পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। অধর মহিমাদি ভক্তসঙ্গে—যোগতত্ব কথা প্রসঙ্গে । ৮১ দেখবে না। সন্ন্যাসীর পক্ষে স্ত্রীলোক,—থুথু ফেলে থুথু খাওয়া । “স্ত্রীলোকের সঙ্গে সন্ন্যাসী বসে বসে কথা কবে না—হাজার ভক্ত হলেও । জিতেন্দ্রিয় হলেও আলাপ করবে না । “সন্ন্যাসী কামিনীকাঞ্চন দুইই ত্যাগ করবে—যেমন মেয়ের পট পৰ্য্যন্ত দেখবে না, তেন্নি কাঞ্চন–টাকা—স্পর্শ করবে না। টাকা কাছে থাকলেও খারাপ। হিসাব, দুশ্চিন্তা, টাকার অহঙ্কার, লোকের উপর ক্রোধ, কাছে থাকলে এই সব এসে পড়ে। সূৰ্য্য দেখা যাচ্ছিল মেঘ এসে সব ঢেকে দিলে । “তাইতে মাড়োয়ারী যখন হৃদের কাছে টাকা জমা দিতে চাইলে, আমি বল্লাম ‘তাও হবেনা—কাছে থাকলেই মেঘ উঠবে।” “সন্ন্যাসীর এ কঠিন নিয়ম কেন ? তার নিজের মঙ্গলের জন্যও বটে, —আর লোকশিক্ষার জন্য । সন্ন্যাসী যদিও নিজে নির্লিপ্ত হয়—জিতেন্দ্রিয় হয়—তবু লোকশিক্ষার জন্য কামিনীকাঞ্চন এইরূপে ত্যাগ করবে। “সন্ন্যাসীর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে তবে ত লোকের সাহস হবে ? তবেই ত তার কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ করতে চেষ্টা করবে ! “এ ত্যাগ শিক্ষা যদি সন্ন্যাসী না দেয়, তবে কে দিবে । জনকাদির ঈশ্বরলাভের পর সংসার । ঋষি ও শূকরমাংস ৷ ] “র্তাকে লাভ করে তবে সংসারে থাকা যায়। যেমন মাখম তুলে জলে ফেলে রাখা । জনক ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করে তবে সংসারে ছিলেন। “জনক দুখান তরবার ঘোরাতেন—জ্ঞানের আবার কৰ্ম্মের। সন্ন্যাসী কৰ্ম্মত্যাগ করে। তাই কেবল একখানা তরবার—জ্ঞানের । জনকের মত জ্ঞানী সংসারী গাছের নীচের ফল উপরের ফল দুইই খেতে পারে। সাধুসেবা, অতিথিসৎকার এ সব পারে। মাকে বলেছিলাম, মা, আমি শুট কে সাধু হব না। “ব্রহ্মজ্ঞানলাভের পর খাওয়ারও বিচার থাকে না । ব্রহ্ম জ্ঞানী ঋষি ব্ৰহ্মানন্দের পর সব খেতে পার তো—শূকরমাংস পৰ্য্যন্ত । [ চার আশ্রম, যোগতত্ত্ব ও শ্রীরামকৃষ্ণ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ (মহিমার প্রতি) । মোটামুটী দুই প্রকার যোগ-কৰ্ম্ম W2