পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1884, 23rd March [ লোকশিক্ষা ঈশ্বরের শক্তিদ্বারা। হনুমানসিংহের কুস্তাদর্শন । ] শ্রীরামকৃষ্ণ (রাম প্রভৃতির প্রতি ) ৷ মানুষের শক্তি দ্বারা লোকশিক্ষা হয় না। ঈশ্বরের শক্তি না হলে অবিদ্যা জয় করা যায় না । । “দুইজনে কুস্তী লড়ে ছিল—হনুমান সিং আর একজন পাঞ্জাবী মুসলমান। মুসলমানটি খুব হৃষ্ট পুষ্ট । কুস্তীর দিনে, আর আগের পনর দিন ধরে, মাংস ঘি খুব করে খেলে। সবাই ভাবলে, এই জিতবে। “হনুমান সিং,—গায়ে ময়লা কাপড়,—-ক দিন ধরে কম কম খেলে আর মহাবীরের নাম জপতে লাগলো। যে দিন কুস্তী হলো, সে দিন একবারে উপবাস । সকলে ভাবলে, এ নিশ্চয় হারবে ! “কিন্তু সেই জিতলে । যে পনর দিন ধরে খেলে, সেই হারলো । “ছাপাছাপি করলে কি হবে ?—যে লোকশিক্ষা দেবে তার শক্তি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসবে। আর ত্যাগী না হলে লোকশিক্ষা হয় না । [ বাল্য—কামারপুকুরে লাহাদের বাড়ী সাধুদের পাঠশ্রবণ। ] “আমি মূখোত্তম ( সকলের হাস্য )। একজন ভক্ত। তা হলে আপনার মুখ থেকে বেদ বেদান্ত—তা ছাড়াও কত কি—বেরোয় কেন ? শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে ) ৷ কিন্তু ছেলেবেলায় লাহীদের ওখানে ( কামারপুকুরে ) সাধুর যা পড়তে, বুঝতে পারতাম। তবে একটু আধটু ফাক যায় । কোন পণ্ডিত এসে যদি সংস্কৃতে কথা কয় তো বুঝতে পারি। কিন্তু নিজে সংস্কৃত কথা কইতে পারি না। [ পাণ্ডিত্য কি জীবনের উদ্দেশ্য ? মূর্খ ও ঈশ্বরের কৃপা । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । তাকে লাভ করাই জীবনের উদ্দেশ্য। লক্ষ্য বিধবার সময় অৰ্জ্জুন বল্লেন—আমি আর কিছু দেখতে পাচ্ছিনা—কেবল পাখীর চক্ষু দেখতে পাচ্ছি—রাজাদেরও দেখতে পাচ্ছি না,—গাছ দেখতে পাচ্ছি না,-– পাখী পর্য্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না। “র্তাকে লাভ হলেই হোলো !—সংস্কৃত নাই জানলাম ! “র্তার কৃপা পণ্ডিত মুর্থ সকল ছেলেরই উপর—যে তাকে পাবার জন্য ব্যাকুল হয় । বাপের সকলের উপরে সমান স্নেহ ।