া অনুতাপ প্ৰকাশ ও ক্ৰটী মার্জনের অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন । আমার প্রারদ্ধের দোষে এই সমস্ত অনৰ্থ ঘটিয়াছে বলিয়া তাহাকে দণ্ডবৎ করিলাম। এইরূপে প্রথম মনোমালিন্যের কারণ দূর হইল । অনন্তর মালঞ্চ পাড়া নিবাসী শ্ৰীযুক্ত বজ্ঞেশ্বর গোস্বামী ও আমি বহু সন্ধান ও পরিশ্রম করিয়া শ্ৰীনবদ্বীপ ও তন্নিকটবৰ্ত্তা রামচন্দ্রপুর প্রভৃতির প্রাচীন প্রাচীন লোকগণের নির্দেশ মত ৮ দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের মন্দিরের স্থিতি স্থানের সন্ধান বাহির করিলে, মহামহোপাধ্যায় শ্ৰীল শ্ৰীযুক্ত অজিতনাথ ন্যায় রত্ন মহাশয়, ঐ মন্দির যে শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের বাসস্থানের উপরস্থ (গঙ্গার চড়া ) { ভূমিতে ১১৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। এতদসম্বন্ধে স্বতঃপ্রবৃত্ত ও স্বেচ্ছাক্রমে একখানা স্বাক্ষর ও সন্মতিপূর্ণ পত্র ১৩২৪ সালের ৮ই শ্রাবণ তারিখে অৰ্পণ । করিলে, ঐ পত্র আমি কাশীমবাজারের মহারাজ “নন্দী বাহাদুরকে” দেখাইতে লইয়া যাওয়ায়, শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গসেবক পত্রিকার সম্পাদক মহাশয় শ্ৰীযুক্ত ললিত মোহন বন্দোপাধ্যায় উহা শ্রাবণ মাসের শ্ৰীগৌরাঙ্গসেবক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র রূপে সংক্ষেপে বাহির করিলেন। শ্ৰীনবদ্বীপে এই পত্রিকা পৌছিবামাত্ৰ শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সেবাইত গোসাঞিগণমধ্যে এক বিষম আন্দোলন উপস্থিত হইতে আরম্ভ হইল তাহারা যেরূপে হউক, আমাকে ‘শ্ৰীবৈষ্ণব মতের বিরূদ্ধাচারী” "স্ত্রীসংসৰ্গ” প্রভৃতি বিশেষণে বিশেষিত করিয়া,সৰ্ব্বসমক্ষে অপমানিত ও বিড়ম্বিত করিয়া-শ্ৰীনবদ্বীপ হইতে বিতাড়িত করিবার ষড়যন্ত্র করিতে লাগিলেন। নানা স্থানে এবং শ্ৰীবৈষ্ণব পত্রিকালয় প্রভৃতিতে, এমন কি পোলিশ আফিস প্রভৃতিতে আমার এবং আমার চরিত্র বিরুদ্ধে কোথাও নামযুক্ত কোথাও বা বিনামা পত্র প্রভৃতি পঠাইয়া আমাকে লাঞ্ছিত ও বিপদগ্ৰস্তু করিবার প্রাণান্ত চেষ্টা করিতে লাগিলেন। “এসিয়াটিক সোসাইটির সদস্য” শ্ৰীল "প্ৰভাত মুখোপাধ্যায় কি?” এই মহদানুষ্ঠানে আর স্থির থাকিতে পারেন? কিছু দিন হইল। "কুমারহট্ট, লুপ্ত তীর্থোদ্ধার” প্ৰবন্ধ পাঠের সময় হইতেই শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্ৰ গোস্বামী ও ঐবিমানবিহারী মজুমদার নামক ১৬১৭ বৎসর বয়স্ক নব্য যুবকের সঙ্গে তাহার বিশেষ পরিচয় প্রসঙ্গ হওয়াতে তিনি আপনাকে ‘শ্ৰীনবদ্বীপ লুপ্ত তীর্থোদ্ধার s: t Digitized at BBCindia.com تليد