পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

be o àäätofoss 1 [1884, 2nb February. “মুক্তি, মান, টাকা, রোগ ভাল হওয়া, কিছুই চাই না,—কেবল তোমায় চাই!” এর নাম অহৈতুকী ভক্তি। বাবুর কাছে অনেকেই আসে —নানা কামনা করে ; কিন্তু যদি কেউ কিছুই চায় না, কেবল ভালবাসে বোলে বাবুকে দেখতে আসে, তা হলে বাবুরও ভালবাসা তার উপর হয়। “প্ৰহলাদের অহৈতুকী ভক্তি—ঈশ্বরের প্রতি শুদ্ধ নিষ্কাম ভালবাসা । মহিমাচরণ চুপ করিয়া আছেন । ঠাকুর আবার তাহাকে বলিতেছেন —“আচ্ছা, তোমার যেমন ভাব সেইরূপ বলি, শোন শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি) । বেদান্তমতে স্বস্বরূপকে চিনতে হয় । কিন্তু অহং ত্যাগ না করলে হয় না। অহং একটা লাঠীর স্বরূপ –যেন জলকে দুভাগ কচ্ছে। আমি আলাদা তুমি আলাদা । “সমাধিস্থ হয়ে এই অহং চলে গেলে ব্রহ্মকে বোধে বোধ হয় । ভক্তেরা হয়ত কেহ কেহ ভাবিতেছেন, ঠাকুরের কি ব্রহ্মজ্ঞান হয়েছে ? তা যদি হয়ে থাকে তবে উনি আমি আমি করিতেছেন কেন ? ঠাকুর আবার কথা কহিতেছেন—“আমি মহিম চক্ৰবৰ্ত্তা,-—বিদ্বান,— এই 'আমি ত্যাগ করতে হবে। বিদ্যার আমিতে দোষ নাই। শঙ্করাচাৰ্য্য লোকশিক্ষার জন্য ‘বিদ্যার তামি’ রেখেছিলেন । “স্ত্রীলোক সম্বন্ধে খুব সাবধান না থাকলে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না । তাই ংসারে কঠিন । যত সিয়ান হও না কেন, কাজলের ঘরে থাকলে গায়ে কালী লাগবে। যুবতীর সঙ্গে নিষ্কামের ও কাম হয় । “তবে জ্ঞানীর পক্ষে স্বদারীয় কখন কখন গমন দোষের নয় । যেমন মলমূত্র ত্যাগ তেমনিই রেতঃ ত্যাগ—আর পায়খানা মনে নাই । “আধা ছানার.মণ্ড কখন বা খেলে। (মহিমার হাস্য) । **সংসারীর পক্ষে তত দোষের নয় । [সন্ন্যাসীর কঠিন নিয়ম ও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ । ] “সন্ন্যাসীর পক্ষে খুব দোষের । সন্ন্যাসী স্ত্রীলোকের চিত্ৰপট পর্য্যন্ত • ভিক্ষু (সন্ন্যাসী) হিরণ্য (কাঞ্চন) দেখবে না, স্পর্শ করবে না, গ্রহণ করবে ন!—পাছে আসক্তি হয়। পরমহংস উপনিষং । ঐ কথামৃত, চতুর্থভাগ, ৬৮ পৃষ্ঠা।