পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 2nd February سabه ভক্ত। কেন ভুলিয়ে রেখেছেন ? কেন তার ইচ্ছা ? শ্রীরামকৃষ্ণ। তিনি যদি ঈশ্বরের আনন্দ একবার দেন, তা হলে আর কেউ সংসার করে না—স্বষ্টিও চলে না । “চা’লের আড়তে বড় বড় ঠেকের ভিতরে চাল থাকে। পাছে झेझञ्चগুলো ঐ চালের সন্ধান পায়,তাই দোকানদার একটা কুলোতে খইমুড়কি রেখে দেয়। ঐ খই মুড়কি মিষ্ট লাগে, তাই ই দুরগুলো সমস্ত রাত কড়র মড়র করে খায়। চালের সন্ধান আর করে না ! “কিন্তু ছাখে, এক সের চালে চৌদ্দগুণ খই হয়। কামিনীকুঞ্চিনের আনন্দ অপেক্ষা ঈশ্বরের আনন্দ কত বেশী । তার রূপ চিন্তা করলে রস্তা তিলোত্তমার রূপ চিতার ভস্ম বলে বোধ হয় ! ভক্ত। তাকে লাভ করবার জন্য ব্যাকুলত কেন হয় না ? শ্রীরামকৃষ্ণ । ভোগান্ত না হলে ব্যাকুলত হক্স না । কামিনীকাঞ্চনের ভোগ যেটুকু আছে, সেটুকু তৃপ্তি না হলে জগতের মাকে মনে পড়ে না । ছেলে যখন খেলায় মত্ত হয়, তখন মাকে চায় না । খেলা সাঙ্গ হয়ে গেলে তখন বলে, “মা যাবে ।’ হৃদের ছেলে পায়রা লয়ে খেল। কচ্ছিল ; পায়রাকে ডাক্ছে,—‘আয় তিতি ।’ করে। পায়রা লয়ে খেলা তৃপ্তি যাই হলে, অমনি কঁদিতে আরম্ভ করলে । তখন এক জন অচেনা লোক এসে বল্লে, আমি তোকে মার কাছে লয়ে যাচিছ, আয় । সে তারই কাধে চড়ে অনায়াসে গেল । “যারা নিত্যসিদ্ধ, তাদের সংসারে ঢুকতে হয় না । তাদের ভোগের বাসনা জন্ম থেকেই মিটে গেছে । [ শ্ৰীমধুডাক্তারের আগমন । শ্ৰীমধুসূদন ও নামমাহাত্ম্য। ] পাঁচটা বাজিয়াছে। মধু ডাক্তার আসিয়াছেন। ঠাকুরের হাতটিতে বাড়, ও ব্যাণ্ডেজ বাধিতেছেন। ঠাকুর বালকের ন্যায় হাসিতেছেন আর বলিতেছেন, ঐহিক ও পারত্রিকের মধুসূদন ! মধু (সহাস্তে)। কেবল নামের বোঝা বয়ে মরি। ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে)। কেন নাম কি কম ? তিনি আর তার নাম তফাৎ নয়। সত্যভামা যখন তুলাযন্ত্রে স্বর্ণ-মণি-মাণিক্য দিয়ে ঠাকুরকে