পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। ঠাকুরদাদা, মহিমা, রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ৯৭ ক্রোধে আমার অনিষ্ট কচ্ছে তো একবারে ত্যাগ !! কচ্ছপ যদি হাত প{ ভিতরে সাদ করে, চারখানা করে কাটুলেও আর বার করবে না। [ তীব্র, মন্দা ও মর্কট বৈরাগ্য । ] (ঠাকুরদাদা প্রভৃতির প্রতি ) । বৈরাগ্য দুই প্রকার । তীব্র বৈরাগ্য আর মন্দা বৈরাগ্য । মন্দা বৈরাগ্য—হচ্ছে হবে—টিমে তেতালা । তীব্র বৈরাগ্য—শাণিত খুরের ধার—মায়াপাশ কচ, কচ করে কেটে দেয়। “কোনও চাষ কতদিন ধরে খাট্‌ছে—পুষ্করিণীর জল ক্ষেতে আর আসছে না ? মনে রোক্ নাই ! আবার কেউ দুচার দিন পরেই—“আজ জল আনব ত ছাড় বা প্রতিজ্ঞ করে । নাওয়া খাওয়া সব বন্ধ। সমস্ত দিন খেটে সন্ধ্যার সময় যখন জল কুল কুল করে আসতে লাগলো, তখন আনন্দ । তার পর বাড়ীতে গিয়ে পরিবারকে বলে,—“দে এখন তেল দে—নাইবে ।’ নেয়ে খেয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে নিদ্রা । “এক জনের পরিবার বল্লে, “অমুক লোকের ভারি বৈরাগ্য হয়েছে,—তোমার কিছু হলো না ! যার বৈরাগ্য হয়েছে, সে লোকটর ষোল জন স্ত্রী,—এক এক জন করে তাদের ত্যাগ করছে।’ “সোয়ামী নাইতে যাচ্ছিল, কাধে গামছা,—বল্লে, ‘ক্ষেপি । সে লোক ত্যাগ করতে পারবেন,—একটু একটু করে কি ত্যাগ হয় । আমি ত্যাগ করতে পারবো । এই দেখ,—আমি চলুম !" “সে বাড়ীর গোছ গাছ না করে—সেই অবস্থায়—কাধে গামছ।-- বাড়ী ত্যাগ করে, চলে গেল । এরই নাম তীব্র বৈরাগ্য । “আর এক রকম বৈরাগ্য, তাকে বলে মৰ্কটবৈরাগ্য । সংসারের জ্বালায় জ্বলে গেরুয়াবসন পরে কাশী গেল । অনেক দিন সংবাদ নাই । তার পর এক খানা চিঠি এলো—“তোমরা ভাবিবে না, আমার এখানে একটী কৰ্ম্ম হইয়াছে।’ “সংসারের জ্বালা ত আছেই !—মগ অবাধ্য, কুড়ি টাকা মাইনে, ছেলের অন্নপ্রাশন দিতে পারছে না, ছেলেকে পড়াতে পাচ্ছে না,—বাড়ী ভাঙ্গা, ছাত দিয়ে জল পড়ছে,—মেরামতের টাকা নাই। “তই ছোকরার এলে আমি জিজ্ঞাসা করি, তোর কে কে আং? 어 -